প্রবাসে আমরা আমাদের হৃদয়ের বারটা বাজাচ্ছি

অক্টোবর ৫, ২০১৪

খুরশিদ আলম ॥

প্রবাসে আমাদের লাইফ স্টাইল বা জীবন যাপন পদ্ধতির কারণে আমরা আমাদের হৃদয়ের বারটা বাজাচ্ছি। বিশেষত আমরা যারা প্রথম প্রজন্ম এবং দেড় থেকে দুই দশক ধরে কানাডায় আছি তাদের অবস্থাটাই বেশী খারাপ হচ্ছে নবাগত ইমিগ্রেন্টদের তুলনায়। ইন্সটিটিউট ফর ক্লিনিক্যাল ইভ্যালুয়েটিভ সায়েন্স (আইসিইএস) এর এক সমীক্ষায় এই তথ্যই উঠে এসেছে। ঐ সমীক্ষায়  দেখা গেছে নতুন ইমিগ্রেন্টদের তুলনায় পুরাতন ইমিগ্রেন্টদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি চীনাদের মধ্যে। এর পরেই রয়েছে যথাক্রমে শ্বেতাঙ্গ, কৃষ্ণাঙ্গ ও দক্ষিণ এশীয়রা। অর্থাৎ আমরা বাংলাদেশীরাও আছি ঐ গ্রুপে। সমীক্ষায় আরো বলা হয়, যে চারটি জাতিগোষ্ঠীর লোকেদের মধ্যে এই পরীক্ষা চালানো হয় তাদের মধ্যে চীনা ও ইউরোপীয় বংশোদ্ভূতরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কানাডীয় জীবনযাত্রা প্রণালী দিয়ে। আর যত বেশিদিন ধরে তারা এখানে রয়েছেন ক্ষতির পরিমাণও ততই বেশি। চীনা এবং শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যগত সমস্যার অবনতির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে ক্রমবর্ধমান হারে ডায়াবেটিকের উপস্থিতি। ওই দু’টি গ্রুপের লোকেদের মধ্যে যারা দীর্ঘদিন ধরে কানাডায় বসবাস করছেন তাদের মোটা হওয়ার হার নতুন ইমিগ্রেন্টদের তুলনায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেশি।
আইসিইএস-এর সমীক্ষায় আমরা যারা বাংলাদেশী আছি তাদের কথা আলাদাভাবে বলা হয়নি। এটি একটি সামগ্রিক সমীক্ষা। তবে চীনাদের তুলনায় বাংলাদেশীদের অবস্থা খুব একটা সুবিধার নয় তা আমাদের কমিউনিটির দিকে তাকালেই অনুধাবন করা যাবে।
গত বছর টরন্টোর বাংলাদেশী ডাক্তার আবু আরিফের একটি সাক্ষাৎকার ছাপা হয়েছিল প্রবাসী কন্ঠ ম্যাগাজিনে। সেখানে তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে যারা অনেক দিন ধরে এদেশে আছেন তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টরেল এবং ডায়াবেটিসে ভোগেন। আর এদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি। পুরুষরা কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সময় করে উঠতে পারেন না। অনেকে ওভার টাইম কাজ করেন, অনেকে রাতে কাজ করে দিনে ঘুমান। যার ফলে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার ফুসরৎ পান না। যদি মনে করেন যে মোটামুটি ভাল আছেন তাহলে আর ডাক্তারের কাছে আসতে চান না। আর যারা বয়োবৃদ্ধ অর্থাৎ সিনিয়র সিটিজেন তারা বেশিরভাগই ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যা নিয়ে আসেন। এছাড়া কোলেস্টরেল, হাই ব্লাড প্রেসার নিয়েও আসেন অনেকে।
তাহলে দেখা যাচ্ছে ঐ জরীপের তথ্য বাংলাদেশীদের বেলায়ও সত্য বলে প্রমানিত হচ্ছে। অন্যদিকে সাউথ এশিয়ান মহিলাদের মধ্যে মানসিক চাপও লক্ষ্য করা গেছে অনেক বেশী। গবেষকরা যদিও এর কারণ খুঁজে পাচ্ছে না তবে যেটা লক্ষ্য করছেন তা হলো এই মহিলাদের মধ্যে টোবাকো সেবনের  মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবশ্য বাংলাদেশী মহিলা যারা মানসিক চাপে ভুগছেন তাদের মধ্যে টোবাকো সেবন প্রায় নেই বললেই চলে।
