লিবারেল দলের জনসমর্থন বৃদ্ধির পরিমাণ গত ৬০ বছরে কোনও সংখ্যালঘু সরকারের বেলায় সর্বোচ্চ

‘ WE ’ বিতর্কের কারণেও লিবারেল এর প্রতি জনসমর্থন তেমনটা কমেনি

আগস্ট ৬, 2020

পুরো কানাডাতেই কোভিড-১৯ মহামারির মোকাবিলা করার সময় ক্ষমতাসীন সরকারগুলোর জনসমর্থনের উত্থান ঘটেছে। জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টিও ব্যতিক্রম নয়।

কিন্তু সংখ্যালঘু সরকারের নেতৃত্ব দানকারী একটি দলের জন্য এ ধরণের অবস্থান বিরল। লিবারেল দলের জনসমর্থনের যে পরিমাণ উত্থান ঘটেছে তা কোনও সংখ্যালঘু সরকারের গত ৬০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। খবর সিবিসি নিউজের। রিপোর্ট করেছেন এরিক গ্রেনিয়ার।

রিপোর্টে বলা হয়, গত ফেব্রুয়ারির শেষ এবং মার্চের শুরুর দিকে লিবারেল দলের অবস্থা ছিলো অনেকটাই নির্বাচন পরবর্তী স্থবিরতায় আচ্ছন্ন। তখন তাদের জনসমর্থন ছিলো গড়ে ৩৩ শতাংশ। এটি হলো ঠিক নয় মাস আগের নির্বাচনের দিনের অবস্থা।

তখন থেকেই লিবারেলদের সমর্থন ক্রমশ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়তে থাকে। জাতীয় জনমত জরিপের একটি মাসিক গড় পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলা ভোটারদের মধ্যে লিবারেলদের সমর্থন ৩৯ থেকে ৪২ শতাংশ বেড়েছে। গত নির্বাচনের তুলনায় গড়ে ছয় থেকে নয় শতাংশের এই বৃদ্ধি একটি বড় উত্থান। এটি কতটা অনন্য তা বোঝার জন্য আপনাকে কানাডার রাজনৈতিক ইতিহাসের কয়েক দশক পেছনে যেতে হবে।

১৯৪০-এর দশকে কানাডায় জনমত জরিপের আধুনিক ধারার সূচনা হবার পর থেকে ১০ টি নির্বাচনেই সংখ্যালঘু সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। বেশিরভাগ সময়ে নব নির্বাচিত (বা পুনঃনির্বাচিত) সংখ্যালঘু সরকারের ক্ষেত্রেই প্রথম নয় মাস মেয়াদে জনমতে তেমন বড় ধরনের কোনও পরিবর্তন ঘটেনি।

লিবারেল দলের সমর্থন বেড়ে ৭.৫ পয়েন্টের আশেপাশে দাঁড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে Ñ আর এটি হলো ১৯৫৭-৫৮ সালে প্রগ্রেসিভ কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানমন্ত্রী জন ডিফেনবেকারের জনসমর্থন ১১.৫ পয়েন্ট বেড়ে যাওয়ার ঘটনার পর নির্বাচনের আট থেকে নয় মাস সময়ের মধ্যে কোনও সংখ্যালঘু সরকারের জন্য সর্বোচ্চ বৃদ্ধি।

এই মুহূর্তে লিবারেল দলের জনসমর্থন যেভাবে বেড়েছে এই দৃষ্টান্তের বাইরে ডিফেনবেকারের ওই ঘটনাই ছিলো কোনও সংখ্যালঘু সরকারের জনসমর্থনে বড় ধরণের বৃদ্ধির একমাত্র ঘটনা।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হবার পর সংখ্যালঘু সরকারগুলোর রাজনৈতিক সাফল্যের মিশ্র রেকর্ড রয়েছে Ñ  তিনটি সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পুনঃনির্বাচিত হয়, তিনটি সরকার তাদের পেছনে থাকা সংখ্যালঘু দলের সঙ্গে নিষ্পত্তির মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হয় এবং তিনটি সরকার পরাজিত হয়। কিন্তু ডিফেনবেকারের প্রাথমিক সংখ্যালঘিষ্ঠতার অবসান ঘটে কানাডার ইতিহাসের বৃহত্তম সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের মধ্য দিয়ে।

