দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হলে প্রবাসী বাংলাদেশীদের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হিসাবে আমার প্রচেষ্টা আরো জোরদার হবে: নাথানিয়েল
শক্তিশালী বাংলাদেশী কমিউনিটিকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারছি বলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়
সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
কানাডার ফেডারেল নির্বাচন আসন্ন। আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা টরন্টোর বাঙ্গালী অধ্যুষিত বিচেস – ইস্টইয়র্ক এলাকার এমপি নাথানিয়েল আরস্কিন স্মিথ এর মুখমুখি হই। তার কাছে জানতে চাই তিনি দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হলে বাংলাদেশী কমিউনিটির জন্য তার বিশেষ কার্যক্রম বা চিন্তাভাবনা কি থাকবে এবং সার্বিকভাবে বিচেস – ইস্টইয়র্ক এলাকার অধিবাসীদের কল্যাণ ও স্বার্থে তার প্রথম পদক্ষেপ কি হবে।
উল্লেখ্য যে, লিবারেল পার্টি থেকে নির্বাচিত এমপি নাথানিয়েল আরস্কিন স্মিথ স্থানীয় জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ‘ ঘঙড’ এর পাঠক জরীপে পর পর দুই বছর সেরা এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আরো কিছু বিষয়ে আলোচিত হয়েছেন সাম্প্রতিক সময়ে। টরন্টোর বাঙ্গালী কমিউনিটিতেও তিনি একজন পরিচিত মুখ। বাঙ্গালীদের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাকে নিয়মিত দেখা যায়। বাংলাদেশ সফরেও গিয়েছিলেন নাথানিয়েল স্মিথ। তার এই সাক্ষাৎকারটি নেন প্রবাসী কণ্ঠ ম্যাগাজিনের সম্পাদক খুরশিদ আলম। সাক্ষাৎকারটি এখানে তুলে ধরা হলো-
প্রশ্ন : নির্বাচনে দ্বিতীবারের মত জয়ী হলে আপনার রাইডিং এ বসবাসকারী জনগণের কল্যাণ ও স্বার্থে আপনার প্রথম পদক্ষেপ কি হবে?
উত্তর : আমাদের লিবারেল সরকার অবশ্যই অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে সিটি অব টরন্টোর শক্তিশালী অংশীদার হিসাবে এখানকার পাবলিক ট্রানজিট, হাউজিং, চাইল্ড কেয়ারসহ অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে। অন্টারিও’র ড্যাগ ফোর্ড এর প্রগ্রেসিভ কনজার্ভেটিভ সরকার আমাদের টরন্টো সিটিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার কারণে সিটি’র সঙ্গে আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার আগের তুলনায় আরো দৃঢ় অংশীদারিত্ব নিয়ে কাজ করছে।
আর আমি সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য, শিশু সন্তানসহ পরিবারগুলোর জন্য এবং যে সকল শ্রমজীবী মানুষ কাজ করেও জীবনধারনের জন্য প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যাচ্ছেন তাদের বেনিফিট বৃদ্ধির জন্য আমি আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো।
প্রশ্ন : আপনার রাইডিং এ বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী বাস করেন। যদি আবারো নির্বাচিত হন তবে তাদের জন্য আপনার বিশেষ কার্যক্রম বা চিন্তাভাবনা কি হবে?
