টরন্টো ডিস্ট্রিক স্কুল বোর্ডের সম্মানজনক সেরা শিক্ষার্থীর মর্যাদা লাভ বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান মেয়ে নাহিয়ান এর

আমি অভিভূত, আমার বিশ্বাস হচ্ছিলনা প্রথমে : নাহিয়ান

সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮

বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান মেয়ে মির্জা নাদিয়া আঞ্জুম নাহিয়ান ২০১৭-১৮ শিক্ষা বর্ষে টরন্টো ডিস্ট্রিক স্কুল বোর্ডের সম্মানজনক সেরা শিক্ষার্থীর মর্যাদা পেয়েছে। গড়ে ৯৯.০০ শতাংশ নম্বর পেয়ে সে তাক লাগিয়ে দেয় সবাইকে। তার সাথে আরো ছয় জন শিক্ষার্থী এই মর্যাদা লাভ করে।

নাহিয়ান টরন্টোর স্কারবরোতে অবস্থিত সিডারব্রে কলেজিয়েট স্কুল থেকে সম্প্রতি টুয়েলভ গ্রেড শেষ করেছে। তার বাবা মির্জা মোহাম্মদ মোফাখ্খারুল হোসেন একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এবং মা নাসরিন সুলতানা একজন সাবেক শিক্ষয়ত্রী। নাহিয়ানের এক ভাই। নাম মির্জা মোহাম্মদ রেদোয়ানুর রহমান। রায়ারসন ইউনিভার্সিটিতে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ছে ফোর্থ ইয়ারে। তারা কানাডায় আসেন ২০০৫ সালে। ঐ সময় নাহিয়ানের বয়স সাড়ে চার বছর। এখানে এসে সে ভর্তি হয় জুনিয়ার কিন্ডারগার্টেনে।

মির্জা নাদিয়া আঞ্জুম নাহিয়ান। ছবি : কাজী সরোয়ার

টরন্টোর বাংলাদেশী কমিউনিটিতে নাহিয়ানের মত এরকম রেজাল্ট করার ঘটনা বিরল। তার এই বিরল অর্জন টরন্টোর অন্যান্য বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ছেলে-মেয়েদের কাছে অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

আমরা সম্প্রতি কথা বলেছি নাহিয়ানের সঙ্গে। কথা বলেছি তার বাবা-মায়ের সঙ্গেও। জানতে চেয়েছি নাহিয়ানের অভাবনীয় এই সাফল্যের পিছনে কি রহস্য আছে। লেখাপড়ায় নাহিয়ান কতটুকু সিরিয়াস ছিল, কতটুকু সময় দিত সে এবং তার ভবিষ্যত স্বপ্ন কি।

গত ১১ আগস্ট শনিবার বিকেল চারটায় নাহিয়ান ও তার বাবা মায়ের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল আগে থেকেই। স্কারবরোর মার্কহাম ও লরেন্স এর নিকটবর্তী গ্রীনব্রে রোডে তাদের নিজস্ব বাড়ি। ঘড়ির কাটা ধরে ঠিক চারটাই পৌঁছে গেলাম তাদের বাড়ির পিছনে অবস্থিত পার্কিং লটে। ঠিক একই সময় নাহিয়ানের বাবাও গাড়ি থেকে নামলেন। পূর্ব পরিচয় ছিল না। কিন্তু মুহুর্তেই আমরা পরস্পরকে চিনে নিলাম। উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে তিনি পথ দেখালেন বাড়ির দরজার দিকে। সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন নাহিয়ানের বাবার বন্ধু কাজী সরোয়ার। সরোয়ার সাহেব একজন প্রফেশনাল চিত্রগ্রাহক। আজকের সাক্ষাৎকার পর্বে তিনি ছবি তুলবেন।

প্রাথমিক কুশলাদি বিনিময়ের পর শুরু হয় আমাদের সাক্ষাৎকার পর্ব।

নাহিয়ানের বাবা ও মায়ের কাছে সাক্ষাৎকারের প্রথম প্রশ্ন ছিল- কানাডায় কেন এসেছেন? নিজেদের ভবিষ্যত না ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে?

উত্তর : ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই কানাডায় আসা। আমরা বাংলাদেশে খুবই ভাল ছিলাম।

প্রশ্ন : নাহিয়ান সম্পর্কে কিছু বলুন। তার এই মেধার বিষয়টি কি খুব ছোটবেলা থেকেই টের পেয়েছিলেন?

