প্রবাসে পরহিতকর্ম -৬
ডিসেম্বর ১, ২০১৪
॥ রীনা গুলশান ॥
“দ্যাখো, সেই মরুরাত্রি চোখ থেকে চোখে আজ পাঠালো সংকেত
যদি বুঝে থাকো; তবে একবার মুগ্ধ করো বধির কবিকে
সে যদি সংকোচ করে, তবে লোক সমক্ষে দাঁড়িয়ে
তাকে অন্ধ করো, তার দগ্ধ চোখে ঢেলে দাও অসমাপ্ত চুম্বন তোমার
পৃথিবী দেখুক, এই তীব্র সূর্যের সামনে তুমি
সভ্য পথচারীদের আগুনে স্তম্ভিত করে রেখে
উন্মাদ কবির সঙ্গে স্নান করছো প্রকাশ্যে ঝর্ণায়!!”
মনটা ভীষণ খারাপ ছিল। বড় ছেলেটা আবারো অনেক দূরে গ্যালো। সেই দক্ষিণ বাংলাদেশ থেকে একদিন তারই ফরমায়েশ শুনে কানাডা এলাম। সে তার কাঙ্খিত ডিগ্রি ধারণ করে, কাঙ্খিত ‘জবে’ স্থির হলো। ভাল ছিল। কিন্তু, এদেরতো ভাল থাকলে হয় না। আরো… আরো… আরো… ভালো চাই। জানিনা এরা কবে ঠিক আরো কতটা লক্ষ্যে পৌঁছালেই, তবেই এরা স্থির হবে!! আমার অসম্ভব কষ্টকে গ্রাস করে রাখে কেবল- কবিতা!! তার মধ্যে জয় গোস্বামী যখন পড়ি, মনে হয় সব দুঃখ গুলো ব্লটিং পেপারের মত শুষে নেয়!!
এর মধ্যে কাঁধে মিষ্টি টোকা পড়ল। কে রে বাবা… আমার এই দুখের স্নানের মধ্যে আবার কে ডুবে মরতে চায়? ক্লান্ত চোখে চেয়ে দেখি – প্রজ্জলিত দ্বীপ শিখার মত, তন্বি অনু লতা উচ্ছল গন গনে আগুনের মত – লাভা ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে ‘অন্তরা’! ডমষ্টি মধুর হাঁসি ছড়িয়ে বললো : কি করছো… এতটা তন্ময় হয়ে? কতবার ডাকলুম পর্যন্ত। তবু দেখি ধ্যান ভঙ্গ হলো না! অতএব ‘টোকা’ দিতে বাধ্য হলাম।
তারাতাড়ি অন্য আর একটা চেয়ার টেনে বসালাম অন্তরাকে। উচ্ছসিত অন্তরা অনেকটা ‘নার্সিসাসের’ মতন! নিজেকে ভালবাসায়… সরাক্ষাণ মগ্ন। আমার এই জীবনে এতটা রূপ সচেতন মহিলা খুউব কমই দেখেছি। বয়সটা তার যাই হোক…। জানিনা ঠিক কত… ৪২ থেকে ৫২ এর মধ্যে। নিজেকে সুন্দর ভাবে মেলে ধরে বয়সটা সযন্তে এড়িয়ে যায়। যেটা কিনা এদেশের মহিলারা ভাবতেই পারে না! এদেশে থেকে আমাদের অনেক কিছু শিখার বা জানার ছিল। যেমন- প্রথমতই, মিথ্যা না বলা। সত্য কথা অকপটভাবে বলা। কিন্তু, আমরাতো আবার এসব খুব সযত্মে পাশ কাটিয়ে যাই।
