জঙ্গীবাদ : আমরা শংকিত আমাদের দ্বিতীয় প্রজন্ম নিয়ে দেশে এবং এই প্রবাসেও

আগস্ট ১০, ২০১৬

॥ খুরশিদ আলম ॥

কানাডায় আমরা যারা প্রথম প্রজন্ম তারা অনেক স্বপ্ন ও আশা নিয়ে এ দেশটিতে আসি। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ও আশা হলো, আমাদের সন্তানদের সুখী ও সুন্দর ভবিষ্যত। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও সমানভাবে বিবেচনায় থাকে আমাদের কাছে।

সম্প্রতি ঢাকার গুলশানে যে হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে গেল, নৃশংসতার যে ভয়াবহ চিত্র আমরা দেখতে পেলাম ঐ জঙ্গী ঘটনায় এবং জঙ্গীবাদের যে আশংকাজনক বিস্তার আমরা লক্ষ্য করলাম গুলশান ও শোলাকিয়ার ঘটনার মাধ্যমে তাতে স্বাভাবিকভাবেই আমরা শংকিত। আমরা শংকিত আমাদের দ্বিতীয় প্রজন্ম নিয়ে দেশে এবং এই প্রবাসেও।

আজকে দেশে থাকলে সরাক্ষণ আমাদেরকে শংকায় থাকতে হতো সন্তানেরা জঙ্গী সন্ত্রাসীদের প্ররোচনায় কোন অপকর্ম করে বসে কি না। অথবা নিজেরা কোন সন্ত্রাসী ঘটনার শিকার হই কি না। দেশে ঈদের জামাতে, হিন্দু মন্দিরে, বৌদ্ধ মন্দিরে যে ভাবে একের পর এক হামলা হচ্ছে, বিদেশীদের যে ভাবে টার্গেট করা হচ্ছে, মুক্তমনা ব্লগারদের যে ভাবে হত্যা করা হচ্ছে নৃশংসভাবে তাতে যে কারো শংকিত হওয়ারই কথা। আর এ কারণেই দেখা যাচ্ছে গুলশান ট্র্র্যাজিডির পর বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত বিদেশীরা নিরাপত্তা চেয়ে সরকারের কাছে চিঠি দিচ্ছেন। দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনারসহ প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানাচ্ছেন। এতেও নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে বিদেশী কর্মকর্তারা দেশ ছাড়ার কথা ভাবছেন।

আর এই প্রবাসে? জঙ্গী সন্ত্রাসীদের কালো হাতের ছোঁয়া যে এখানেও এসে লেগেছে! সর্বশেষ খবরে জানা যায় গুলশান ট্র্যাজিডি সৃষ্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত কানাডা প্রবাসী ইউনিভারসিটি অব টরন্টোর শিক্ষার্থী এক বাঙ্গালী যুবকও! ঢাকার যুগান্তর পত্রিকার এক রিপোর্ট থেকে জানা যায়, “ঘটনার সময় একইসঙ্গে নিরাপদে থাকা কানাডা প্রবাসী শিক্ষার্থী তাহমিদ হাসিব খানও ফেঁসে গেছেন। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-প্রমাণের কারণেই তিনি তদন্তের জালে আটকা পড়েছেন।এছাড়া কিলিং মিশন শেষে তাহমিদকে জঙ্গি নিবরাস ইসলামের সঙ্গে অস্ত্র হাতে রেস্তোরাঁটির ছাদে হাস্যোজ্জ্বল ভঙ্গিমায় কথা বলতে দেখা গেছে। রেস্তোরাঁটির ভেতর ও বাইরে থাকা কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ও জঙ্গিদের ধারণ করা মোবাইলের ভিডিও থেকে এসব তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ কারণে হামলার সঙ্গে তাহমিদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।”

তাহমিদের বয়স ২২ এবং সে কানাডার পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট। তামিম সত্যি সত্যি জঙ্গীদের সঙ্গে সম্পর্কিত কি না তা আমরা এখনো নিশ্চিত নই। যুগান্তরের রিপোর্টে তাহমিদ সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তার সত্যতা চুড়ান্তভাবে জানতে হয়তো আমাদেরকে আরো কিছুদিন অপক্ষো করতে হবে। বর্তমানে সে পুলিশ রিমান্ডে আছে। তদন্তের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাবে না।

