অন্টারিওর ন্যূনতম মজুরী বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত চাকরীর বাজারে নেতিবাচক কোন প্রভাব ফেলেনি

সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮

প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক ; ১৩ আগস্ট, ২০১৮ : বছরের শুরুতে অনেক অর্থনীতিবিদ ভবিষ্যতবাণী করেছিলেন অন্টারিওতে  ন্যূনতম মজুরী ঘন্টায় ১৪ ডলার করার ফলে এখানকার চাকরীর বাজারে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে। চাকরী হারাবেন অনেকে এবং নতুন কোন চাকরী সৃষ্টি হবে না।

ন্যূনতম মজুরি ঘন্টায় ১৫ ডলারে করার দাবীতে গত জানুয়ারী মাসে আন্টারিও পার্লামেন্ট ভবনের সামনে সমাবেশ। ছবি : নিল সেন্ডিল, ইনসাইটটরন্টো.কম এর

টিডি ব্যাংক এর ভবিষ্যতবাণী ছিল ন্যূনতম মজুরী বৃদ্ধির ফলে এই প্রভিন্সে প্রায় ৯০ হজার লোক চাকরী হারাবে। ইন্ডাস্ট্রি গ্র“ুপ ‘রেস্টুরেন্ট কানাডা’র সতর্কবাণী ছিল, ন্যূনতম মজুরী বৃদ্ধি এবং অন্যান্য নতুন লেবার ল এর কারণে ১ লক্ষ ৮৫ হাজার চাকরী হুমকীর মুখে পড়বে।

ন্যূনতম মজুরী বৃদ্ধির পর কিছু কিছু চাকুরীদাতা প্রতিষ্ঠান আত্মরক্ষার নামে কর্মচারীদের বিভিন্ন সুযোগসুবিধা কর্তন করে। কিন্তু দেখা গেল অন্টারিওতে ন্যূনতম মজুরী ১৪ ডলারে উন্নীত করার পর ছয় মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও নতুন চাকরী সৃষ্টিতে তা নেতিবাচক কোন প্রভাব ফেলেনি। বরং দেখা গেছে গত জুলাই মাসেই অন্টারিওতে ষাট হাজার নতুন চাকরী যোগ হয়েছে (যদিও এর একটা উল্ল্লেখযোগ্য অংশ সরকারী প্রতিষ্ঠানে)। অন্যদিকে বেকারত্বের হার কমে এসে ৫.৪ এ ঠেকেছে। স্ট্যাটিসটিকস কানাডার হিসাব এটি। এবং গত ১৮ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ম বেকারত্বের হার এটি। খবর হাফিংটন পোস্ট।

উল্­ল্লেখ্য যে, ন্যূনতম মজুরী বৃদ্ধির ফলে প্রধানত যে দুটি খাতের উপর সবচেয়ে বেশী প্রভাব পড়ার কথা সেই দুটি খাত হলো- একমোডেশন এ্যান্ড ফুড সার্ভিসেস আর রিটেইল এ্যান্ড হোলসেল ট্রেড।

কিন্তু লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো, অন্টারিওতে ন্যূনতম মজুরী বৃদ্ধির পর গত ছয় মাসে একমোডেশন এ্যান্ড ফুড সার্ভিসেস খাতে চৌদ্দ হাজার নতুন চাকরী সৃষ্টি হয়েছে যা বাস্তবিক অর্থেই চিত্তাকর্ষক। শতকরা হিসাবে ২.৩ ভাগ বৃদ্ধি। তবে রিটেইল এ্যান্ড হোলসেল ট্রেড খাতে চাকরীর সংখ্যা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। এই হ্রাসের পরিমাণ ০.৮%। অবশ্য কানাডার সার্বিক চিত্রে দেখা যাচ্ছে ঐ সময়ের মধ্যে চাকরী হ্রাসের পরিমাণ আরো বেশী, ১.৮%। সেই হিসাবে বলা যায় অন্টারিও কানাডার অন্যান্য অঞ্চল থেকে অনেক ভাল করছে। অবশ্য এটিও সত্যি যে, যদি অন্টারিওতে ন্যূনতম মজুরী বৃদ্ধি না করা হতো, তবে চাকরীর বাজার কতটা চাঙ্গা হতো তা সঠিক করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। হয়তো ন্যূনতম মজুরী বৃদ্ধি করা না হলে চাকরীর বাজার আরো বেশী চাঙ্গা হতো যতটা হয়েছে গত ছয় মাসে।