যাই হোক, অন্তরাকে দেখলেই আমার তরঙ্গিনী জলতরঙ্গ মনে হয়। সারাক্ষণ উচ্ছাস এবং আনন্দে ভরপুর। মজার ব্যাপার হলো ওর সাথে যদি ৫০টি বাক্য বিনিময় হয়, তারমধ্যে ৪৮টিই থাকবে তার সৌন্দর্য নিয়ে। যেমন প্রথম দেখা হলেই ‘কেমন আছ’ ইত্যাদির পরই বলবে, ‘আর বলোনা, রীনা…চুল গুলোর কি যে অবস্থা… ঝরে ঝরে শেষ হয়ে গ্যালো (মূলত তার চুলগুলো খুবই সুন্দর! খুবই ঘন এবং ওয়েভী)। তখন আমাকে অবশ্যই বিমুগ্ধ নেত্রে তার চুল স্পর্শ করে বলতে হয়; কি যে বলো না, আমারতো মনে হয় জীবনানন্দ, তোমার চুল দেখেই লিখেছিল “চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নেশা”। অমনি অন্তরা খুউব মদির কন্ঠে বলবে, ধুর! কি যে বলোনা… আগের মতো কি আর আছে! তাও যদি আরো ১০/১৫ বছর আগে দেখতে! কখনো অন্তরা সাদা থ্রী কোয়ার্টার প্যান্ট আর কালো টপস পরে আসে… আমি প্রথমে অন্য কিছু বলার আগেই বলি… উহ্! বিশ্বাসই হয় না – তোমার ২২ বছর বয়সের একটি কন্যা আছে! মধুর হেসে আমাকে আদর করার ভঙ্গিতে বলবে, “জানো রীনা… এজন্যই তোমাকে এত্ত পছন্দ করি… তুমি না… অন্য বাঙ্গালী মহিলাদের মতন নও। কি সুন্দর সত্য কথাটি মুখের উপর বল!! আমি আরো মুগ্ধ কন্ঠে বলি ‘‘আমি খুউব সুন্দরের পূজারী তো!”
কিন্তু আজ দেখলাম ঢলঢলে জল তরঙ্গিনির যেন বাসি ফুলের মতন! যদিও ঠোট সুন্দর গোল করে একটা হাঁসির ভঙ্গি করলো। আমি বললাম, অন্তরা কি খবর বলতো, ৩/৪ মাস দেখিনা যে। বেশ ছল ছল নেত্রে বললো, “দাড়াও আগে আমার কাজটা সেরে এসে তোমাকে সব বলছি।”
এই অন্তরাকে আমি বছর ৮/৯ থেকে চিনি। তখন কেবল এসেছে কানাডায়। বাংলাদেশে একটি এনজিও তে কাজ করতো (সখের কাজ)। কারণ ওর স্বামী বাংলাদেশের একজন সরকারী বড়সড় আমলা। একটি মাত্র কন্যা। তবু সখের বসে সে কাজটি করতো। হঠাৎ সেই এনজিওর মাধ্যমে তার কানাডা আসবার সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য হলো। তার স্বামী যেহেতু আসতে পারবে না (সরকারী আমলারা সরকারী কারণ ছাড়া সহসা বিদেশে আসতে পারে না) তাই অন্তরার মা’ও চায়নি সে কানাডা আসুক। ভাগ্য কে এড়ানো যায় না। সে এলো কন্যাকে (১৫) সাথে নিয়ে। কানাডা এসেই সে একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেল এবং নায়েগ্রার উচ্ছল জল প্রপাতে নিজেকে ভাসিয়ে