প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্বপ্ন পূরণের দ্বারপ্রান্তে ডলি বেগম
স্কারবরো সাউথ ওয়েস্টের লিবারেল দুর্গে বাংলাদেশী কানাডিয়ান ডলি বেগমের হানা : দ্রুত বাড়ছে তার দলের জন সমর্থন
জুন ৩, ২০১৮
রেজাউল হাসান : কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশীদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন এখানকার মূলধারার রাজনীতিতে নিজেদের কেউ প্রতিনিধিত্ব করুক। সেটা হতে পারে কাউন্সিলর, এমপিপি বা এমপি’র পদ। কিন্তু এই প্রবাসে যারা রাজনীতিতে আগ্রহী তারা কোনক্রমেই আওয়ামী লীগ আর বিএনপি’র বৃত্ত থেকে বেড়িয়ে আসতে পারছেন না। ঘুরে ফিরে দেশী রাজনীতেই ঘুরপাক খাচ্ছেন তারা।
তবে এবার আমাদের দ্বিতীয় প্রজন্মের এক উদ্যোমী , মেধাবী ও সাহসী মেয়ে ডলি বেগম এগিয়ে এসেছেন মূলধারার রাজনীতিতে। তিনি আসন্ন প্রভিন্সিয়াল নির্বাচনে নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) নমিনেশন পেয়ে স্কারবরো সাউথওয়েস্ট রাইডিং থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বি হলেন ঐ এলাকার দীর্ঘদিনের লিবারেল এমপিপি লরেঞ্জো বেরারডিনেটি। লরেঞ্জো এই এলাকা থেকে গত ৪ টার্ম ধরেই এমপিপির পদ দখল করে আছেন।
এরকম একজন প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বির বিরুদ্ধে নির্বাচনী যুদ্ধে নেমে ডলি বেগম কতটুকু সফল হতে পারবেন সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সব জরিপ বলছে এবারের নির্বাচনে এনডিপি’র জেতার সম্ভাবনাই বেশী। এই প্রতিবেদন যখন তৈরী করা হচ্ছে (৩১ মে) তখনকার সর্বশেষ জরিপ সমূহের গড় ফলাফলে দেখা যাচ্ছে এনডিপি’র জনপ্রিয়তা বেশী। সিবিসি নিউজের ‘পুল ট্রাকার’ এর হিসাব অনুযায়ী এনডিপি’র জনপ্রিয়তা ৩৭.৩%, পিসি’র জনপ্রিয়তা ৩৬.৬% এবং লিবারেল এর জনপ্রিয়তা ১৯.৩%।
প্রথম দিকে পিসি জনপ্রিয়তার বিচারে অনেকদূর এগিয়ে ছিল। কিন্তু নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসতে থাকে এনডিপি’র জনপ্রিয়তা ততই বাড়তে থাকে। নির্বাচন অনুষ্ঠানে দিন বাকি আর মাত্র এক সপ্তাহ। যদি এনডিপি’র জনপ্রিয়তার এই গতি অব্যাহত থাকে তবে ডলি বেগম এর জয়ী হবার সম্ভাবনা নিশ্চিতভাবেই বেশী। আর তার নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে বাস্তবায়িত হবে প্রবাসী বাংলাদেশীদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন।
আমরা প্রবাসী কণ্ঠ ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে কথা বলেছি ডলি বেগম এর সঙ্গে। জানতে চেয়েছি তার সংগ্রামের কথা। তার ও তার দলের নির্বাচনী প্রতিশ্র“তির কথা। আসন্ন নির্বাচনে জয়ী হবার সম্ভাবনা সম্পর্কে তিনি নিজে কতটা আশাবাদী সে প্রশ্নও তাকে করেছি।