কানাডায় বেশীদিন থাকা ইমিগ্রেন্টদের মধ্যে হৃদরোগসহ অন্যান্য কয়েকটি নির্দিষ্ট রোগের প্রাদুর্ভাব কেন বেশী করে দেখা যাচ্ছে তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কেউ কেউ জেনেটিক কারণ খুঁজে বেড়াচ্ছেন। তবে এর সাথে পরিবেশকেও দায়ি করার চেষ্টা করছেন কোন কোন গবেষক।
এই পরিবেশটা কি? গবেষণায় সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা হচেছ না। সবই সম্ভাবনার কথা। এই পরিবেশ হতে পারে আবহাওয়াগত। কারণ এ দেশে বেশীরভাগ সময়ই থাকে শীত। শীতে মানুষের চলাফেরা সীমিত থাকে। ফলে শারীরিক পরিশ্রম কমে যায়। যারা ডায়াবেটিক তাদের বেশীরভাগই শীতের দোহাই দিয়ে হাঁটা বন্ধ করে দেন। এতে করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে না। আর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকার অর্থ হলো শরীরের ভাইটাল অরগানগুলোর দ্রুত ক্ষতিবৃদ্ধি। এর মধ্যে এক নম্বর অরগান হলো হৃদযন্ত্র।
কানাডায় সাউথ এশিয়ান বিশেষ করে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশীদের মধ্যে খাদ্য গ্রহনের বেলায় সতর্কতার অভাব লক্ষ্য করা যায় বেশী মাত্রায়। সপ্তাহে অন্তত একটি দাওয়াত কবুল করতে গিয়ে এরা বেহিসেবী খাওয়া দাওয়া করে থাকেন। দাওয়াতে যে সমস্ত খাবার পরিবেশন করা হয় এর মধ্যে তৈলাক্ত ও চিনিযুক্ত খাবারের পরিমান থাকে বেশী। আর নিমন্ত্রিতরা ঐ বিশেষ খাবার গুলোই খান বেশী করে। কারো কারো মদ্যপানের অভ্যাসও আছে ঐ সমস্ত রিচফুডের সাথে। তার সাথে আরো যোগ হয় ধূমপান। সব মিলিয়ে একটা “আত্মঘাতী খিচুড়ি” খান নিমন্ত্রিতরা। যদিও এর ক্ষতিটা তাৎক্ষনিক ভাবে চোখে পড়ে না, কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময় পরে এর ক্ষতিটা শরীরে অনুভব হতে থাকে।
কানাডায় আলাদাভাবে বাংলাদেশীদের স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে কোন জরীপ চালানো হয়েছে বলে এ মুহুর্তে আমার জানা নেই। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অবস্থিত ডিপার্টমেন্ট অব ফ্যামিলি মেডিসিন, নর্থ ব্রোংস্ হেলথ নেটওয়ার্কের ডাক্তার প্যাটেল এর চালানো স্বল্প পরিসরের এক জরীপে দেখা যায় সেখানে বেশীরভাগ বাঙ্গালী মহিলার স্বাস্থ্য চলনসই অথবা খারাপ। মাত্র ৩৫ ভাগ মহিলা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ফিজিক্যাল একটিভিটিতে জড়িত ছিলেন। ঐ শহরে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মানদন্ড অনুযায়ী একজন মহিলার ওজন যেটুকু হওয়া উচিৎ তার চেয়ে অনেক বেশী ওজন নিয়ে চলাফেরা করছেন শতকরা ৭৪ ভাগ বাংলাদেশী মহিলা। ধারণা করা যায় কানাডার টরন্টো ও মন্ট্রিয়লসহ অন্যান্য শহরেও বাংলাদেশী মহিলাদের ওজন সমস্যা কমবেশী একই রকম। বাংলাদেশীদের যে কোন পার্টিতে বা জনসমাবেশে গেলে এর প্রমাণ মিলে খুব সহজেই।