বাবা – শিশুকাল থেকেই নাহিয়ান খুব ডিভোটেড বা একনিষ্ঠ ছিল পড়াশুনায়। ছিল খুবই মনোযোগী, পরিশ্রমী এবং আন্তরিক। যত ধরণের গুণাবলী মানুষের থাকতে পারে তার সবই লক্ষ্য করা গেছে তার মধ্যে। সে যা কিছু করতো খুব গুরুত্বসহকারে করতো। তার এই মেধার বিষয়গুলো একেবারে শৈশব থেকেই লক্ষনীয় হয়ে উঠেছিল।

আমরা সবসময় ট্রাই করেছি হার্ট এ্যান্ড সোল যাতে তার পড়াশুনায় কোন ব্যাঘাত না ঘটে। কোন পার্টিতে যেতে হলে তাকে আগে জিজ্ঞেস করতাম সে যাবে কি না। যদি রাজী হতো তবে বলতাম আমরা ঠিক অতটার সময় ফিরে আসবো বাসায়। এবং আমরা সেই মতই ফিরে আসতাম যাতে সে বাকিটা সময় পড়াশুনায় ব্যয় করতে পারে। স্কুলে যাওয়ার ব্যাপারেও আমরা ছিলাম খুবই সিরিয়াস। এ ব্যাপারে কোন ছাড় ছিল না। কোন ক্লাস তাকে মিস করতে দিতাম না। আর সেও কোন ক্লাস মিস করতো না। প্রয়োজনে আমি কাজে দেরী করে গেছি। কিন্তু তাকে ঠিকমত ক্লাসে পৌঁছে দিয়েছি। ক্লাসে নাহিয়ান খুব সক্রিয় ও প্রাণবন্ত ছিল।

বাবা মা ও ভাইয়ের সঙ্গে মির্জা নাদিয়া আঞ্জুম নাহিয়ান। ছবি : কাজী সরোয়ার

প্রশ্ন : নাহিয়ানের এই এক্সসেপশনাল রিজাল্ট এর বিষয়ে আপনাদের অনুভূতি কি?

মা – আল্ল্লাহর কাছে হাজার শুকুর। সে আগে থেকেই ভাল করছিল। কিন্তু এবার রিপোর্ট পেয়ে দেখলাম সে সত্যিই অভাবনীয় রেজাল্ট করেছে। ভাষায় প্রকাশ করার মত নয় আমাদের অনুভূতি। আমি তার রিজাল্ট পেয়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। আমার মেয়ে কিছুটা অবাক হয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করছিল আমি কেন কান্না করছি। তখন তাকে আমি বলেছি, মা এটি আনন্দের কান্না।

প্রশ্ন : আপনারা কি লেখা পড়ার বিষয়ে নাহিয়ানের উপর খুব চাপ দিতেন? এই যেমন ক্লাসে প্রথম হতে হবে। সর্বোচ্চ নাম্বার পেতে হবে এইরকম?

মা- আমরা কখনো তাকে লেখা পড়ার জন্য চাপ দিতাম না। তার হোম ওয়ার্ক এর ব্যাপারেও কখনো তাকে চাপ দিতাম না। এমনকি তাকে স্মরণও করে দেয়ারও প্রয়োজন পড়তো না। সে নিজে থেকেই এগুলো করে নিত সময়মত। ক্লাসে হাইয়েস্ট মার্ক পেতে হবে এমন কথাও আমরা কখনো তাকে বলতাম না। কিন্তু তার একটা টার্গেট থাকতো যে হান্ড্রেডে হান্ড্রেড পেতে হবে। এমনকি কোন বিষয়ে পয়েনট ফাইভ মার্কস কম পেলেও তার মন খারাপ হয়ে যেত। তখন আমি তাকে জড়িয়ে ধরে বলতাম, ঠিক আছে আম্মু তুমি পরবর্তী সময়ে আরো ভাল করবে। তুমিতো ট্রাই করেছো। তখন ও আবার বলতো, আম্মু তুমি কি মন খারাপ করেছো? আমি বলতাম, না একেবারেই নয়।

ছোটবেলা থেকে তাকে আমি লাইব্রেরীতে নিয়ে যেতাম, ক্লাবে নিয়ে যেতাম। সামারে এক্সট্রা কারিকুলামের বিভিন্ন প্রোগ্রামে নিয়ে যেতাম।

ও যখন গ্রেড সিক্সে পড়তো তখন সে একটি পাখি পালতো। সেই পাখিটি নিয়ে সে একটি স্টোরী লিখেছিল। সেই স্টোরীটি তাদের স্কুলের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছিল।

প্রশ্ন : স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে কি আপনারা নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন মেয়ের একাডেমিক বিষয়ে অগ্রগতি জানার জন্য। যেমন টিচার -প্যারেন্টস মিটিংগুলোতে নিয়মিত যেতেন?