সম্প্রতি লিবারেল দলের জনসমর্থনের যে পরিমাণ উত্থান ঘটেছে তা কোনও সংখ্যালঘু সরকারের গত ৬০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। ছবি : অনলাইন

সংখ্যালঘু থেকে সংখ্যাগুরু সরকার

ডিফেনবেকার ১৯৫৭ সালের নির্বাচনের দিন জনপ্রিয়তার জোয়ারে ভেসে যান এবং তার সংখ্যালঘু নতুন সরকারের প্রথম কয়েক মাস ধরে তা অব্যাহত থাকে।

শুরুর দিনগুলিতে প্রগ্রেসিভ কনজারভেটিভ (পিসি) দল তাদের পক্ষে খ্যাপাটে জনপ্রিয়তার ধারা রক্ষা করতে সক্ষম হয় জনপ্রিয় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলোর বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায়। তিন মাস দায়িত্বে থাকার পর পিসির পক্ষে জনসমর্থন ফুলেফেঁপে ওঠে এবং গ্যালাপ জরিপের তথ্য অনুযায়ী ৩৮.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৪৭ শতাংশে পৌঁছে। ১৯৫৭ সালের নির্বাচনের ছয় থেকে নয় মাসের মধ্যে  সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলা ভোটারদের মধ্যে পিসির সমর্থন ছিলো ৫০ শতাংশ।

ডিফেনবেকারের জনসমর্থন দারুণভাবে বেড়ে যায় লিবারেল দলের নতুন নেতা লেস্টার পিয়ারসনের নিষ্প্রভ ভূমিকার কারণে। তিনি খুবই উদ্ভটভাবে মন্তব্য করেন যে, পিসি তার দলের কাছে স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে ইচ্ছুক। নিজের পালে জনসমর্থনের হাওয়ার ওপর আস্থা রেখে ডিফেনবেকার পার্লামেন্ট ভেঙ্গে নতুন নির্বাচন দেন। নতুন নির্বাচনে তিনি ৫৪ শতাংশ জনপ্রিয় ভোট অর্জন করেন এবং হাউস অব কমন্সে অতীতে যে কোনও রাজনৈতিক দলের যে কোনও সময়ে পাওয়া সর্বোচ্চ সংখ্যক আসন অধিকার করতে সক্ষম হন।

১৯৭২ সালের কেন্দ্রীয় নির্বাচনে সংখ্যালঘু সরকারে পরিণত হলে পিয়েরে ট্রুডোকে নিউ ডেমোক্র্যাট দলের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় থাকতে হয়। তিনি নতুন সামাজিক কল্যাণ নীতি চালু করেন যা তার দলের প্রতি জনসমর্থন বাড়াতে সহায়ক হয়েছিলো।

সেই অর্জনও ছিলো বিরাটÑ আট মাস পরে এসে চার পয়েন্ট বৃদ্ধিÑ এটি লিবারেল দলকে ফের সংখ্যাগরিষ্ঠতা এনে দেয়োর জন্য যথেষ্ট ছিলো। ১৯৭৪ সালে এনডিপি সমর্থন তুলে নিলে বাজেটের ওপর ভোটে হেরে যান পিয়েরে ট্রুডো। তবে পিয়েরে ট্রুডো ১৯৭২ সাল থেকেই ভোটের হিসাবে তার দলের হিস্যা পাঁচ পয়েন্ট বাড়াতে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার নিয়ে পার্লামেন্টে ফিরতে সক্ষম হন।

২০০৮ সালে স্টিফেন হারপার সংখ্যালঘু সরকারের প্রধান হিসাবে পুনঃনির্বাচিত হন। দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম কয়েক মাসে তার জনপ্রিয়তা স্বল্পকালের জন্য বেড়েছিলো। ওই সময় লিবারেল, এনডিপি ও ব্লক কুইবেকো দল হারপারকে ক্ষমতা থেকে বিদায় করতে একটি মোর্চা গড়ার চেষ্টা করছিলো। কিন্তু বেশিদিন না যেতেই হারপারের কনজারভেটিভ দল জনমত জরিপে নিচে নেমে যায়, ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর আট মাসের মাথায় তাদের সমর্থন হ্রাস পায় ৭.৫ পয়েন্ট পর্যন্ত।

হারপারের দল অবশ্য ক্ষমতায় ঝুলে থাকে এবং ২০১১ সালের আগে বিরোধী দলগুলো হাউজে চূড়ান্তভাবে হারিয়ে নতুন নির্বাচন আদায় করে নেবার আগ পর্যন্ত দলটি ক্ষমতায় থেকে যায়। এর ফল ছিলো কনজারভেটিভ দলের সংখ্যাগুরু সরকার।