উত্তর : আমি ভাগ্যবান যে টরন্টোতে এরকম একটি শক্তিশালী বাংলাদেশী কমিউনিটিকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারছি।
প্রথমত, আমাদের লিবারেল সরকার কানাডায় ইমিগ্রেন্টদের জন্য নাগরিকত্ব পাওয়া এবং এ দেশে পরিবারের সদস্যদের আনার প্রক্রিয়া অধিকতর সহজ করেছে। আমাদের কানাডা চাইল্ড বেনিফিট পরিবারগুলোর জন্য বিরাট পার্থক্য তৈরী করেছে। আমি নাগরিক স্বাধীনতা রক্ষা করতে এবং জাতিগত ও ধর্মীয় বৈষম্যের বিরুদ্ধে কঠোর পরিশ্রম করেছি। যদিও এগুলো সাধারণ পলিসি, কিন্তু এ থেকে বাংলাদেশী কমিউনিটির অনেকে গুরুত্বপূর্ণ উপকার পেয়েছে।
দ্বিতীয়ত, এবং আরো নির্দিষ্ট করে বলতে হলে বলা যায়, আমরা স্থানীয় বাংলাদেশী পরিসেবা সংস্থা এবং উৎসবগুলোতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ তহবিল প্রদান করেছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশীদের বিভিন্ন উৎসব ও অনুষ্ঠানসমূহে যোগদান ও সহযোগিতা করে আসছি, আমার অফিসে আমি এমন লোকদেরও নিয়োগ দিয়েছি যারা বাংলায় কথা বলতে পারেন এবং লিখতেও পারেন। আমি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে পার্লামেন্টে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আমি বাংলাদেশ সফরেও গিয়েছি, কথা বলেছি সরকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে। রহিঙ্গা সমস্যা নিয়েও কানাডা সরাসরি বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে।
দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হলে আমি বাংলাদেশী কমিউনিটির জন্য শক্তিশালী কণ্ঠস্বর হিসাবে আমার এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো।
প্রশ্ন : আপনার এলাকায় বসবাসকারী ভোটাদের প্রতি আপনার মূল বার্তা কি?
উত্তর : প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নেতৃত্বে আমাদের সরকার গত চার বছরে উল্লেখযোগ্য এবং অর্থবহ অগ্রগতি সাধিত করেছে। আমাদেরকে সেই অগ্রগতি রক্ষা করতে হবে এবং তা অব্যাহত রাখতে হবে।
আমরা পরিবার এবং সিনিয়রদের জীবনকে আরো সাশ্রয়ী করে তুলেছি। আট লাখেরও বেশী নাগরিককে দারিদ্রতা থেকে মুক্তি দিয়েছি। টরন্টোর ট্রানজিট সিস্টেম ও হাউজিং এবং অন্টারিও’র চাইল্ড কেয়ার এ রেকর্ড পরিমানে বিনিয়োগ করেছি। জলবায়ু পরিবর্তনে বাস্তব পদক্ষেপ নিয়েছি, ইমিগ্রেশন সিস্টেমে ন্যায্যতা পুনরুদ্ধার করেছি, কানাডার স্বার্থ রক্ষার জন্যযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি এবং কানাডায় একটি শক্তিশালী অর্থনীতি গঠনে সহায়তা করেছি যার ফলে বেকারত্বের হার গত চল্লিশ বছরের মধ্যে সর্বনিম্মে চলে এসেছে।
আমরা দেশটি কনজার্ভেটিভ সরকারের হাতে তুলে দিতে পারি না, বিশেষ করে যখন আমরা দেখছি অন্টারিওতে তারা কি ঘটিয়েছে।
প্রশ্ন : আপনি পর পর দুই বছর জনপ্রিয় ম্যাগাজিন NOW এর পাঠককুল কর্তৃক টরন্টোর সেরা এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। আপনি কি মনে করেন দ্বিতীয়বার এমপি নির্বাচিত হওয়ার জন্য এটি আপনার জন্য একটি গ্রীন সিগনাল?
উত্তর : NOW এর পাঠক কর্তৃক পরপর দুইবার টরন্টোর সেরা এমপি নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত গর্বের এবং এর মাধ্যমে প্রমাণিত হচ্ছে আমার চৌকশ সহকর্মীবৃন্দ কতটা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে আমাদের কমিউনিটর পক্ষ হয়ে।
তবে এই স্বীকৃতি নিশ্চই পুনঃনির্বাচিত হওয়ার কোন গ্যারান্টি বহন করে না। আমরা আশা করবো সকল ভোটার যাতে ভোট কেন্দ্রে আসেন, আমাদের সমর্থন করেন। ২১ অক্টোবর নির্বাচনের দিন ছাড়াও অক্টোবর মাসের ১১, ১২, ১৩, ১৪ তারিখে এ্যাডভান্স ভোট দেয়া যাবে।
এমপি নাথানিয়েল আরস্কিন স্মিথ ডেন্টোনিয়া পার্কে অনুষ্ঠিত ঈদ জামাতে বক্তব্য রাখছেন
প্রশ্ন : পুনঃনির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে আপনি কতটা আশাবাদী?