বাবা : না, আমাদের যাওয়া হতো না। আসলে স্কুল থেকে আমাদেরকে কখনো কোন এপয়েন্টমেন্টও দেয়নি এই বলে যে, নাহিয়ানের অগ্রগতির বিষয়ে তারা আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে চায়।

মা : তাকে টিউশন পড়তেও যেতে হয়নি কখনো। গ্রেড এইট পর্যন্ত তাকে সময় সময় অংকে হেলপ করতো তার বাবা। পরে আর তার কোন হেলপ লাগেনি।

বাবা : স্কুলে সে টিচার এসিস্টেন্ট হিসাবেও কাজ করেছে। অর্থাৎ গ্রেড টুয়েলভ এর শেষ সেমিস্টারে তার ৩টা ক্লাশ ছিল। সাধারণত ৪টা ক্লাশ থাকে। তবে সে আগেই শেষ করে ফেলেছিল ঐ ক্লাশটি। ফলে একটা পিরিয়ড তার অফ থাকতো। ঐ অফ পিরিয়ডে সে গ্রেড এলিভেন এর টিচারের সাথে এসিস্টেন্ট হিসাবে কাজ করেছে।

প্রশ্ন : স্কুলে শুধু নাম্বার নয়, ছেলে-মেয়েদেরকে অন্যান্য বিষয়েও আগ্রহী করে তুলতে হয়। যেমন নেতৃত্ব, টিম ওয়ার্ক, সামাজিক মেলামেশা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে অংশ নেয়া ইত্যাদি। এই বিষয়গুলোর বিষয়ে কোন উৎসাহ দিতেন কি নাহিয়ানকে?

বাবা : হ্যা, আমরা উৎসাহ দিতাম।

মা : নাহিয়ানই এসে আমাদেরকে বলতো – আম্মু আমি কি ঐ প্রোগ্রামটিতে যেতে পারি? তখন আমার কাছে যদি মনে হতো ঐ প্রোগ্রাম বা ইভেন্টটি ভাল তখন আমি তাকে অনুমতি দিতাম। সেও খুব উৎসাহ নিয়ে যেত।

প্রশ্ন : ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে আপনার কতটা ফ্রেন্ডলি? নাকি বাংলাদেশী কায়দায় একটা দুরত্ব বজায় রাখেন?

বাবা : শতকরা শতভাগ ফ্রেন্ডলি আমরা।

মা : ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে বাবার সম্পর্ক দেখে মনে হয় যেন তারা বন্ধু।

প্রশ্ন : ছেলে সম্পর্কে কিছু বলুন।

বাবা : আমাদের ছেলে রেদোয়ানুর এভারেজ রেজাল্ট করছে। সেও ব্রিলিয়ান্ট স্টুডেন্ট। কিন্তু বোনের মত লেখাপড়ায় সিরিয়াস নয়। হলে আরো ভাল রেজাল্ট করতে পারতো।

এর পর আমাদের কথা হয় নাহিয়ানের সঙ্গে। বাংলা ও ইংরেজী মিলিয়ে সে প্রশ্নের উত্তর দেয়। প্রথমেই তার কাছে জানতে চাওয়া হয় এই অভাবনীয় রেজাল্ট সম্পর্কে তার অনুভূতি কি?

উত্তরে সে বলে, আমি অভিভূত। আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না প্রথমে।

প্রশ্ন : অবসরে কি করতে ভালবাস?

নাহিয়ান : ছবি আঁকি, গান শুনি, টিভি দেখি, লেগু দিয়ে বিভিন্ন জিনিস বানাই। এছাড়া বই পড়ি। পিয়ানো শিখছি।

প্রশ্ন : স্কুলের সময়টুকু বাদে বাড়িতে লেখাপড়ার পিছনে দিনে কতটা সময় ব্যয় কর?

নাহিয়ান : স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে আমি সাধারণত ঘন্টাখানেক বিশ্রাম নেই। এর পর হোম ওয়ার্ক নিয়ে বসি যতক্ষণ না শেষ হয়।

প্রশ্ন : তোমার এই এক্সসেপশনাল রিজাল্টের রহস্য কি? অর্থাৎ কি ভাবে এরকম ভাল রিজাল্ট করলে?