দিল। স্বামীকে বললো, তুমি চাকরী ছেড়ে দিয়ে কানাডা চলে এসো। তার রাজী হবার কোন প্রশ্নই ছিল না। অতএব সে রাজী হলো না। তখন অন্তরা বিচ্ছেদ পত্র পাঠিয়ে দিলো। আমার সাথে পরিচয় হলো যখন অলরেডী বিচেছদ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছে; কিন্তু চুড়ান্ত বিচেছদ হয়নি।
আলাম হলো একদিন অকস্মাৎ। অন্তরঙ্গ হতেও খুব দেরী হলো না। সে নিজেই একদিন হরবড় করে তার জীবন কাহীনি আদ্যপান্ত বলে দিল। আমাকে কোন কসরতই করতে হয়নি। আর তখুনি আমার ‘পরোপকারের’ ভূতটা মাথার মধ্যে নড়েচড়ে বসলো! অনেক বোঝালাম, ফিরে যাও অন্তরা…‘যে নীড় তুমি ১৯ বছর ধরে একটু একটু করে রচনা করেছ…সেখানে আছে তোমার সবটুকু ভালবাসার উত্তাপ, এবং কন্যার জন্য ছায়াপরিবৃত্ত আশ্রয় এবং সাশ্রয়।’
কিন্তু তার একই কথা। ‘দ্যাখো রীনা, একটাই জীবন। বাংলাদেশের ঐ রোরিং জীবনে আমি আর ফিরে যাব না। এখানে আমার অনেক কিছুই করার আছে। ওখানে কিছুই করার ছিলনা।’
অতএব, অবশ্যম্ভাবী বিচ্ছেদ কে কিছুতেই ঠেকানো গেল না। মজার ব্যাপার কন্যা ‘টুসকী’ এই বিচ্ছেদের সম্পূর্ন বিরুদ্ধে ছিলো। সে তখন নবম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণীতে উঠেছে। টুসকী তার বাবাকে প্রচন্ড ভালবাসে। সেও তার মা’কে অনেক বুঝিয়েছিল। ‘মা, এদেশে কি আছে? শুধু কষ্ট করা বৈতো নয়। এর চেয়ে বাংলাদেশে আমরা কত ভাল ছিলাম। তাছাড়া আব্বুর তো কোন দোষ নেই। তুমি তাকে কেন ডিভোর্স করবে? অন্তারা বললো,‘তোমার আব্বু যে আসতে চাইছে না, এটাই তার দোষ।’
বিচ্ছেদের ২/৩ মাসের মধ্যে টুসকী আমূল বদলে গেল। এর আগে সে অসম্ভব লক্ষী একটা মেয়ে ছিল। পড়াশুনা, এমন কি মা’কে ঘরের কাজে নানাভাবে সহায়তাও করতো। বাবা মায়ের বিচেছদের পর, সে মাকে একদমই সহ্য করতে পারতো না। মায়ের সাথে অত্যন্ত দূর্ব্যবহার করতো। সে মাকে নানাভাবে অপদস্থ করতো। বিশেষত: অন্তরার পোষাক নিয়ে অত্যন্ত কটু মন্তব্য করতো। কারণ, অন্তরাতো এখন মিডি, মিনি, স্কার্ট, হাফ প্যান্ট, কোয়ার্টার প্যান্ট এসব ছাড়া পরেই না। তো, টুসকী ওর মাকে যখন তখন বিশ্রি ভাবে বলতো, ‘যতই এসব পোষাক পর, তোমাকে মোটেই টিন এজ লাগছে না। চল্লিশোত্তর ই লাগছে!’