তার সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করা হয় ২৫ মে। দিনটি ছিল শুক্রবার। সকাল দশটায় ডলি বেগমের নির্বাচনী অফিসে (কিংস্টন আর ড্যানফোর্থের সন্ধি স্থলে) গিয়ে আমরা উপস্থিত হই। ঠিক ঐ সময়ই প্যান্ট আর হাওয়াই সার্ট পরা ছিপছিপে গড়ণের সুদর্শণা তরুণী ডলি বেগম তার এ্যাকুরা গাড়িটি পার্ক করে আমাদের দিকে এগিয়ে এলেন। হাসলেন মুখ ছড়িয়ে। বললেন, আসুন ভেতরে। তিনি নিজে অফিসের দরোজার হাতল ঠেলে দেখলেন বন্ধ। ভেতর থেকে। স্বগোক্তি করলেন, সামবডি ইনসাইড। তারপর কয়েকবার কল করার পর দরোজা খুলে এক শ্বেতাঙ্গ ভদ্রলোক বেরিয়ে এলেন। তার চোখে তখনো ঘুম লেগে আছে। ডলি বললেন, কাল রাত আড়াইটা পর্যন্ত আমরা সবাই কাজ করেছি-বুঝতেই পাছেন সবাই ট্রায়ার্ড।
ভেতরে ঢুকে দেখি আরও একজন হোয়াইট জেনটেলমেন কাগজ পত্র গোছাচ্ছে। বললেন, প্রথম যাকে দেখলেন, তিনি আমর ক্যাম্পেইন ম্যানেজার আর দ্বিতীয় জন তার সহকারী। আমাদের সাথে আলাপ করিয়ে দিলেন। বিশাল বিশাল দুই রুম নিয়ে ডলি বেগমের নির্বাচনী অফিস। বেশ কয়েকটি কমপিউটার আর নির্বাচনে প্রচার পত্রে অফিস ঠাসা। বললেন, নির্বাচনী প্রচারণায় এ দু’জন বেশ অভিজ্ঞ। অফিস নির্বাচনী খরচ সব পার্টির থেকেই দেয়। আর আমাদের ভলানটিয়ার তো আছেই। সবচে’ ইন্সপায়ারিং থিংস হচ্ছে আমাদের কমিউনিটির প্রচুর স্টুডেন্ট আমাদের ক্যাম্পেইন-এ অংশ নিচ্ছে। তাদেরকে কিছু বলতেই হয়নি-নিজেদের থেকেই এসেছে।
ডলি বেগম এর কাছে জানতে চাইলাম তার প্রতিদ্বন্দ্বিকে নিয়ে তিনি কি ভাবছেন ? ডলি হেসে বললেন, তিনি একজন হোয়াইট,তার পার্টি লিবারেল। অনকে বছর ধরে এম পি পি। ইলেকশনে দাঁড়ান এবং নির্বাচিত হন। ডলি বলেন, আমরা ডোর টু ডোর যাচ্ছি। কেউ তার নামও জানেনা। রিয়েলি স্ট্রেঞ্জ!
ডলি বলেন, এই রাইডিং এ ভোটার প্রায় ৪০ হাজার। বেশীরভাগই হোয়াইট। ফিলিপিনো আছে-আছে আমাদের কমিউনিটিও। এ যাবত আমি দশ হাজারের মতো মিট করেছি। আমাদের নেট ওয়ার্ক কাজ করছে। লিবারেলের চেয়ে এনডিপি’র ক্যানডিডেট কেন ভাল তার ম্যাসেজ খুবই শার্পলি ভোটারদেও কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। ইঁটস-অ্যা হিউজ ওয়ার্ক। সব খানেই আমাদের ক্যাম্পেইন যে খুব ভাল কাজ করছে তা গ্যালপ পুলে বোঝা যাচ্ছে। আমরা কখনো কখনো টাই করছি পি সি’র সাথে। লিবারেল তো অনেক পেছনে। আমাদের চান্স তো খুবই ভাল। ওই যে বলেনা ফিভার-ভোটাররা ঝুঁকে পরে এক পার্টির দিকে। দেখলেন না জ্যাক লেটনের নেতৃত্বে একবার ফেডারেল ইলেকশনে লিবারেলকে হঁটিয়ে দিয়ে এন ডি পি সেকেন্ড পজিশনে এসে গেল। এবারে প্রভিনশিয়াল ইলেকশনেও সেই রকম একটা ব্রেক থ্রো এক্সপেক্ট করছি।
ডলির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, এনডিপির সাথে তিনি কতদিন ধরে জড়িত? নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে তার নিজের ফ্যামিলির সাপোর্ট কতোটা? আর তার এই নির্বাচন করার বিষয়টি কি আকস্মিক নাকি দীর্ঘ দিন ধরেই পরিকল্পনা ছিল!
