মহামারির টিকাদান শুরুর আগে জাতীয় পর্যায়ে টিকাজনিত ক্ষতিপূরণ কর্মসূচি চালু করলো কানাডা

জানুয়ারী ৬, ২০২১

প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক, ১১ ডিসেম্বর ২০২০: কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা পেতে টিকা নেয়ার পর যারা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হবেন তারা ওই ক্ষতিপূরণ পাবেন। খবর সিবিসি নিউজ এর।

ঝুঁকি বীমার মত এই কর্মসূচি করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরুর জন্য কানাডার প্রস্তুতির অংশ। হেল্থ কানাডা বলছে, অনুপুক্সক্ষ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বৈজ্ঞানিক তথ্যাদি অনুযায়ী ঝুঁকির চেয়ে উপকারিতা বেশি বলে প্রমাণ পাবার পরই তারা করোনার টিকার অনুমোদন দিয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্যাটি হাজদু বৃহষ্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, “টিকা অনুমোদনের ক্ষেত্রে যে কঠোর প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছে তার ওপর কানাডীয়রা আস্থা রাখতে পারেন। তার পরও কোনও বিরল ঘটনায় যদি কোনও ব্যক্তি বিরূপ পরিস্থিতির মুখে পড়েন তাহলে তার জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে ওই কর্মসূচি সহায়ক হবে।”

সব ধরণের ওষুধ এবং টিকাই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও বিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে।

সংক্রামক ব্যাধির চিকিৎসকরা বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী রোগীর দেহে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে উঠতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠতে থাকলে সচরাচর দেখা যায় এমন কিছু উপসর্গ যেমন, জ্বর, বিষ-বেদনা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।

এর বিপরীতে কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, এই টিকা নিয়ে কারও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা হবে “অতি বিরল, ১০ লাখে একজনেরও কম” মানুষ এমন পরিস্থিতিতে পড়তে পারে।

এ কর্মসূচি হেল্থ কানাডা অনুমোদিত সব টিকার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য

চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে যুক্তরাজ্যে টিকা নেওয়ার পর দুজন স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে কর্তৃপক্ষ সেদেশে গণহারে ফাইজার-বায়োএনটেক-এর টিকাদান সাময়িকভাবে স্থগিত করে। ওই দুজনের শরীরে আগে থেকে অ্যালার্জি ছিল।

দুই স্বাস্থ্যকর্মীর দেহে অটো-ইনজেক্টর দিয়ে টিকা দেয়া হয়। এতে তাদের দেহে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করা হয় এবং তারা সেরে ওঠে।

কানাডার জনস্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসের টিকাসহ হেল্থ কানাডার অনুমোদিত সব টিকার ক্ষেত্রেই ঝুঁকি বীমার মত টিকার ক্ষতিজনিত সহায়তা কর্মসূচি চালু করতে যাচ্ছে।

কুইবেক প্রদেশে একইরকম একটি কর্মসূচি গত ৩০বছর ধরে চালু আছে যার আওতায় টিকাদানের পর বিরল কোনও বিরূপ পরিস্থিতির শিকার হওয়া ব্যক্তিদের সহায়তা দেওয়া হয়। জি-৭ গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিসহ বিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশে নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রমের আওতায় টিকাজনিত ক্ষতিপূরণে জাতীয় কর্মসূচি আছে।