উত্তর : যদি আমাদের সমর্থকরা সবাই ২১ অক্টোরব ভোটকেন্দ্রে আসেন ও ভোট দেন তবে আমি নিশ্চিত আমরা পরবর্তী টার্মেও আমাদের কমিউনিটিকে সেবা দিতে পারবো।
যদি কেউ আমাদের পক্ষে ভলন্টিয়ার হিসাবে কাজ করতে চান বা কারো যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে info@votenate.ca এই ইমেইলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
প্রশ্ন : সম্প্রতি Public Square Research and Maru/Blue for CBC News এর এক জরিপে অংশ নেওয়া কানাডীয়দের পুরো ৮৮ শতাংশ বলেছেন, তারা মনে করেন, রাজনীতিকরা যথাকর্তব্য সম্পাদনের চেয়ে বরং ক্ষমতায় টিকে থাকার ব্যাপারে বেশি যতœবান। অন্যদিকে ৪৭ শতাংশ বলেছেন, কোনও দলই তাদের (জনগণের) আশা-আকাংক্ষার প্রতিনিধিত্ব করে না।
এ বিষয়ে আপনার অভিমত কি এবং জনগণ কেন এমনটা মনে করেন?
উত্তর : সরকারী চাকরী এবং সরকারী কার্যকলাপ হলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপায় যার মাধ্যমে আমরা অন্য মানুষের জীবনে ইতিবাচক পার্থক্য তৈরী করতে
পারি। আবার একই সময়ে উল্লেখিত ঐ জরীপ এটিও স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরছে যে, অনেক মানুষ রাজনীতিকদের বিশ্বাস করেন না।
আইন এবং রাজনীতির উপর কুইন্স ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড এ আট বছর লেখাপড়া করার পর আমি অনেক ভেবেছি কিভাবে আমরা বিশ্বাস বা আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারি আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে। তবে যে ভাবেই আমরা চিন্তা করি না কেন, মূল বিষয়টি হচ্ছে রাজনীতিক ও জনপ্রতিনিধিদেরকে অবশ্যই সৎ হতে হবে এবং যা সত্য ও সঠিক তার পক্ষে দাড়াতে হবে তা যত কঠিন কাজই হোক। প্রথম এবং সর্বাগ্রে আমাদেরকে চিন্তা করতে হবে দেশের স্বার্থ। দলের স্বার্থে নয় বা পুনঃনির্বাচিত স্বার্থেও নয়।
গত চার বছর আমি নীতিগত স্বাধীনতা এবং সততার সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করেছি আমাদের কমিউনিটিকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য।
প্রশ্ন : ইমিগ্রেশন সম্পর্কে যারা ভয়-ভীতিতে ভোগেন তাদের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সম্প্রতি এক সমাবেশে ভোটারদেরকে সাবধান থাকার জন্য বলেছেন। তিনি বলেন, এই ইমিগ্রেশন বিষয়টি আসন্ন নির্বাচনে একটি ব্যাপক বিতর্কিত ইস্যু হয়ে উঠতে পারে।
আপনি এমন একটি রাইডিং এর জনগণকে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছেন যেখানে একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ভোটার ইমিগ্রেন্ট বা দৃশ্যমান সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক। সেই অবস্থান থেকে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে আপনার অভিমত কি?
