জন টরি দ্বিতীয় মেয়াদে টরন্টোর মেয়র নির্বাচিত হলেন

জন টরি পেয়েছেন ৬৩.৫১ % ভোট : নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেনিফার কিশমাত পেয়েছেন ২৩.৫৫% ভোট

অক্টোবর ২৩, ২০১৮

টরন্টোর মেয়র পদে জয়ী হবার পর জন টরি ও তার স্ত্রী বারবারা সোমবার রাতে বিজয় উদযাপন করছেন । ছবি : কানাডিয়ান প্রেস

প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : ২২ অক্টোবর সোমবার অনুষ্ঠিত টরন্টো সিটি নির্বাচনে জন টরি বিপুল ভোট পেয়ে মেয়র পদে পুননির্বাচিত হলেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৪ লক্ষ ৭৭ হাজার ৬৯০ টি। অন্যদিকে টরন্টো সিটির সাবেক চীফ প্লানার জেনিফার কিশমাত ১ লক্ষ ৭৭ হাজার ১৩০ টি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন। তৃতীয় স্থানে আছেন গোল্ডি ফেইথ যিনি ভোট পেয়েছেন ২৫,৫৭৬ টি। খবর সিবিসি ও গ্লোবাল নিউজ এর।
এবারের নির্বাচনে টরন্টো সিটির মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোট ৩৪ জন প্রার্থী। জন টরি গতবারের নির্বাচনে ৪০% ভোট পেয়ে প্রথমবারের মত মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। ঐ সময় তার প্রতিদ্বন্দ্বিদের মধ্যে ছিলেন ড্যাগ ফোর্ড যিনি ৩৩% ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন। তবে মেয়র নির্বাচনে পরাজিত হলেও গত প্রভিন্সিয়াল নির্বাচনে অন্টারিওর প্রিমিয়ার নির্বাচিত হন ড্যাগ ফোর্ড। আর প্রিমিয়ার নির্বাচিত হয়েই ঘোষণা দেন সিটি কাউন্সিলর এর সংখ্যা ৪৭ থেকে নামিয়ে ২৫ করবেন। তার ঐ ঘোষণা নিয়ে তখন তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি আদালত পর্যন্তও গড়ায়। তবে শেষ পর্যন্ত ড্যাগ ফোর্ডেরই বিজয় হয়। এবং ২৫ টি ওয়ার্ডেই এবার সিটি কাউন্সিলর পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সোমবার রাতে নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর জন টরি তার বিজয়ী ভাষনে বলেন, এটি জনগণের একটি ঐতিহাসিক রায়।
জন টরির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি জেনিফার কিশমাত সোমবার রাতে পরাজয় স্বীকার করে নিয়ে এক টুইট বার্তায় জন টরিকে অভিনন্দন জানান।

উল্লেখ্য যে, এ বছর টরন্টোর মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বাংলাদেশী কানাডিয়ান তোফাজ্জল হোসেন। তিনি ২ হাজার ৩ শত ৩০টি  ভোট (০.৩১% ) পেয়েছেন । অন্যদিকে মহসিন ভুইয়া কাউন্সিলর পদে (ওয়ার্ড ২০) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ২ হাজার ৯ শত ১০ টি ভোট (৯.৯%) পেয়ে তৃতীয় স্থান দখল করেন।