টরন্টোতে তাহমিদের ফেসবুকের বন্ধুদের ভাষ্য থেকে জানা যায় সে একজন শিল্পসংস্কৃতিমনা মানুষ। ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোর প্রেসিডেন্ট মেরিক গার্টলার কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রী স্টিফেন ডিওনের কাছে লেখা এক চিটিতে তাহমিদের বিষয়টি নিয়ে উৎকন্ঠা প্রকাশ করেছেন। তিনি তাহমিদের নিরাপত্তা বিষয়ে উৎকন্ঠা প্রকাশের পাশাপাশি তার সাথে যাতে ও উপযুক্ত আচরণ করা হয় সে বিষটি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন মন্ত্রীর কাছে। গার্টলার আরো বলেন, তাহমিদ একজন মেধাবী ছাত্র। সে ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন এক্সট্রা কারিকুলামের সঙ্গে জড়িত। ক্রীড়া ও সঙ্গীতের সঙ্গেও রয়েছে তার সম্পর্ক।

টরন্টো ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশী স্টুডেন্ট এসোশিয়েশনও তাহমিদের বিষয়ে কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রী স্টিফেন ডিওনের কাছে এ বিষয়ে এক পত্র লিখেছে। তারা জানিয়েছে তাহমিদ একজন বন্ধুবৎসল ব্যক্তি। সে খুবই পরিশ্রমী এবং ভালবাসা পাবার উপযুক্ত।

উল্লেখ্য যে, টরন্টো ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশী স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন তাহমিদের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে পত্র লিখেছিল উপরে উল্লেখিত যুগান্তরের রিপোর্ট প্রকাশের আগে।

এদিকে গুলশান ট্র্যাজিডির পর কানাডা প্রবাসী অপর এক বাঙ্গালী যুবকের সন্ধানেও মাঠে নেমেছে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। তার নাম আবু ইব্রাহিম। সে কানাডার নাগরিক। আবু ইব্রাহিমের প্রকৃত নাম তামিম চৌধুরী। গত এপ্রিলে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট-এর মুখপাত্র বলে পরিচিত দাবিক ম্যাগাজিনে শেখ আবু ইব্রাহিম আল হানিফ নামের এই বাংলাদেশী যুবককে আইএসের বাংলাদেশি শাখার প্রধান বলে পরিচিত করা হয়। একসময় সে অন্টারিওর উইন্ডসরের বাসিন্দা ছিল বলে জানা যায়।

দাবিক-এর দাবি অনুযায়ী হানিফই বাংলাদেশে আইএসের তৎপরতা পরিচালনা করছেন। কানাডার ন্যাশনাল পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়,“সম্প্রতি বাংলাদেশে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের নামে চলছে একের পর এক হত্যাকান্ড। আর এ আইএস-এর বাংলাদেশ শাখার নেতৃত্ব দিচ্ছেন তামিম চৌধুরী। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশে এসব হত্যাকান্ড চালাচ্ছে আইএস।” বাংলাদেশ সরকার তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য মোটা অংকের টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে।

এদিকে র‌্যাব দেওয়া তালিকা থেকে জানা যায় ঢাকার কল্যাণপুরে জঙ্গী বিরোধী পুলিশি আভিযানে নিহত সেজদ রউফ অর্ক বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক। রউফ ছাড়া কল্যাণপুরে নিহত আরো একজন জঙ্গীর নাম পাওয়া গেছে র‌্যাবের তালিকায় যার নাম তাজ-উল-হক রাশিক। তার জন্ম আমেরিকাতেই।

উল্লেখ্য যে, ইতিপূর্বে আমরা দেখেছি টরন্টো এলাকা থেকে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত চার কিশোর মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিয়েছে। কানাডার সিবিসি টিভির অনলাইনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এই চার বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুন হলো -তাবিরুল হাসিব, আবদুল মালেক, নূর ও আদিব।

