অভিবাসীরা কানাডায় স্বাগত: ট্রুডো
ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৭
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সব ধরনের অভিবাসীকে তার দেশে স্বাগত জানিয়েছেন। এর মাধ্যমে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থান নিলেন।
ট্রাম্প শরণার্থী ও মুসলিম কয়েকটি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে সফরের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
এক টুইটার বার্তায় ট্রুডো লিখেন, ‘যারা জীবন বাঁচাতে নিপীড়ন, সন্ত্রাস ও যুদ্ধ থেকে পালিয়ে আসছেন, জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে কানাডিয়ানরা তাদেরকে স্বাগত জানাচ্ছে। বৈচিত্র্যই আমাদের শক্তি।’
ট্রাম্প অন্তত ১২০ দিনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থীদের প্রবেশ বন্ধে এবং ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সুদান, সোমালিয়া, সিরিয়া ও ইয়েমেনের নাগরিকদের আগামী তিন মাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার একদিন পর ট্রুডো এ বার্তা দিলেন।
ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বিমানগুলোতে ওই দেশগুলোর নাগরিকদের নেয়া হচ্ছে না। এ প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে এবং বিমানবন্দরগুলোতে ওই দেশগুলোর নাগরিকরা আটকা পড়েছেন।
নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, যারা ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ স্বাক্ষরের সময় বিমানে আকাশে অবস্থান করছিলেন, অবতরণের পর তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
ট্রুডোর মুখপাত্র কেট পারচেজ বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করেছি যে কানাডার পাসপোর্ট নিয়ে ভ্রমণকারী নাগরিকরা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এদেশে প্রবেশ করতে পারবেন।’
ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখতে ট্রাম্পের আরজি খারিজ
মুসলিমপ্রধান সাত দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের আরজি খারিজ করে দিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় একটি আদালত। গত ৪ ফেব্রুয়ারী আদালত এ আদেশ দেন বলে এএফপির খবরে বলা হয়।
সম্প্রতি মুসলিমপ্রধান সাত দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ট্রাম্প নির্বাহী আদেশ জারি করেন। গত শুক্রবার ওয়াশিংটন অঙ্গরাজ্যের সবচেয়ে বড় শহর সিয়াটলের বিচারক জেমস রবার্ট ট্রাম্পের এ নিষেধাজ্ঞার ওপর দেশজুড়ে সাময়িক স্থগিতাদেশ দেন। প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প জেমস রবার্টের আদালতের ওই স্থগিতাদেশকে হাস্যকর বলে মন্তব্য করেন। তিনি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করবেন বলেও জানান। এরই ধারাবাহিকতায় আদালতের এ স্থগিতাদেশ বাতিল চেয়ে ট্রাম্প প্রশাসন নাইনথ সার্কিট আপিল আদালতে আবেদন করেন।
বিবিসি জানায়, কেন্দ্রীয় ওই আদালত একই সঙ্গে এ আবেদনের ওপর পুরোপুরি শুনানি না হওয়া পর্যন্ত নিম্ন আদালতের আদেশ বহাল থাকবে বলে জানান।
আপিলে বিচার বিভাগ বলেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ওপর স্থগিতাদেশ জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। আরও বলা হয়, ট্রাম্পের এ নিষেধাজ্ঞা ধর্মীয় স্বাধীনতার বিরুদ্ধে নয়। এটি কেবল নির্দিষ্ট কয়েকটি দেশের নাগরিকদের জন্য।
শুনানিতে অঙ্গরাজ্যের আইনজীবীরা বলেছেন, সাতটি দেশের মানুষের ওপর আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা অসাংবিধানিক।