ডলি বলেন, আমি মাত্র বছর দুয়েক ধরে এনডিপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ব্যক্তিগত ভাবে আমি ওয়ারডন উড কমিউনিটি সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, স্কারবরো হেলথ কোয়ালিশনেও কাজ করেছি এবং হাইড্রো ওয়ান বিক্রির বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন করেছি। মূলতঃ আমি এনার্জি সেক্টরের লোক। এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করার সুবাদে এনডিপির সঙ্গে একটা সম্পর্ক ডেপালাপ করে। এনডিপি সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে সবকিছু রাখার চেষ্টা করে। পলিটিক্যাল পার্টি অনেক কমিট করে ইলেকশনের আগে পরে যা তারা রক্ষা করেনা। যেমন লিবারেল স্কারবরো গ্রেস হসপিটালের বেড ৫০টা কমিয়ে দেয়। তারা বলেছিল, সামারে এই বেড আবার বাড়িয়ে দেবে-কই দিল তো না। তাছাড়া হাসপাতালে ইমার্জেন্সিতে ওয়েটিং টাইম আমরা দেখেছি এভারেজ থারটি আওয়ার্স। তারা কমিট করেছিল এই টাইম কমিয়ে আনবে। এনেছে কি? আমরা নির্বাচিত হলে প্রেসক্রিপসান ড্রাগ ফ্রি করে দেব। ডেন্টাল ফ্রি। এসব শুধু আমাদের কমিটমেন্ট না-উই উইল কিপ ইট।
ডলি বেগম বাবা মায়ের হাত ধরে মাত্র এগারো বছর বয়সে ’৯৯ সালে এ দেশে এসেছিলেন। তারপর থেকেই যুক্ত থেকেছেন বিভিন্ন সংগঠনের ভলানটিয়ার হিসেবে। ছাত্রী হিসেবেও ছিলেন চৌকষ। টরন্টো ইউনির্ভাসিটি থেকে আন্ডার গ্র্যাড করে মাস্টার্স করেছেন ইংল্যান্ড থেকে। বর্তমানে কাজ করছেন একজন রিসার্চ অফিসার হিসেবে দ্য সোসাইটি অব এনার্জি প্রফেশনাল-এ। বললেন, আমার তো হাইয়েস্ট স্কোর ছিল-তার জোরে কিন্তু চাকরি পাইনি। চাকরি পেয়েছি কানেকশনে। ওই যে ভলানটিয়ার হিসেবে কাজ করেছি-এভাবেই একটা কম্যুনিকেশন বিল্ড আপ করেছি। আমাদের সঙ্গে আমাদের কমিউনিটির যে সব ছেলে মেয়েরা ক্যাম্পেইন করতে আসছে তাদের বলছি তোমরা ভলানটিয়ারী করো-ইউ উইল ফাইন্ড নাইস অপুরচুনিটি।
ডলি বলেন, আমার মা বাবা আমার ইলেকশানের ব্যাপারে খুবই সাপোর্ট করছেন। যখন আমি ইলেকশনের অফার পেলাম তখন আমি পার্টিকে বললাম, আমার বাবা তো একবার সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হওয়ার পর আর কোন কাজ করতে পারেন না-ওনলি আমি আর আমার ভাই। এ্যান্ড হ্যাভ টু পে বিল। সাত/আট মাস ভেবেছি। আমার বাবাই বললেন, দাঁড়াও-সবাই যখন ধরেছে। তাপর দাঁড়িয়ে গেলাম-ইনশাল্লাহ্ ভালই তো সাড়া পাচ্ছি। আপনাদের সকলেরই দোয়া চাই। আমাদের পিছিয়ে থাকা কমিউনিটির জন্যে আমাকে কাজ করার সুযোগ দিন।