একবার পত্রিকান্তরে প্রকাশিত এক রিপোর্টে পড়েছিলাম (যতদূর মনে পড়ে) বেশ কয়েক বছর আগে নিউয়র্কে এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডাক্তার হঠাৎ আবিস্কার করলেন, প্রবাসী বাংলাদেশীদের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার খুব বেশী। তিনি পরে গবেষনা করে আবিষ্কার করলেন, বাঙ্গালীরা ভাত ও মাংশ বেশী খায় বলেই এই অবস্থা। তাদের রক্তনালী তুলনামূলকভাবে সরু। ফলে খুব সহজেই রক্তনালীতে ব্লক তৈরী হয়ে যায়। যার অবধারিত পরিনতি হলো হৃদরোগ।
কানাডার বাঙ্গালীদের অবস্থাও যুক্তরাষ্ট্রের বাঙ্গালীদের চেয়ে খুব একটা ভাল হওয়ার কথা নয়। কেউ গবেষণা করলে হয়তো দেখা যাবে এখানকার চিত্রও প্রায় একই রকম।
যারা কানাডার বিভিন্ন ফাস্ট ফুডের রেস্টুরেন্টে নিয়মিত খাবার খেতে যান তারাও থাকেন উচ্চ ঝুঁকিতে। কারণ, ফাস্ট ফুডের রেস্টুরেন্টগুলোতে সাধারণত যে সব খাবার পরিবেশন করা হয় তা কোনভাবেই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। উচ্চমাত্রায় চর্বি ও চিনিযুক্ত ঐসব খাবার খেয়ে অল্পদিনেই বাঙ্গালীরা নাদুস-নুদুস বাঙ্গালী বাবু/বিবি হয়ে উঠেন। আর এতে করে তাদের হৃদযন্ত্রও ক্রমশ বিকল হয়ে উঠতে শুরু করে। আর যত বেশীদিন তারা কানাডায় থাকেন এবং যত বেশী করে তারা ঐ ফাস্ট ফুড খেতে থাকেন তত বেশী করে তাদের স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে উঠতে থাকে। শুরুতে উল্লেখিত ইন্সটিটিউট ফর ক্লিনিক্যাল ইভ্যালুয়েটিভ সায়েন্স (আইসিইএস) এর সমীক্ষায়ও এই তথ্যই উঠে এসেছে।
বাঙ্গালীদের ধূমপানের অভ্যাসও তাদের হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম ক্রমশ স্থবির হয়ে পড়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। কানাডিয়ান জার্নাল অব কার্ডিওলজীর এক জরীপে দেখা গেছে সাউথ এশিয়ানদের মধ্যে (যারা ১৫ বছর বা তারো বেশী সময় ধরে কানাডায় বসবাস করছেন) ধূমপানের অভ্যাস হৃদরোগের জন্য একটি প্রধান রিস্ক ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে।
সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, ইমিগ্রেন্টরা যত বেশীদিন কানাডায় থাকেন তত বেশী মাত্রায় অসুস্থ্য হয়ে উঠেন। কিন্তু নতুন ইমিগ্রেন্টদের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। এটি আসলে কোন রহস্যজনক ব্যাপার নয়। নতুন ইমিগ্রেন্টদেরকে ইমিগ্রেশন পেতে হলে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। তাছাড়া নতুন ইমিগ্রেন্টদের বয়সও সাধারণত থাকে কম। সে কারণে তাদের স্বাস্থ্য তুলনামূলকভাবে ভাল থাকে। কিন্তু কানাডায় আসার পর যতই দিন যায় ততই তাদের বয়স বাড়তে থাকে এবং একই সাথে খাবারের অভ্যাস বদলাতে থাকে। পার্টির রিচ ফুড আর ফাস্ট ফুডের রিচ ফ্যাট, সেই সাথে অপরিমিত চিনি খাওয়া এই সব মিলে একসময়ের নতুন ইমিগ্রেন্টদের অবস্থাও পুরাতন ইমিগ্রেন্টদের মতো হয়ে যায়।
তবে ইমিগ্রেন্টদের শারীরিক স্বাস্থ্যই যে কেবল ঝুঁকির মধ্যে আছে তা কিন্তু নয়, তাদের মানসিক স্বাস্থ্যও খুব একটা ভাল নেই। ডাক্তার আবু আরিফ প্রবাসী কন্ঠ ম্যাগাজিনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইতিপূর্বে বলেন,