নাহিয়ান : কোন রহস্য নেই। আমি সবসময় চেষ্টা করে যেতাম ভাল করার। এমনকি ছোটখাট বিষয়গুলোও আমি খুব মনযোগ দিয়ে করার চেষ্টা করতাম।

প্রশ্ন : এরকম রিজাল্ট করার পিছনে তোমার বাবা-মায়ের অবদান কতটুকু?

নাহিয়ান : তাদের অবদান অবশ্যই আছে। তাদের সহযোগিতা ছাড়া আমি এতদুর এগুতে পারতাম না। তারা আমাকে লেখাপড়া এবং এক্সট্রাকারিকুলাম বিষয় ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে দুশ্চিন্তা করার সুযোগই দিতেন না। এমনকি অনেক রাত পর্যন্ত জেগে যখন বিভিন্ন প্রজেক্টের কাজ করতাম তখন হয়তো সারা ঘর প্রচন্ডভাবে এলোমেলো হয়ে থাকতো কাগজপত্রে। কিন্তু সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতাম কোথাও কিছু নেই। সব পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখা হয়েছে আমি ঘুম থেকে জেগে ওঠার আগেই।

প্রশ্ন : ইউনিভার্সিটিতে কোন বিষয়ের উপর পড়তে চাও।

নাহিয়ান : কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এ।

প্রশ্ন : ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি?

নাহিয়ান : সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে মাইক্রোসফট এ কাজ করার ইচ্ছা আছে। ইচ্ছা আছে নিজের একটি কোম্পানী গড়ে তোলারও এ বিষয়ে।

প্রশ্ন : স্কুলে আর কিছু করতে লেখাপড়ার বাইরে?

নাহিয়ান : আমাদের স্কুলে মাল্টিকালচারাল ক্লাব আছে একটি। আমি সেই ক্লাবের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম। সেখানে আমি বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতাম। আমরা সেখানে ফ্যাশন শো সহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করতাম।

প্রশ্ন : কানাডায় তোমার যে এথনিক পরিচয় এবং যে ধর্মীয় পরিচয়, সেটার জন্য কি তুমি কখনো ইনফিরিওরিটি বা হীনমন্যতায় ভুগো?

নাহিয়ান : না, আমি কখনো আমার ধর্মীয় বা এথনিক পরিচয়ের জন্য হীনমন্যতায় ভুগি না। তবে আমি কানাডায় বিশেষ করে টরন্টোতে আছি এর জন্য আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। এটি একটি মাল্টিকালচারাল সোসাইটি। এখানকার স্কুলগুলোও অনেক ডাইভার্সড। আমি যে স্কুলে পড়তাম সেখানে অনেক মুসলিম স্টুডেন্ট ছিল, ছিল বাংলাদেশী স্টুডেন্ট। তাই আমার কখনো মনে হয়নি আমি এই স্কুলের সঙ্গে সম্পর্কিত নই। বা আমি বহিরাগত এমন কখনো মনে হয়নি।

প্রশ্ন : স্কুলে এই পরিচয়গুলোর জন্য কখনো ব্যুলিং বা বর্ণবাদের শিকার হয়েছিলে?

নাহিয়ান : না, আমি কখনো বুলিইং এর শিকার হয়নি। কেউ কেউ হয় শুনেছি। কিন্তু ভাগ্যক্রমে আমি হয়নি।

প্রশ্ন : তুমিতো কানাডায় বড় হয়ে উঠা একজন বাংলাদশেী কানাডিয়ান। তোমার কাছে কি কখনো মনে হয়েছে বাংলা সংস্কৃতি অন্য সংস্কৃতির তুলনায় নিম্মমানের?

নাহিয়ান : না। আমার কাছে কখনোই তা মনে হয়নি। কিছুদিন আগে আব্বুর এক বন্ধু এসেছিলেন। তিনি বলেন, “কানাডার কোন নিজস্ব সংস্কৃতি নেই। এটি একটি নতুন দেশ। কেউ যদি বলে কানাডার ট্রেডিশনাল ফুড কোনটি বা ট্রেডিশনাল ড্রেস কোনটি তাহলে তার উত্তর দেয়াটা কঠিন হবে। কারণ সে রকম কিছু আসলে এই দেশটির নেই। পৃথিবীর নানা প্রান্তের মানুষ এই দেশটিতে এসেছে তাদের নিজ নিজ সংস্কৃতি নিয়ে।”

আমি মনে করি বাংলা সংস্কৃতি উচ্চতর সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতির ইতিহাস আছে। পোষাকে, ভাষায়, খাদ্যে সবকিছুতে এর নিজস্ব ঐতিহ্য আছে। সুতরাং বাংলা সংস্কৃতি অবশ্যই উচ্চতর সংস্কৃতি।