কুইবেকে মুসলিম নারীদের প্রতি চরম মাত্রায় বৈষম্য ও হয়রানি বৃদ্ধির অভিযোগ

জুন ৬, ২০১৯

প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : কানাডার কুইবেক প্রভিন্সের কোন কোন সরকারী অফিসে কর্মরত নাগরিকেরা ধর্মীয় পোষাক বা প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন না এমন একটি আইনের খসড়া (বিল ২১) পার্লামেন্টে উত্থাপনের পর থেকে স্থানীয় মুসলিম নারীদের প্রতি চরম মাত্রায় বৈষম্য ও হয়রানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ করেন মন্ট্রিয়লের ওমেন এ্যাডভোকেসী গ্রুপ ‘Justice Femme’। এই গ্রুপটি মহিলাদেরকে আইনি ও মানসিক সহায়তা দিয়ে থাকে। গত মার্চ মাসে বিলটি উত্থাপনের পর এ পর্যন্ত চল্লিশটিরও বেশী হয়রানির অভিযোগ পেয়েছে তারা কুইবেকের হিজাবধারী মহিলাদের কাছ থেকে। অভিযোগের মধ্যে আছে আক্রমনাত্মক মন্তব্য থেকে শুরু করে শারীরিক সহিংসতাও। খবর সিবিসি নিউজের।

কানাডার কুইবেক প্রভিন্সের কোন কোন সরকারী অফিসে কর্মরত নাগরিকেরা ধর্মীয় পোষাক বা প্রতীক ব্যবহার করতে পারবেন না এমন একটি আইনের খসড়া (বিল ২১) পার্লামেন্টে উত্থাপিত হয়েছে। ছবি : সিবিসি

‘Justice Femme’ এর প্রেসিডেন্ট হানাদী সাদ এক প্রেজেন্টেশনে উল্লেখ করেন, সম্প্রতি কুইবেকে দুই মুসলিম মহিলা ডে কেয়ার এডুকেশন সেন্টারে চাকরীর ইন্টারভিও দিতে গেলে তাদেরকে বলা হয়, চাকরী পেলে তাদেরকে হিজাব পরিধান থেকে বিরত থাকতে হবে কর্মস্থলে।

যদি বিল ২১ পার্লামেন্টে পাস হয় তবে তা যে সকল সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী বেলায় কার্যকর হবে তারা হলেন স্কুলের শিক্ষক, পুলিশ কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং সরকারী উকিল। কিন্তু ডে কেয়ার ওয়ার্কাররা এই আইনের আওতায় আসবেন না।

হানাদী সাদ বলেন, গত মার্চ থেকে তাদের সংস্থা ‘Justice Femme’ বৈষম্য ও হয়রানির বিষয়ে যে পরিমাণ অভিযোগ পেয়েছে তার মাত্রা ‘অস্বাভাবিক’। তিনি আরো বলেন, মুসলিম নারীরা বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা হারাচ্ছেন।

বৈষম্য ও হয়রানির বিষয়ে যে পরিমাণ অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে সে বিষয়টি জানার পর কুইবেকের ইমিগ্রেশন মন্ত্রী সিমন জলিন-বারিটি ভুক্তভুগিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং তাদেরকে অভিযোগ দাখিলের পরামর্শ দেন। উল্লেখ্য যে, এই ইমিগ্রেশন মন্ত্রীই বিতর্কিত বিল ২১ স্পন্সর করেন পার্লামেন্টে। কুইবেকের প্রিমিয়ার ফ্রেন্সওয়া লিগো নিজেও চান বিলটি আগামী জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে পাস হোক।