আরসিএমপি মহিলা সদস্যদেরকে হিজাব পরার অনুমতি দিল
সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৬
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি) তাদের নারী অফিসারদেরকে ইউনিফর্ম হিসেবে হিজাব পরার অনুমতি দিয়েছে। যদি কোন মুসলিম নারী সদস্য হিজাব পরতে চান তবে এখন থেকে আর কোন বাধা থাকবে না। উদ্দেশ্য – আরো অধিক সংখ্যক মুসলিম নারী এই পেশায় অনুপ্রানিত হবে। এটি কানাডার সমাজে বৈচিত্রকেও প্রতিফলিত করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন আরসিএমপির মুখপাত্র স্কট বার্ডসলি। খবর গ্লোবাল নিউজের।
উল্লেখ্য যে, ইউনিফর্মে বৈচিত্রের জন্য কানাডার আরসিএমপি বিভাগের নাম ডাক রয়েছে। হিজাব অনুমোদনের আগে দুই শতাব্দী ধরে এর জমকালো ইউনিফর্ম অপরিবর্তিত ছিল।
আরসিএমপি কর্তৃপক্ষ তিন প্রকারের হিজাব পরীক্ষা করার পর একটিকে স্বীকৃতি দেয়। এটি প্রয়োজনে তাৎক্ষনিকভাবে খুলে ফেলা যায় এবং ব্যবহারকারী অফিসারদের নিরাপত্তায় কোন ঝুঁকি সৃষ্টি করে না।
গত দুই বছরে দেশটিতে প্রায় ৩০ জন আরসিএমপি অফিসার ইউনিফর্ম শিথিল করার আবেদন জানিয়েছেন। তবে এদের মধ্যে বেশিরভাগই দাড়ি রাখার জন্য অনুমতি চেয়েছিলেন। উল্লেখ্য যে, ১৯৯০ সালে আরসিএমপি তাদের শিখ অফিসারদের জন্য পাগড়ী ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল।
কানাডার বর্তমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী একজন ভারতীয় শিখ বংশোদ্ভূত এবং কানাডার প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা। ভ্যাংকুভারে তিনি পুলিশ ডিপার্টমেন্টেও চাকরী করেছেন। তিনিও পাগড়ী ব্যবহার করেন।
হিজাব পড়ার অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রে আরসিএমপি তৃতীয়। এর আগে টরন্টো ও এডমনটন পুলিশ বিভাগ মুসলিম মহিলা পুলিশ কর্মীদের হিজাব পরিধানের অনুমতি প্রদান করে।
রয়্যাল কানাডা মাউন্টেড পুলিশ বাহিনীর মোট সদস্যের এক পঞ্চমাংশ নারী। তবে তাদের মধ্যে কতজন মুসলিম সদস্য রয়েছেন এবং ঐ মুসলিম সদস্যদের কতজন ইউনিফর্ম হিসেবে হিজাব পরতে চেয়েছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য যে, যুক্তরাজ্য, সুইডেন, নরওয়ে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি স্টেট তাদের নারী পুলিশ সদস্যদেরকে হিজাব পরিধানের অনুমতি প্রদান করেছে ইতিপূর্বে।