পিয়ারসন, হারপার সংখ্যালঘু সরকারে থেকে পুনঃনির্বাচিত হন

পিয়ারসনের সংখ্যালঘু সরকার এবং ২০০৬-০৮ সময়কালে হারপারের প্রথম মেয়াদে জনমতে সামান্য কয়েকবার বড় ধরনের দোলাচল লক্ষ্য করা গেছে। ১৯৬৩ সালে ডিফেনবেকারকে অপসারণের পর পিয়ারসনের লিবারেল দল পরবর্তী অল্প কয়েক মাস তাদের জনসমর্থন ধরে রাখতে সমর্থ হয় এবং পিয়ারসন যখন ১৯৬৫ সালে নতুন নির্বাচন দেন তখন নির্বাচনের ফলাফল ছিলো ১৯৬৩-র চেয়ে সামান্যই ভিন্ন।

পিয়ারসনের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম মাসগুলোতে জনমত আগুপিছু কম্পমান ছিলো। এই অবস্থা চলতে থাকে পিয়াসনের দাঁড়ানো এবং পিয়েরে ট্রুডোকে স্থলাভিষিক্ত না করা পর্যন্ত। এরপরই ১৯৬৮ সালে লিবারেল দল তাদের অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়।

হারপারের প্রথম মেয়াদের জনমতের প্রবণতাও ছিলো একই রকম স্থিতিশীল ধারায় এবং তার সংখ্যালঘু সরকার প্রায় তিন বছর টিকে ছিলো। ২০০৮ সালে হারপার নতুন নির্বাচন দিলে কনজারভেটিভরা লিবারেল দলের নেতা স্টিফেন ডিওনকে অকার্যকর করে ফেলতে ভালোই কাজ করেছিলো কিন্তু তারপরও তারা কেবল একটি সংখ্যালঘু সরকারই গঠন করতে পেরেছিলো।

সংখ্যালঘু সরকার থেকে পরাজয়

সংখ্যালঘু কিছু সরকারের ক্ষেত্রে বিপর্যয়ের কাহিনীও আছে।

পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার পর ডিফেনবেকারের প্রগ্রেসিভ কনজারভেটিভ পার্টির সরকার অজনপ্রিয় হয়ে পড়ে এবং ১৯৬২ সালে সংখ্যালঘু সরকারে পরিণত হয়। একদা-সক্রিয় টোরি দলটি তখন দৃশ্যত অক্ষম হয়ে পড়ে। কেবিনেট বিদ্রোহ করে এবং পিসির জনসমর্থন চার থেকে পাঁচ পয়েন্ট কমে যায়। ডিফেনবেকারের সংখ্যালঘু সরকার পার্লামেন্টে এক আস্থাভোটে এবং ১৯৬৩ সালের নির্বাচনে হেরে যায়।

১৯৭৯ সালে পপুলার ভোটে লিবারেল দলের চেয়ে উল্লেখযোগ্য রকমে পিছিয়ে থাকার পরও জো ক্লার্ক একটি নাজুক সংখ্যালঘু সরকার গঠন করতে সক্ষম হন, কিন্তু দায়িত্ব নেবার পর তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পারেননি। ক্লার্কের পিসি দলের প্রতি সমর্থন মাত্র আট মাসের মাথায় নয় পয়েন্ট কমে যায়। ১৯৮০ সালের নির্বাচনে হেরে তারা আবারও বিরোধী দলের সারিতে ফিরে যায়।

একসময় লিবারেল দলের বিপুল শক্তিমত্তার প্রধান হিসাবে বিবেচিত পল মার্টিন স্পনসরশিপ কেলেঙ্কারিতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন এবং ২০০৪ সালের নির্বাচনে শুধুই একটি সংখ্যালঘু সরকার গঠনের মধ্যে সীমিত হয়ে পড়েন। ২০০৫ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় লিবারেল দল জনমতে এগিয়ে যেতে পারলেও তা স্থায়ী হয়নি। ২০০৬ সালে লিবারেল দল ক্ষমতা থেকে ছিটকে পড়ে এবং হারপার ক্ষমতায় আসেন।

