করোনার মহামারী কালে কানাডায় ২২ জনকে গুলি করে হত্যা
মে ১৮, ২০২০
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : কানাডায় যখন করোনা মহামারী নিয়ে সকলেই আতঙ্ক আর উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ঠিক তখনই ঘটলো আরেক ভয়াবহ ঘটনা। কানাডার নোভাস্কশিয়া প্রভিন্সে এক ব্যক্তি একে একে ২২ জনকে হত্যা করেছে ঠান্ডা মাথায়। কয়েকটা বাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেয়। ঐ সময় যারা ঘর থেকে বের হচিছলেন প্রাণ ভয়ে তখন তাদের কয়েকজনকেও গুলি করে হত্যা করা হয়। গত ২০ এপ্রিল করোনাভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেই ভয়াবহ হামলা চালায় গ্যাব্রিয়েল ওর্টম্যান নামের এক ব্যক্তি।
হামলার ঘটনাটি ঘটে প্রায় ১৩ ঘন্টা ধরে। এই সময় ওর্টম্যান আরসিএমপি পুলিশের পোষাক পরিহিত অবস্থায় ছিল। তার গাড়িটিও সে আরসিএমপি পুলিশের মত করে রং করে নিয়েছিল। ফলে অনেকেই বিভ্রান্ত ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, আততায়ী তার প্রেমিকাকে হেনস্তা করেছিল। ফলে রাগে বাড়ি ও তাকে ছেড়ে উডস-এ চলে গিয়েছিল প্রেমিকা। সেই রাগেই গণহত্যা চালিয়েছিল খুনি।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বন্দুকবাজ তার প্রেমিকাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছিল। বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে ওই মেয়েটি। পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করছে এবং তার চিকিৎসা চলছে।
আরসিএমপি’র সুপারিনটেনডেন্ট ড্যারেন ক্যাম্পবেল বলেছেন, ‘মেয়েটি কোনো ভাবে পালিয়ে বেঁচেছিল, তবে এ ধরনের ধ্বংসলীলা চালানোর পেছনে একেবারেই কোনো পরিকল্পনা ছিল না বললে ভুল বলা হবে।’
প্রথমে রাতের বেলায় ৫১ বছরের অভিযুক্ত গ্যাব্রিয়েল ওর্টম্যান ১৩ জনকে গুলি করে হত্যা করে। পরের দিন সকালে আরও ৯ জনকে গুলি করে হত্যা করেছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, তিনি রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের গাড়ি নিয়ে আসে। গুলি চালনোর পাশাপাশি কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন। ভয় পেয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন মানুষজন। কিন্তু তাতে আরও বিপত্তি ঘটে। তারা এলোপাতাড়ি গুলির মুখে পড়ে প্রাণ হারান।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন এক পুলিশ অফিসারও। পুলিশের পাল্টা গুলিতে নিহত হন সেই খুনিও। এই ঘটনাকে দেশের অন্যতম ভয়াবহ হামলার ঘটনা বলে একে চিহ্নিত করছে জাস্টিন ট্রæডো প্রশাসন।
পুলিশ এই সময় কেন জনগণকে এলার্ট এলার্ম বাজিয়ে সতর্ক করেনি তা নিয়েও প্রচুর সমালোচনা হয়েছে।
আধুনিক কানাডার ইতিহাসে এতবড় গণহত্যার ঘটনা আগে ঘটেনি। ১৯৮৯ সালে মন্ট্রিয়লে এক পলিটেকনি স্কুলে নারী বিদ্বেষী এক ব্যক্তি গণহত্যার ঘটনা ঘটিয়েছিল। ঐ ঘটনায় ১৫ জন নিহত হয়েছিলেন।