অটোয়ার পাবলিক হাই স্কুলের শিক্ষার্থী, তাদের বাবা-মায়েরা জানান, তারা বর্ণবাদের মুখোমুখি হয়েছেন
জুলাই ১৩, ২০২০
০৯ জুন, ২০২০ : অটোয়ার পাবলিক হাইস্কুল ব্যবস্থার এক-চতুর্থাংশেরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী বলেছে, তারা তাদের বর্ণ অথবা জাতিগত পরিচয়ের কারণে কোনও না কোনও ধরণের বিরূপতা, বিদ্বেষ অথবা বৈষম্যের শিকার হয়েছে।
অটোয়া কার্লেটন ডিস্ট্রিক্ট স্কুল বোর্ড (OCDSB) গতবছর কিন্ডারগার্টেন থেকে শুরু করে দ্বাদশ গ্রেড পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৭৫ হাজার প্রশ্নপত্র বিলি করে যার মধ্যে সাড়ে তিন হাজার জবাব পাওয়া যায়। সেগুলি সংকলন করে “আত্ম-পরিচয় মূল্যবান” শীর্ষক রিপোর্ট (Identity Matters) গত শুক্রবার প্রকাশ করা হয়। খবর অটোয়ামেটার্স.কম এর। রিপোর্ট করেছেন ড্যানি-এলি দুবে।
OCDSB-র চেয়ারম্যান লিন স্কট বলেন, “এই উপাত্তের গুরুত্ব সম্পর্কে ট্রাস্টি বোর্ড এবং স্থানীয় কমিউনিটির স্পষ্ট ধারণা আছে। আমরা স্বীকার করি পাবলিক শিক্ষার ক্ষেত্রে কাঠামোগত ও পদ্ধতিগত প্রতিবন্ধকতা আছে যার শেকড় প্রায়শ বর্ণবাদ এবং সুবিধাপ্রাপ্তির মধ্যে প্রোথিত।”
রিপোর্টে পাবলিক স্কুল ব্যবস্থায় অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি জাতিসত্তা, লিঙ্গ এবং কল্যাণ বিষয়ে যেসব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছে তার ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।
সার্বিকভাবে কিন্ডারগার্টেন থেকে শুরু করে দ্বাদশ গ্রেডের ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী বলেছে, তারা কখনওই বিরূপতা, বিদ্বেষ বা বৈষম্যের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়নি। অবশ্য, হিসাবটা ভেঙ্গে দেখানো হলে দেখা যাচ্ছে, সপ্তম থেকে দ্বাদশ গ্রেডের ৫.৬ শতাংশ শিক্ষার্থী বলেছে, তারা প্রায়শই ওই ধরণের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছে, অন্যদিকে ১২.২ শতাংশ শিক্ষার্থী বলেছে, তারা ‘কখনও কখনও’ এবং ৯.২ শতাংশ বলেছে, তাদের এধরণের অভিজ্ঞতা ‘বিরল’।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ০.৭ শতাংশ শিক্ষার্থীর বাবা-মা তাদের জাতিগত পরিচয়ের কারণে প্রায়শ বিরূপতা, বিদ্বেষ বা বৈষম্যের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানান। ৫০ শতাংশের বেশি বলেছেন, তারা মাঝেমধ্যে এবং মাত্র তিন শতাংশের সামান্য বেশি সংখ্যক বাবা-মা বলেছেন, তাদের এমন অভিজ্ঞতা বিরল।
সপ্তম থেকে দ্বাদশ গ্রেড পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বাবা-মায়েদের ছয় শতাংশের সামান্য বেশি সংখ্যক বলেছেন, তারা জাতিগত পরিচয় বা বর্ণ সম্পর্কিত পশ্চাৎপটের কারণে প্রায়ই বিরূপতা, বিদ্বেষ বা বৈষম্যের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন। প্রায় ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থীও জানিয়েছে, তাদের এধরণের অভিজ্ঞতা হয়েছে।
স্কট বলেন, “এই পরিসংখ্যান আমাদের শিক্ষার্থীদের আত্মপরিচয় আরও ভালো করে বুঝতে আমাদের জন্য সহায়ক হবে। আর আগামীর রিপোর্টগুলোতে শিক্ষার্থীদের মধ্যকার জাতিবর্ণ সম্পর্কিত বিভেদের স্বরূপ ও প্রবণতার ওপর আলোকপাত করা হবে। চূড়ান্তভাবে এটি আমাদেরকে সমতার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক বাধা হিসাবে বিদ্যমান কাঠামো, নীতি ও অনুশীলন ইত্যাদির অপনোদন বা পাল্টে ফেলার সুযোগ করে দেবে।”