কখন প্লাগ খুলে নিতে হয়

সংখ্যালঘু সরকারের জন্য সময় বেছে নেয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। মার্টিন যদি আরও আগে প্রধানমন্ত্রী হতেন এবং ২০০৩ সালের শেষদিকে নির্বাচন দিয়ে দিতেন তাহলে হয়তো তিনি একটি নিরাপদ সংখ্যাগরিষ্ঠ

সরকার গঠন করতে পারতেন যা স্পন্সরশিপ কেলেঙ্কারি থেকে রক্ষা পাবার মত ভালো অবস্থানে থাকতো।

ডিফেনবেকার যদি তার জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে ১৯৫৮ সালে দ্রুত নির্বাচন না দিতেন তাহলে তিনি হয়তো তার ঐতিহাসিক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠনের সুযোগই পেতেন না। ক্লার্ক যদি তার সংখ্যালঘু সরকারটিকে পার্লামেন্টে আরও ভালোভাবে সামলাতে পারতেন তাহলে সম্ভবত তিনি ১৯৮০ সালের পরাজয় ঠেকাতে পারতেন এবং সেটি পিয়েরে ট্রুডোর রাজনীতি থেকে অবসর নেবার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য যথেষ্ট হতো।

এতে বিস্ময়ের কিছু নেই যে, যেসব সংখ্যালঘু সরকার নিজেদের ভাগ্য সম্পর্কে নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা হাউসে পরাজিত হয়ে নির্বাচন দিতে বাধ্য হওয়া সরকারগুলোর চেয়ে পরের নির্বাচনে ভালো ফলাফল করতে সক্ষম হয়েছে। এই রেকর্ড অবশ্য একেবারে নির্ভুল নয় Ñ সেজন্যেই নির্বাচনী প্রচারণার বিষয়টি এখনও গুরুত্বপূর্ণ।

আবার এক বছরেরও কম সময় ধরে সংখ্যালঘু পার্লামেন্টে থাকার পর জনমত জরিপে সমর্থনের যে প্রবণতা ধরা পড়ে সেটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বলবৎ থাকবে এমন কোনও নিশ্চয়তাও নেই। অতীতের নয়টি সংখ্যালঘু সরকারের রেকর্ড থেকে দেখা যায়, সরকারের নয় মাস পরের জনসমর্থনের প্রবণতা (সেটি ইতিবাচক বা নেতিবাচক যেটাই হোক) মাত্র চারটি সরকারের ক্ষেত্রে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত অটুট ছিলো।

কোনও সংখ্যালঘু সরকারের ক্ষমতায় থাকার আট বা নয় মাস পেরুনোর বেশ কিছুদিন পর নির্বাচন দেয়া হলে জনমতের ফলাফল আরও বেশি অনিশ্চিত হতে পারে। সময়ের সঙ্গে জনমত পাল্টায়, সুতরাং সঙ্কটে থাকা সরকারগুলোর সুযোগসন্ধানী বিরোধী দলের হাতে দ্রুত পরাজিত হবার প্রবণতা  দেখা যায় এবং জনপ্রিয় সরকারগুলো নিজেদের ক্ষমতার পক্ষে জনগণের অনুমোদন পুনর্নবায়নে দ্বিধাহীন হয়ে থাকে।এভাবেই আমরা আজকের সময় পর্যন্ত এসেছি।

ট্রুডোর লিবারেল দলের অনুকূলে জনসমর্থনের বর্তমান উত্থান ঐতিহাসিকভাবে অস্বাভাবিক। এর অন্যতম একটি কারণ হলো নজীরবিহীন মহামারি। কিন্তু সরকারের পক্ষে জোরালো জনসমর্থন থাকার পরও কোভিড-১৯ যদি নির্বাচন ঠেকিয়ে দেয় তাহলে সেটি অরেকটি অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে।

উল্লেখ্য যে, গত ৩১ জুলাই সিবিসি নিউজ তাদের অন্য এক রিপোর্টে জানায়- সাম্প্রতিক সময়ে চ্যারিটি সংগঠন ‘ডঊ’ নিয়ে জাস্টিন ট্রুডো যে বিতর্কের মধ্যে পড়েছেন তাতে তার দলের জনসমর্থন কিছুটা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে বটে। কিন্তু তারপরও এই মূহুর্তে নির্বাচন হলে তার দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে এমনটাই দেখা গেছে বিভিন্ন জরিপ প্রতিষ্ঠানের গড় হিসাবে।