স্বপ্ন পূরণ হলো প্রবাসী বাংলাদেশীদের
কানাডায় ইতিহাস সৃষ্টি করলেন ডলি বেগম
প্রবাসী কণ্ঠ : বাংলাদেশের মেয়ে ডলি বেগম বিপুল ভোট পেয়ে অন্টারিও পার্লামেন্টের এমপিপি নির্বাচিত হয়েছেন। আর এর মধ্য দিয়ে পূরণ হলো কানাডা প্রবাসী সকল বাংলাদেশীদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন।
গত ৭ জুন অন্টারিও পার্লামেন্টের নির্বাচনে ডলি বেগম মূলত প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য সৃষ্টি করেছেন এক ইতিহাস। ইতিপূর্বে অন্টারিওসহ কানাডার অন্য কোন প্রভিন্সে কোন বাংলাদেশী কানাডিয়ান এরকম মর্যাদায় ভুষিত হননি। কাউন্সিলর, এমপিপি বা এমপি কোন পদেই কোন বাংলাদেশী পাশ করতে পারেননি। নির্বাচনে বাংলাদেশী কানাডিয়ানদের অংশগ্রহণও ছিল বলতে গেলে প্রায় শূন্যের কোঠায়।
অন্টারিও প্রভিন্সিয়াল নির্বাচনে নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) থেকে মনোনয়ন পেয়ে ডলি বেগম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন স্কারবরো সাউথওয়েস্ট রাইডিং থেকে। রাত ১২ টায় প্রাপ্ত সর্বশেষ খবরে দেখা গেছে ডলি বেগম ১৯ হাজার ৭ শত ৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচনে জয় লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রগ্রেসিভ কনজারভেটিভ পার্টির গ্রে এলিস পেয়েছেন ১৩ হাজার ৫ শত ৯২ ভোট। অত্র রাইডিং এ গত চার মেয়াদ ধরে ক্ষমতায় ছিলেন লিবারেল পার্টির লরেঞ্জো বেরারডিনেটি। তিনি এবার ভোট পেয়েছেন ৮ হাজার ২ শত ১৫টি।
৭ জুনের এই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পেয়েছে প্রগ্রেসিভ কনজারভেটিভ পার্টি। আনঅফিসিয়াল রিজাল্ট এ দেখা যাচ্ছে পিসি জয়ী হয়েছে মোট ৭৫টি আসনে। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে অন্টারিও এনডিপি। তারা জয়ী হয়েছে ৪০টি আসনে। আর অন্টারিও লিবারেল পার্টি শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছে। তারা আসন পেয়েছে মাত্র ৭টি। অন্টারিও লিবারেল পার্টির প্রধান ক্যাথলিন উইন কিছুক্ষণ আছে ঘোষণা দেন তিনি পার্টি প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। আর এর মধ্য দিয়ে অন্টারিওতে অবসান হতে যাচ্ছে লিবারেল পার্টির ১৫ বছরের ক্ষমতা।