একদিন অন্তরা আমার কাছে এসে অঝোরে কাঁদলো। এর পরপরই আসল চমক (বা যাই বলেন)। একদিন টুসকী (তখন গ্রেড ১১ এ পড়ে), স্কুল থেকে ফিরে এলো না। অন্তরা এক সাথে ২টা জব করে, তবু কাজ ফেলে, টুসকীকে খুঁজে বেড়ায়। মা-তো মা-ই। তারপর বাঙ্গালী মায়েরাতো – তুলনাহীনারে…!! দিন পনের পরে মেয়ের খোঁজ পেল। মেয়ে মা কে না বলে একটি ছেলেকে বিয়ে করে ফেলেছে। মুসলিম মতে। তাই ১৬ বছরে রেজিষ্ট্রি না করলেও মসজিদে গিয়ে কলমা পড়ে শরীয়ত মতো বিয়ে করেছে। এবং আল্লাহর অসীম রহমতে, টুসকী কোন খারাপ ছেলের পাল্লায় পড়েনি। খুব ভাল পরিবারের, আমাদের দেশের, তার নিজের ধর্মের। এবং পাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট। ভাল চাকুরী করে। মা বাবার সাথেই থাকে। মা বাবাও টুসকীকে সুন্দর ভাবে মেনে নিয়েছে (টুসকী দেখতে খুব মিষ্টি, শ্যামাঙ্গিনী)।
অন্তরা, তার মেয়ের শশুরালয়ে গিয়ে খুব বকাবকি শুরু করলো, ভয় দেখালো-তোদের পুলিশে দিব! আমার ১৮ বছর বয়সের নীচের বয়সী মেয়েকে ভাগিয়ে এনেছিস…ইত্যাদি … খুব চোটপাট। এরপর টুসকীর স্বামী বা শশুর বাড়ীর লোকদের কিছু বলার আগেই, টুসকী তার মায়ের হাত ধরে হিড় হিড় টেনে ঘরের বাইরে এনে বলল, ‘আমার কাছে তুমি অনেক আগেই মৃত, যেদিন আমার নির্দোষ বাবাকে ডিভোর্স করেছ! তুমি আর কখনো এই বাড়ীর ত্রিসীমানায় আসবার চেষ্টাও করবেনা। তাহলে আমিই তোমাকে পুলিশের হাতে তুলে দিব।
এরপর, অন্তরা অপমানে বিবর্ণ হয়ে আমার কাছে এসে বললো, ‘রীনা…এমন কেন হলো?’ আমি বিষদ ভাবে শুনে বললাম, ‘ তোমারতো আল্লাহর কাছে হাজার হাজার শুকরিয়া জানানো উচিৎ যে, টুকসী একটা অত্যন্ত ভাল পাত্রকে বিয়ে করেছে। ভেগে গিয়ে তারা লিভ টুগেদার করছে না। অথবা, সে কোন প্রায় হাটুর কাছে নামানো প্যান্ট পরা ছেলেকে বিয়ে করেনি, অথবা কোন ‘মহিলা’কে বিয়ে করেনি। তাই যদি করতো, কি কিরার ছিল তোমার? বল? অতএব, তুমি বরং টুসকীর শশুরালয়ে একটা সরি কার্ড পাঠিয়ে দাও।
এর পর অন্তরার জীবনে আর কোনই আড়াল রইল না। বছর তিনেক আগে সে কিছু বন্ধু পরিবৃত হয়ে আমেরিকার কোন একটি শহরে ভ্রমণ করতে গেল। সেখানে পরিচিত হলো একজন যুবকের সাথে। তারা ঘুড়ে বেড়ালো ৮/১০দিন। ফিরে এসে আমাকে সবিস্তারে ভ্রমন বিষয়ক এবং বারবার বিদ্যুতের (সেই হঠাৎ দেখা যুবকটি) কথা বলতে লাগলো। অন্তরার চোখে আবারো বিদ্যুতের চমকানী, চলা ফেরায় আবারো নায়াগ্রার উচ্ছাস! কি জানি কেন, আমার বুকের ভেতরে অজানা আশংকার হাতছানি দেখা দিল। সেই সাথে পরহিতের ভূতটাও, অবিরাম মস্তিস্কের ভেতরে দাপিয়ে বেড়াতে লাগলো।