আজকের এই যে পরিস্থিতি, এর জন্য আমরা কাকে দায়ী করবো? একদিকে বাংলাদেশে শত শত তরুন ঘর থেকে পালিয়ে গেছে জঙ্গীদের সঙ্গে যোগ দিতে। অপর দিকে এই কানাডায়ও কয়েকজন তরুন ঘর ছেড়ে পালিয়েছে জঙ্গী গোষ্ঠির সঙ্গে যোগ দিতে। বাংলাদেশে যে সকল তরুন ঘর ছেড়ে পালিয়েছে তারা প্রায় সবাই সমাজের স্বচ্ছল ও শিক্ষিত পরিবারেরই সন্তান। কানাডায় যারা ঘর ছেড়ে পালিয়েছে তাদেরও একই পরিস্থিতি।

অনেকে হয়তো ভাবতে পারেন, আমরা কানাডা প্রবাসীরাতো নিরাপদেই আছি। গুলশান বা শোলাকিয়া থেকে সহস্র সহস্র মাইল দূরে আছি আমরা। আমাদের আবার চিন্তা কি? অন্যদিকে কানাডায় চার পাঁচজন প্রবাসী বঙ্গালী তরুন জঙ্গীর খাতায় নাম লিখিয়ে থাকলেও তারা তো কানাডায় কিছু করছে না। সিরিয়ায় বা ইরাকে অথবা আফগানিস্তানে গিয়ে কিংবা বাংলাদেশে গিয়ে কিছু করে থাকলেও আমাদের গায়ে তো কোন আঁচড় লাগছে না।

দূরত্বের কথা বিবেচনা করলে হয়তো বলা যায় আমরা নিরাপদেই আছি। কিন্তু সত্যিই কি আমরা নিরাপদে আছি এই কয়েক সহস্র মাইল দূরত্বে বসেও? এর সোজা – সাপ্টা উত্তর – না। দূরে থাকলেও আমরা প্রবাসীরাও নিরাপদ নই। এর উদাহরণ ফারাজ আইয়াজ হোসেন। ফারাজ যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে গিয়েছিলেন আত্মীয় বন্ধুদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে। এর পরের পরিনতি সবাই জানেন। ফারাজ যুক্তরাষ্ট্রের এমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। ঘটনার দিন গুলশানের ঐ রেস্টুরেন্টে তিনিও উপস্থিত ছিলেন। পরে তার মৃতদেহও উদ্ধার করা হয় ঘটনাস্থল থেকে।

আমরা জানি, কানাডা থেকে যারা দেশে যান তাদের মধ্যে অনেকেই ঢাকার অভিজাত এলাকায় বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট বা ক্লাবে যাতায়ত করেন। যোগ দেন বই মেলা সহ অন্যান্য উৎসব পার্বনেও। কিন্তু এখন মনে হয় না কেউ আর নিশ্চিন্ত মনে ঐ সব এলাকায় ঘুরে বেড়াতে পারবেন।

আমরা দেখেছি ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মুক্তমনা লেখক গবেষক ও বায়ো ইঞ্জিনিয়ার ড. অভিজিত রায় দেশে বেড়াতে গেলে নৃশংসভাবে খুন হন জঙ্গী গোষ্ঠির হাতে। তার স্ত্রী বণ্যা আহমেদ গুরুতরভাবে আহত হন ঐ হামলার সময়। অভিজিতের বাবা একুশে পদক প্রাপ্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক অজয় রায়।

কানাডায় আমি কয়েকজন ব্যক্তিকে জানি যারা দেশে যান না বহু বছর হয়ে গেলে শুধু নিরাপত্তার অভাবে। জঙ্গীদের টার্গেট লিস্টে আছেন তারা। গুলশান ট্র্যাজিডির পর এখন মুক্তমনা লেখক বা ব্লগার ছাড়া অন্য প্রবাসীরাও রীতিমত আতংকের মধ্যে আছেন। কয়েক মাস আগে বাংলাদেশ থেকে এক মুক্তমনা ব্লাগার কানাডায় পালিয়ে এসে রাজনৈতি আশ্রয় নিয়েছেন।