প্রবাসে বাঙ্গালী কমিউনিটিতে মানসিক রোগীর সংখ্যা রয়েছে প্রচুর।  মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, হতাশা বা ডিপ্রেশনের মতো সমস্যা নিয়ে তার কাছে প্রচুর রোগী আসেন। মানসিক রোগ কি কারণে হচ্ছে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এদেশে আসার পরে প্রথমে এরা বুঝে উঠতে পারেন না কি করবেন। অনেকের দেশের প্রতি পিছুটান থাকে। প্রবাসে নিজের খরচের পর বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে হয়। আবার অনেকে বাংলাদেশের ভাল চাকরি ছেড়ে এখানে আসেন যাদের আর্থিক অবস্থা হয়তো খুব ভাল ছিল। নিজেদের কিছু করতে হতো না, সবকিছু অন্য লোকেরা করে দিত। এখানে সবকিছু নিজেকে করতে হয়। এইসব কিছু মিলে তারা খুব মানসিক চাপের মধ্যে থাকেন। অনেকে আবার হাতশায় ভোগেন। আর কমিউনিটিতে এদের সংখ্যা গড়ে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। মানসিক রোগীর ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় মহিলাদের সংখ্যা বেশী।
তবে কৌতুহলোদ্দীপক ব্যাপার হলো, ডিপ্রেশনের ক্ষেত্রে কানাডায় জন্ম নেয়া কানাডিয়ানদের চেয়ে ইমিগ্রেন্টদের অবস্থা তুলনামূলকভাবে ভাল। বছর কয়েক আগে পরিচালিত কানাডিয়ান কমিউনিটি হেলথ সার্ভের এক রিপোর্টে দেখা যায় কানাডায় জন্ম নেয়া কানাডিয়ানদের মধ্যে শতকরা ৮.৩ ভাগ (সার্ভে চালানোর পূর্ববতী এক বছরে) কোন না কোনভাবে ডিপ্রেশনের শিকার হয়েছেন। অন্যদিকে ইমিগ্রেন্টদের মধ্যে এই সংখ্যা শতকরা ৬.২ ভাগ। আর এশিয়া থেকে আগত ইমিগ্রেন্টদের মধ্যে ডিপ্রেশনের মাত্রা সর্বনিন্ম।
এলকোহল সমস্যাও কানাডায় জন্ম নেয়া কানাডিয়ানদের মধ্যে ইমিগ্রেন্টদের তুলনায় অনেক বেশী। ঐ একই সার্ভেতে দেখা গেছে কানাডিয়ানদের মধ্যে শতকরা ২.৫ ভাগের এলকোহলের সমস্যা রয়েছে। অন্যদিকে ইমিগ্রেন্টদের মধ্যে এই সংখ্যা মাত্র ০.৫ ভাগ।
কথায় বলে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। আর প্রবাসে সুস্থ্য থাকা আরো জরুরী। কারণ এখানে অসুস্থ্য হলে সাধারণত দেখার কেউ থাকে না। আমরা এই প্রবাসে প্রায় সকলেই আত্মীয়-পরিজন ছাড়া থাকি। কিছু একটা ঘটলে নিজের দেখাশুনা মূলত নিজেকেই করতে হয়। স্বামীরও সময় হয়না সারাক্ষণ অসুস্থ স্ত্রীর পাশে বসে থাকার, অন্যদিকে স্ত্রীরও সময় হয়না সারাক্ষণ অসুস্থ স্বামীর পাশে বসে থাকার। কারণ সবাইকে কাজ করতে হয়। কাজ বন্ধ তো বাড়ির মর্টগেজ দেয়া বন্ধ, কাজ বন্ধ তো গাড়ির পেমেন্টে দেয়া বন্ধ, কাজ বন্ধ তো এরকম আরো অনেক কিছুর পেমেন্ট দেয়া বন্ধ হয়ে যায় যার পরিনতি হয় খুব করুন।
সে কারণে এই প্রবাসে প্রবাসী তথা ইমিগ্রেন্টদের যতটা সম্ভব সুস্থ্য থাকাটা খুবই জরুরী। হৃদযন্ত্রটাকে সঠিক রাখতে হলে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে আমাদের খাদ্যাভাসের ব্যাপারে, আমাদের ঘুমের ব্যাপারে, আমাদের শারীরিক সক্রিয়তার ব্যাপারসহ আরো অনেক কিছুর ব্যাপারে। আর ডাক্তার আবু আরিফের মতে, “সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো যদি কোন সমস্যা দেখা দেয় তাহলে প্রাথমিক অবস্থায়ই ডাক্তার দেখানো। তাহলে ডাক্তার কোন রোগ জটিল হওয়ার আগেই সনাক্ত করতে পারেন। এছাড়া প্রতি বছর চেক আপ করানো উচিৎ। নিয়মিত ব্যায়াম এবং খাওয়া দাওয়া ঠিক মতো খেলে সুস্থ্য থাকা সম্ভব।”

খুরশিদ আলম, সম্পাদক ও প্রকাশক – প্রবাসী কন্ঠ