ওহ! ঐা ভয় পেয়েছিলাম। তাই হলো। মনে হয় ৭/৮ দিনও হয়নি। অন্তরা ঠিক কিশোরীর মত আনন্দের উচ্ছাসে আমাকে এসে জড়িয়ে ধরে বললো, ‘রীনা, আগামী সপ্তাহেই আমেরিকা যাচ্ছি, বিদ্যুৎকে বিয়ে করতে …ওহ! বিদ্যুৎ সে যে বিশাল হৃদয়ের …ইত্যাদি ইত্যাদি…’। অন্তরাকে আর থামানোই যাচ্ছিল না।
আমি তাকে নিবৃত করার জন্য অসংখ্য বাক্য বানে আবদ্ধ করার চেষ্টা করলাম। যেমন, ‘তুমি তাকে তেমন চেনো না, জানো না, মাত্র তো ৮ দিনের দেখা।’ অন্তরার তড়িৎ জবাব,‘ভালবাসার জন্য একটি মুহুর্তই যথেষ্ট।’ কিন্তু তোমরা থাকবে কোথায়? কানাডা নাকি আমেরিকা? অন্তরা অতি উৎসাহে বাংলা বিস্মৃত হয়ে গিয়ে বলেছিল, হোয়াটএভার, আই রিয়েলী ডোন্ট কেয়ার… আই জাস্ট ওয়ান্ট টগ মেরী হিম।’
ওহ! কিছুতেই তাকে ঠেকানো গেল না। চলে গেল। বিয়ে করলো। টানা ৬ মাস ওখানে থাকলো। ফিরেও এলো…। ওমা, এ কোন অন্তরা!? কোথায় তার সেই উচ্ছাস! কোথায় মুখের সেই চকচকে আভা? চোখের নীচে ভাঙা, কালিবর্ণ। হঠাৎ যেন অন্তরার বয়সটা কথা বলে উঠলো। আহা, বুকের ভিতর ব্যাথা মোচড় দিয়ে উঠলো। মানুষের তো একটাই জীবন। কেন যে সুখ পাখীটা ধরা দেয় না, কেন দেয় না? শুধুই কষ্ট…ধুর! এই সব কষ্ট আর ভালো লাগে না।
কিন্তু অন্তরা কিছুই বললো না। কিন্তু এই কয়টা বছরে ও কে বেশ চিনেছি। ওর চোখ আমাকে সব বলে দিল। সে শুধু বললো, ‘রীনা আগামী সপ্তাহে দেশে যাচ্ছি। আমার মা খুব অসুস্থ। সে আমাকে দেখতে চায়না, তবু আমি জোর করেই যাচ্ছি। তারপর হঠাৎ অশ্রু গোপন করে আমাকে ফিস ফিস করে বললো, ‘জানো, মাকে অহর্নিস কে সঙ্গ দিচ্ছে? মাহমুদ (টুসকীর বাবা)। মা ওকে বড় ভালবাসতো। তাই ওকেই শেষ দেখা দেখতে চেয়েছিল। (তার মানে, মূলতই মাহমুদ সাহেবের কোন দোষ ছিল না, হায় আল্লাহ। অন্তরা এটা কি বলল?) তবু আমি যাচিছ। রীনা বলতো, মা কি আমাকে ক্ষমা করবে আর কোনদিন?’
আমি বললাম, যাও মায়ের কাছে যাও। মায়ের ক্ষমা বড়ই জরুরী। মা ক্ষমা না করলে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাও ক্ষমা করবে না। আর মা তো ম-ই। বার বার ক্ষমা করে। অপমানে … লজ্জায়… আক্রোশে… গভীর বেদনায়ও। যাও অন্তরা, তোমার সবটুকু সুর ঢেলে দিয়ে হলেও মায়ের ক্ষমা নিয়ে আসবে।
বেশ কিছুকাল পরে জেনেছি। বিদ্যুৎ… সব রকম আসক্তি নিয়েই একাকী ছিল এবং এখনো বহুগামিতা, মদ্যপান…সব। হায় অন্তরা… এ তুমি কি করলে? একটাই তো জীবন… তাকে নিজের হাতেই সব কটা সুরের তার ছিড়েঁ নষ্ট ভ্রষ্ট করে দিলে!!!
“আমার প্রেমের পথে বারবার দিয়ে গেছে বাধা
আমি তা ভুলিয়া গেছি;
তবু এই ভালবাসা —ধূলো আর কাদা-।
মাথার ভেতরে
স্বপ্ন নয় – প্রেম নয় – কোন এক বোধ কাজ করে॥
ঘায় জীবনানন্দ — তুমি এত কাঁদাও ক্যানো???
রীনা গুলশান