সুতরাং আমরা কানাডা প্রবাসীরা জঙ্গী উপদ্রুত এলাকা থেকে অনেক দূরে বাস করছি এবং নিরাপদে আছি এ কথা বলার সুযোগ নেই। তাছাড়া আমরা ইতিমধ্যেই দেখেছি কানাডায়ও কয়েক দফা জঙ্গী হামলা হয়েছে। কয়েকটি জঙ্গী হামলার পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দিয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। জঙ্গী হামলার পরিকল্পনা করার জন্য অথবা জঙ্গীদের সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন কিছু তরুনকে কানাডায় গ্রেফতার করা হয়েছে ইতিপূর্বে। অর্থাৎ আমরা দেখছি, কানাডা জঙ্গী মুক্ত দেশ নয়। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্ত রাজ্য, ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও অস্ট্রেলিয়াসহ আরো বেশ কয়েকটি দেশে হোমগ্রোন জঙ্গী সন্ত্রাসীরা বেশ কিছু হামলা চালিয়েছে। কানাডায় ঐ রকম বড় মাপের জঙ্গী হামলা হয়নি সত্যি কিন্তুু হবে না সেই গ্যারান্টি কে দিবে? সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন কায়দায় যে সকল আত্মঘাতি হামলা হচ্ছে সেগুলো ঠেকানো কোন দেশের আইনশৃংখলা বাহীনির পক্ষেই সম্ভব নয়। টরন্টোর মেকেনজি ইনস্টিটিউট এর নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ কাইলা চাম ইতিপূর্বে সাংবাদিকদের বলেন, প্যারিস স্টাইলের হামলা খুব সহজেই ঘটতে পারে কানাডায়। আর এই কৌশলটি বর্তমানে আইএস সন্ত্রাসীদের সাধারণ কৌশলে পরিনত হয়েছে। International Intelligence Program for INSIGNIS Strategic Research Inc এর একজন পরিচালক ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ডেভিড হ্যারিস টরন্টো সানের কাছে দেওয়া এক বক্তব্যে একই আশংকা প্রকাশ করে বলেন, “কানাডার সিকিউরিটি সার্ভিসেস এর লোকদের পক্ষে প্যারিসের আদলে সন্ত্রাসী হামলা প্রতিহত করা খুবই কঠিন কাজ হবে যদি কানাডায় চলে।

আমরা জানি ‘ইসলামিক স্টেট’ কানাডিয়ানদের উপর হামলা চালানোরও আহ্বান জানিয়েছে জঙ্গীদের কাছে ইতিপূর্বে। আমরা এও জানি, জঙ্গীপনার দিকে ঝুঁকে আছেন এরকম আরো বহু তরুন ও যুবক রয়েছেন কানাডায়। সরকারী লিস্টেই আছে ৯০ জনের বেশী। তাদের উপর অবশ্য রয়েছে কড়া নজরদারী। তারা যাতে দেশের বাইরে গিয়ে ইসলামীক স্টেটের সঙ্গে যুক্ত না হতে পারেন তার জন্য অনেকের পাসপোর্টও আটক করা হয়েছে।

পাশ্চাত্যের এই তরুন জঙ্গীরা মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গীদের চেয়ে অনেক ভয়ানক ও দুর্ধর্ষ। নতুন এক মিশনে নেমে পড়েছে এই জঙ্গীরা। এরা নতুন করে মধ্যযুগীয় খেলাফত শাসন কায়েম করার লক্ষে যুদ্ধের ময়দানে নেমে পড়েছে। এদের জঙ্গী হওয়ার পিছনে যে কারণটি কাজ করছে তা হল ইসলাম সম্পর্কে তাদের নেতিবাচক শিক্ষা ও চিন্তা ভাবনা।

বিপথগামী এই তরুনদেরকে প্রতিহত করার জন্য প্রথম কাজটি আসলে করতে হবে ঘর থেকেই। তাদের গতিবিধি লক্ষ্য রাখতে হবে। তাদের আচরনে সন্দেহ হলে প্রয়োজনে ইসলামী পন্ডিত বা বিদ্বান ব্যক্তিদের কাছে তাদেরকে নিয়ে যেতে হবে। তাদেরকে বুঝাতে হবে তারা যে পথে পা বাড়িয়েছে বা পা বাড়াতে আগ্রহী সেই পথ ইসলামী পথ নয়।

খুরশিদ আলম

সম্পাদক ও প্রকাশক

প্রবাসী কণ্ঠ