লিবারেল পার্টি আবারো ক্ষমতায়

অক্টোবর ২২, ২০১৯

প্রবাসী কণ্ঠ : কানাডার ৪৩ তম জাতীয় নির্বাচনে জাস্টিন ট্রুডোর নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টি আবারো জয়ী হয়েছে। তবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ২১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে মোট ৩৩৮ টি আসনের মধ্যে লিবারেল পার্টি পেয়েছে ১৫৭ টি আসন। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য প্রয়োজন ছিল ১৭০টি আসনের।
নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে এন্ড্রুু শিয়ার এর নেতৃত্বাধীন কনজার্ভেটিভ পার্টি। ১২১ টি আসন পায় দলটি। তৃতীয় স্থান দখল করে ব্লক কুইবেকো। এই দলটি আসন পায় ৩২টি। জাগমিত সিং এর নেতৃত্বাধীন এনডিপি আসন পায় ২৪টি। আর এলিজাভেথ মে এর নেতৃত্বাধীন গ্রীন পার্টি আসন পায় ৩টি।
নবগঠিত চরম বর্ণবাদী দল পিপলস পার্টি অব কানাডা একটি আসনও পায়নি। দলের প্রতিষ্ঠাতা ম্যাক্সিম বার্নিয়ে নিজের আসনেই পরাজিত হয়েছেন।
নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় এখন লিবারেল পার্টিকে অন্য কোন দলের সমর্থন পেতে হবে বিভিন্ন বিল পাশ করার জন্য। তবে কৌতুহলের বিষয় হলো, এবারের নির্বাচনে ট্রুডোর লিবারেল পার্টি অধিক সংখ্যক আসন পেয়ে  জয়ী হলেও দ্বিতীয়স্থান পাওয়া কনজার্ভেটিভ পার্টির তুলনা ভোট পেয়েছে কম! অবশ্য এই ব্যবধান খুবই সামান্য।

অন্যদিকে নির্মান প্রতিষ্ঠান ‘এসএনসি লাভালিন’ এবং ব্ল্যাকফেস কেলেংকারী সত্বেও জাস্টিন ট্রুডোর দল নির্বাচনে জয়ী হয়েছে।

টরন্টোর বাংলাদেশী অধ্যুষিত বিচেস- ইস্টইয়র্ক ও স্কারবরো সাউথওয়েস্ট আসন থেকে লিবারেল পার্টির পক্ষে দ্বিতীয়বারের মত নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে নেথানিয়েল স্মিথ ও বিল ব্লেয়ার। এই দুই আসনে প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশী বাস করেন।

এবারের নির্বাচনে টরন্টোর নিকটবর্তী অশোয়া আসন থেকে লিবারেল পার্টির মনোনয়ন পেয়েছিলেন বাংলাদেশী কানাডিয়ান আফরোজা হোসেন। কিন্তু তিনি জয়ী হতে পারেননি। তার প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ঐ আসনের দীর্ঘদিনের এমপি কলিন কেরী। কেরী ভোট পান ৯৪০০টি। এ নিয়ে তিনি ষষ্ঠবার জয়ী হলেন। আফরোজা হোসেন ৬১৩১টি ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থান দখল করেন।