টরন্টোর রেড লাইট ক্যামেরা : প্রাণঘাতী বা মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার মত যানবাহনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ৪০ শতাংশ কমেছে

চলতি বছর নগরীর বিভিন্ন স্থানে রেড লাইট ক্যামেরার সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ করা হচ্ছে

অক্টোবর ৭, ২০১৭

টরন্টো নগর কর্তৃপক্ষ তাদের ভাষ্য অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার ঘটনা নির্মূল করার পরিকল্পনার অংশ হিসাবে রেড লাইট ক্যামেরার সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ করেছে।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন মোড়ে ৬৫টি নতুন ক্যামেরা বসানো হয়েছে যেগুলো সক্রিয় রয়েছে। সেইসঙ্গে আরও ১০টি ক্যামেরা বসানোর প্রক্রিয়া চলছে বা পর্যবেক্ষণাধীন রয়েছে।

চলতি বছর শুরুর আগে রেড লাইট ক্যামেরা বসানো ছিলো ৭৭টি মোড়ে।

নগরীর ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের পরিচালক মাইলেস কিউরি বলেন, যেসব সড়ক সংযোগে রেড লাইট ক্যামেরা রয়েছে সেখানে প্রাণঘাতী বা মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার মত যানবাহনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ৪০ শতাংশ কমেছে। অনেক স্থানে ক্যামেরা বসানোর পর যানবাহনের সংঘর্ষে মৃত্যু বা আহত হওয়ার ঘটনা আর ঘটেনি।

রেড লাইট ক্যামেরাকে উপেক্ষা করে গাড়ি চালিয়ে গেলে ৩২৫ ডলার জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ভিকটিম সারচার্জ ৬০ ডলার এবং আদালতের ব্যয় ৫ ডলার। নগর কর্তৃপক্ষ প্রতিটি জরিমানার অর্থ থেকে ২৬০ ডলার নিজের ফান্ডে রেখে দেয় এবং বাকীটা প্রাদেশিক সরকারের তহবিলে জমা হয়। কারণ ঘটনার সময় গাড়িটি কে চালাচ্ছিলো ক্যামেরা তা ধরতে পারে না। জরিমানার নোটিস গাড়ির মালিকের নামে পাঠিয়ে দেয়া হয় এবং এতে গাড়ি চালক কী দোষ করেছেন কোনও উল্লেখ থাকে না।

নতুন ৭৫টি ক্যামেরার জন্য আগামী পাঁচ বছরে নগর কর্তৃপক্ষের ব্যয় হবে ২১ লাখ ডলার।

চলতি বছর যেসব স্থানে নতুন ক্যামেরা বসানো হয়েছে সেগুলোর মধ্যে এগলিংটন অ্যাভিনিউ এবং ড্যানফোর্থ রোডেই সবচেয়ে বেশি রেডলাইট আইন ভঙ্গের ঘটনা প্রত্যক্ষ করা গেছে । গত ৩০ জুন পর্যন্ত নগরীর হালনাগাদ করা তথ্যে এ বিষয়টি জানা গেছে।

রেড লাইট অন থাকা অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে রাস্তা পার হওয়ার কারণে এক হাজার ৫০ টিরও বেশি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ড্যানফোর্থ রোড ও ব্রিমলী রোডে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আইন ভঙ্গের ঘটনা ঘটেছে যার সংখ্যা প্রায় ৭৫০টি।

অন্টারিওর সেফটি লিগের প্রেসিডেন্ট ও সিইও ব্রায়ান প্যাটারসন বলেন, “এটি হলো গাড়ি চালনায় ধীরতা আনা এবং আচরণগত পরিমার্জনার প্রকল্প যা সত্যিই কাজের। আইনগত অধিকারের কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঘটনার পুনপৌনিকতার কারণে মানুষের মধ্যে এমন বিশ্বাসের জন্ম হচ্ছে যে, তারা যখনই কোনও সড়ক সংযোগ পেরুতে যাবেন তখনই তাদের মনে হবে যে, এখানে হয়তো রেড লাইট ক্যামেরা রয়েছে।”

কানাডার অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশনের দক্ষিণ-মধ্য অন্টারিও শাখার সরকারি সম্পর্ক বিষয়ক ব্যবস্থাপক এলিয়ট সিলভারস্টেইনের মতে, তাদের প্রায় ৭০ শতাংশ সদস্য রেড লাইট ক্যামেরার ব্যবহার সমর্থন করেন।