মহামারি সত্ত্বেও কানাডায় অভিবাসনের আগ্রহ ব্যাপক

জানুয়ারী ৬, ২০২১

প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক, ২৫ নভেম্বর ২০২০ : বৈশ্বিক মহামারি জনগণকে বিদেশ ভ্রমণের ব্যাপারে আরও বেশি উদ্বিগ্ন করে তুললেও বিভিন্ন দেশ থেকে কানাডায় আসার ব্যাপারে মানুষের আগ্রহ এখনও উত্তুঙ্গে। ওয়ার্ল্ড এজুকেশন সার্ভিস (ডব্লিউইএস) নামের একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের শুক্রবার প্রকাশিত এক সমীক্ষায় এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিষ্ঠানটি কানাডায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার স্বীকৃতি আদায়ের জন্য কাজ করে। খবর নিউকানাডিয়ানমিডিয়া.সিএ। রিপোর্ট করেছেন মনসুর তানভীর।

কানাডায় সিটিজেনশীপ গ্রহণের সময় শপথ অনুষ্ঠানের একটি দৃশ্য। ছবি : স্টার.কম

কানাডার সরকার গত মার্চে খাদ্য সরবরাহের মত অত্যাবশ্যক কাজে ভ্রমণকারী ছাড়া অন্য সবার জন্য দেশের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। তখন থেকে কিছু মানুষকে অনুমতিসাপেক্ষে কানাডায় ঢোকার সুযোগ দেয়ার জন্য কিছু ছোট করিডোর খুলে দেয়া হয়। যেমন গত ২০ অক্টোবর কানাডার স্নাতকোত্তর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাসে যোগদানের জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের এদেশে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকার কোভিড-১৯উত্তর জাতীয় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার পরিকল্পনার অংশ হিসাবে বর্ধিত সংখ্যায় অভিবাসী গ্রহণের পরিকল্পনাও করছে। এই সব উপাদানই কানাডায় আসার বাড়তি আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তবে এই সমীক্ষায় আগ্রহের উচ্চ স্তরের একটি ভিন্ন কারণের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। কানাডার বাইরে বসবাসকারী এবং বিদেশি শিক্ষাসনদ মূল্যায়নের জন্য ডব্লিউইএস-এ আবেদনকারী ২৮ হাজারের সামান্য কম সংখ্যক শিক্ষার্থীকে ১২ থেকে ১৪টি প্রশ্ন করা হয় যাতে করে তাদের কানাডায় আসতে চাওয়ার কারণ বোঝা সম্ভব হয়। ওইসব প্রশ্ন থেকে সার্বিকভাবে দেখা যায় যে, গত এপ্রিলে যেখানে মাত্র ৩৮ শতাংশ উত্তরদাতা কানাডায় আসতে আগ্রহী ছিল সেখানে আগস্টের মধ্যে ওই সংখ্যা বেড়ে ৪৬ শতাংশে ওঠে। আরও ৪৮ শতাংশ বলেছে, কোভিড-১৯ তাদের কানাডায় আসার আগ্রহের ওপর কোনও প্রভাব ফেলেনি। একটি প্রশ্ন ছিল, “অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর কোভিড-১৯-এর ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব কতটা পড়বে বলে আপনি মনে করেন?” এই প্রশ্নের উত্তর থেকে একজন শিক্ষার্থীর কানাডায় আসার আগ্রহের মাত্রা সম্পর্কে কিছুটা আভাস পাওয়া যায়। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে আগস্টের মধ্যে সমীক্ষায় অংশ নেয়া ৮০ থেকে ৮১ শতাংশ উত্তরদাতা ধারণা ব্যক্ত করেন যে, তার নিজ দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা কানাডার চেয়ে গুরুতর হবে। এর বিপরীতে ৫৬ থেকে ৬৮ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন কানাডার অবস্থাই বেশি খারাপ হবে। এটিও কানাডা এবং তার নিজ দেশে চাকরির প্রাপ্যতা সম্পর্কিত ধারণার মত একই কাহিনী। আগস্টে সম্ভাব্য নবাগতদের মধ্যে ৬০ শতাংশ বলেন, কোভিড-১৯ তাদের নিজ দেশে চাকরির বাজারে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। এটি ছিল এপ্রিলের ৪৭ শতাংশ এবং জুনের ৫৭ শতাংশ থেকে এক নাটকীয় বৃদ্ধি। তবে কানাডা সম্পর্কে উপলব্ধির ক্ষেত্রে বিষয়টি ছিল তুলনামূলকভাবে অনেকটাই স্থিতিশীল। কানাডায় চাকরির বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এমন ধারণা ব্যক্তকারীর সংখ্যা খুব সামান্য বেড়েছে। যেটি এপ্রিলে ছিল ৪৪ শতাংশ সেটি আগস্টে এসে দাঁড়ায় ৪৭ শতাংশে।