শতকরা ২০ ভাগ কানাডিয়ান গাঁজাখোর!

সিংহভাগ কানাডিয়ান গাঁজা বৈধ করার পক্ষে : বৈধ করা হলে শতকরা ৩০ ভাগই গাঁজা সেবন করবেন

ডিসেম্বর ১৯, ২০১৫

প্রবাসী কন্ঠ ডেস্ক : কানাডায় শতকরা ২০ জন নাগরিক গাঁজা সেবন করেন। আর বৈধ করা হলে গাঁজা সেবন করবেন আরো ১০% বেশী নাগরিক। অর্থাৎ গাঁজা সেবনকারীর সংখ্যা দাড়াবে শতকরা ৩০ ভাগে যদি প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আগামী বছরের মধ্যে এটিকে বৈধতা দান করতে পারেন। সাম্প্রতিক এক জরীপে এমন চকমপ্রদ তথ্যই উঠে এসেছে। খবর সিবিসি নিউজের।

জাস্টিন ট্রুডো অবশ্য বলেননি যে আগামী বছরের মধ্যেই তিনি গাঁজাসেবনকে বৈধতা প্রদান করবেন। তবে কোন আইনগত সমস্যা তৈরী না হলে শীঘ্রই তা বৈধ করা হবে এমনটাই আশা করছেন গাঁজাপ্রেমিকগণ।

ফোরাম রিসার্স এর পরিচালিত জরীপে দেখা গেছে গত বছর কানাডায় শতকরা ২০ জন গাঁজা সেবন করেছেন। আর জরীপে অংশগ্রনকারী শতকরা ৩০ বলেছেন, বৈধতা পেলে আগামী বছর তারা গাঁজা সেবন করবেন। তাছাড়া কানাডিয়ানদের মধ্যে শতকরা ৫৯ জন নাগরিক মনে করেন কিছু কিছু শর্ত আরোপ করে গাঁজাকে বৈধতা দেয়া উচিৎ। নভেম্বর মাসের ৪-৭ তারিখের মধ্যে ১২৫৬ জন কানাডিয়ান নাগরিকের মধ্যে পরিচালিত ঐ জরীপ থেকে উঠে এসেছে এইসকল তথ্য। ফোরাম রিসার্স এর প্রেসিডেন্ট লরনে বজিনফ বলেন, প্রাপ্ত তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে কানাডিয়ানরা গাঁজার ব্যাপারে আগের তুলনায় বর্তমানে অধিক নমনিয়। তার অর্থ হলো, সরকারের পক্ষ থেকে গাঁজা সেবনকে  বৈধতাদান করা অনেক সহজ হয়ে এসেছে।

উল্লেখ্য যে, মাত্র ৪ মাস আগেও গাঁজা সেবনকে বৈধতা দানের পক্ষে ছিলেন শতকরা ৫৩ জন। ফোরাম রিসার্স গত আগস্টে এ বিষয়ে জরীপ চালিয়ে এই তথ্যই পেয়েছিল। নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর গাঁজার প্রতি সমর্থন আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।

কানাডায় যারা গাঁজা সেবন করছেন তাদের মধ্যে যুবক-যুবতীর সংখ্যাই বেশী। শতকরা ৩৪ ভাগ। পুরুষদের সংখ্যা শতকরা ২৩ ভাগ।

গাঁজা কিভাবে উৎপাদিত হবে, কারা উৎপাদন করবে এবং কিভাবে তা বিপনন করা হবে তা নিয়ে কানাডিয়ানদের মধ্যে অবশ্য মতভেদ রয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায় শতকরা ৪৫ জন কানাডিয়ান মনে করেন, গাঁজা উৎপাদন এর ভার বৃহৎ কর্পোরেশনসমুহের হাতে থাকে উচিৎ এবং এগুলো বিপননের ভার থাকা উচিৎ সরকারী এজেন্সির হাতে যেমনটা হয়ে আসছে বিয়ার ও অন্যান্য মদ বিক্রির ক্ষেত্রে। আর শতকরা ১৬ ভাগ নাগরিক মনে করেন, ব্যক্তি পর্যায়ে গাঁজা উৎপাদনের অনুমতি দেয়া যেতে পারে এবং তারা যাতে এটি সরাসরি ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করতে পারে সেই অনুমতিও দেয়া যেতে পারে। আর শতকরা ৭ জন মনে করেন, গাঁজা উৎপাদন বা বিপননের অনুমতি কোন অবস্থায়ই দেয়া উচিৎ নয়।