উত্তর : ইমিগ্রেশন সম্পর্কে ভয়-ভীতি ছড়ানো সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য একটি বিষয় আমাদের সমাজে।
কানাডায় একটি সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা রয়েছে যা অন্যান্য দেশের দৃষ্টিতে বিশ্বমানের। কানাডায় ব্যাপক সংখ্যাক ইমিগ্রেন্ট (৬০%) নির্বাচন করা হয় ইতিবাচক অর্থনৈতিক কারণে। আমাদের অর্থনৈতিক সাফল্য নির্ভর করছে শক্তিশালী ইমিগ্রেশন এর উপর।
আমাদের মোট ইমিগ্রেন্ট নাম্বার এর ১০ থেকে ১৫% হলো জাতিসংঘ স্বীকৃত শরনার্থী এবং আশ্রয় দাবীদার। এরা হতে পারে সিরিয় বা মায়ানমারের লোক যারা পালিয়ে আসছে কারণ তাদের জীবন চরম হুমকীর মুখে। মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে তাদেরকে সাহায্য ব্যাপারে আমাদের যা করণী তা আমাদের করা উচিৎ।
তবে আমাদের ওয়েলকামিং ইমিগ্রেশন সিস্টেম এর প্রতি জনগণের উচ্চ সমর্থন বজায় রাখার জন্য সবাইকে অবশ্যই নিয়ম মেনে সঠিক প্রক্রিয়ায় কাজ করতে হবে। আর এটি নিশ্চিত করার জন্য আমরা এমপি ও টরন্টোর সাবেক পুলিশ প্রধান বিল ব্লেয়ারকে নিয়োগ দিয়েছি বর্ডার সিকিউরিটি মন্ত্রী হিসাবে। আমরা ইমিগ্রেশন এ্যান্ড রিফিউজি বোর্ডকে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দও দিয়েছি তাদের কাজগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমাধান করার জন্য।
আমাদের লিবারেল পার্টি কানাডায় বহু সংস্কৃতিবাদ এবং একটি শক্তিশালী ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা রক্ষা করার জন্য অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে। কারণ এই ইমিগ্রেশন আমাদের দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।
প্রশ্ন : ২০১৫ সালে প্রথমবারের মত বিচেস – ইস্টইয়র্ক রাইডিং থেকে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর বিগত চার বছরে আপনার সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত সাফল্য কি বলে আপনি মনে করেন?
উত্তর : বিচেস – ইস্টইয়র্ক রাইডিং থেকে ২০১৫ সালে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর বিগত চার বছরে আমি কয়েকটি ইস্যু সরকারর এজেন্ডাতে যোগ করতে সমর্থ হয়েছি যার মধ্যে আছে opioid (আফিম জাতীয় ড্রাগ) সংকট, মডার্ন অনলাইন প্রাইভেসি প্রটেকশনস, শক্তিশালী জলবায়ু কার্যকলাপ এবং পশুদের প্রতি মানবিক আচরণ।
আর আমার সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত সাফল্য হলো, ‘কানাডা ওয়ার্কারস বেনিফিট’ প্রগ্রামের মাধ্যমে কর্মজীবী মানুষের বেনিফিট বৃদ্ধি করার প্রস্তাব পেশ করা। যারা দিনমান পরিশ্রম করেও পর্যাপ্ত আয় করতে পারেন না সংসার চালানোর জন্য তাদের সুবিধার্থে সরকার গত বছর বাজেটে ‘কানাডা ওয়ার্কারস বেনিফিট’ নামে একটি প্রগ্রাম চালু করে যার মাধ্যমে স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা লাভবান হবেন।
প্রশ্ন : আমাদের শেষ প্রশ্ন। আমরা জানি আপনি ও আপনার পরিবার নিরামিষভোজী। এরকম একটি লাইফস্টইল বা জীবনধারা আপনারা কেন বেছে নিলেন?
উত্তর : হ্যা, আমার পরিবারের সদস্যরা নিরামিষভোজী। নিরামিষভোজীর মধ্যে আবার কিছু ভাগ আছে। আমরা ‘ভেগান ডাইয়েট’ এ বিশ্বাসী। অর্থাৎ আমরা সম্পূর্ণ প্লান্ট বেজড খাবার খাই। মাছ মাংস দুধ ডিম এগুলো কোনটাই আমরা খাই না। আমরা এই জীবনধারা বেছে নিয়েছি কারণ, এটি আমাদের এই গ্রহের জন্য ভাল, প্রাণীকুলের জন্য ভাল এবং আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও ভাল। ইন্ডাস্ট্রিয়াল এনিমেল এগ্রিকালচার জলবায়ু পরিবর্তনের উপর ভয়ানক ও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এবং এটি পশুর জন্য প্রচুর কষ্টের কারণ হয়।
বিভিন্ন সেরা প্রমাণ থেকে আমরা দেখতে পাই, উদ্ভিদ ভিত্তিক খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। আমার স্ত্রী একজন ভেগান শেফ এবং নিউট্রিশন প্রফেসর। তিনি জর্জ ব্রাউন কলেজে একজন গবেষক। আমি খুবই ভাগ্যবান এই কারণে যে আমাদের পরিবারেই উদ্ভিদ ভিত্তিক খাবারের একজন বিশেষজ্ঞ আছেন।