ডলি বেগম আরো বলেন, অন্টারিওতে জনগণের স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নে এনডিপি যে সার্বিক পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলছে তা নিয়ে আমি গর্বিত। এই পদক্ষেপের মধ্যে আছে অন্টারিওর হাসপাতালগুলোর অবস্থার উন্নয়ন সাধন। বর্তমানে স্কারবরোতে হাসপাতাল বেডের সংখ্যা ২৫% কমিয়ে আনা হয়েছে। ফলে রোগীদেরকে হাসপাতালের হলওয়েতে অবস্থান নিতে হচ্ছে। আমরা এই হলওয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা বন্ধ করে হাসপাতাল বেডে রোগীদের চিকিৎসা করাতে চাই।
ডলি বেগম আরো বলেন, অন্টারিওতে স্বাস্থ্য সেবা পেতে অপেক্ষার যে দীর্ঘ সময় পার করতে হয় সেটা আমরা বন্ধ করার ব্যবস্থা করবো। বর্তমানের বাস্তবতা হলো, হাসপাতালের এমার্জেন্সীতে রোগীদেরকে গড়ে ৩০.৫ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় যা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ডাক্তারদের চেম্বারেও দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়ে রোগীদেরকে। এটিও গ্রহণযোগ্য নয়।
অন্টারিওতে বয়স্ক ব্যক্তিগণ যাতে সম্মান এবং মর্যাদার সঙ্গে চিকিৎসা সেবা পেতে পারেন সে ব্যাপারে এনডিপি’র রয়েছে বাস্তব পরিকল্পনা।
ডলি বেগম বলেন, আমরা অন্টারিওতে ন্যূনতম মজুরী ১৫ ডলারে উন্নীত করার বিষয়টি নিশ্চিত করবো। সস্তায় অটো ইন্সুরেন্স, হাইড্রো রেট কমিয়ে আনা এবং সকল অন্টারিওবাসীর জন্য সুস্বাস্থ্য এসবই আমাদের কর্মসূচীতে রয়েছে।
নির্বাচনের আগ মূহুর্তে আপনার এলাকার ভোটারদের প্রতি আপনার বার্তা কি? এই প্রশ্নের জবাবে ডলি বেগম বলেন, আমি আমার এলাকার জনগণের প্রতি এই বার্তাই দিতে চাই যে, আমি তাদের জন্য কাজ করতে চাই, তাদের প্রতি অমি যত্মবান হতে চাই। এই কমিউনিটির সেবায় আমি দীর্ঘদিন কাজ করেছি। সেই সেবাকে আরো জোরদার করার জন্য এবার আমি রাজনৈতি অঙ্গণে প্রবেশ করেছি।
তিনি বলেন, গত দুই দশকে অন্টারিও পিসি এবং লিবারেল আমাদের আশা ও স্বপ্নকে বিক্রি করে দিয়েছে বৃহদাকারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে যাতে করে ঐ প্রতিষ্ঠনগুলো প্রচুর মুনাফা আয় করতে পারে। আর এর জের টানছি আমরা যারা সাধারন শ্রমজীবী মানুষ তারা কম মজুরীতে শ্রম বিক্রি করে। এই প্রভিন্সের সাধারণ জনগণ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে এই দুই রাজনৈতিক দলের কর্মকান্ডে। এই দল দুটি মানুষকে ভুল পথে চালিত করে আসছে এবং ক্রমাগত মিথ্যা প্রতিশ্র“তি দিয়ে আসছে। লিবারেল আর কনজারভেটিভ পার্টি জনগনের বিলিয়নস অব ডলার অপব্যায় করেছে যা দিয়ে আমাদের হাসপাতাল , স্কুল এবং রাস্তাঘাটসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাতের উন্নয়ন করা যেত। আর এর সুফল পেত সাধারণ জনগণ। এখন সময় এসেছে পরিবর্তনের। আমরা ‘খারাপ এবং অধিকতর খারপ’ এই দুইয়ের মধ্যে একটিকে নির্বাচিত করবো এই বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে চাই।
কনজারভেটিভ ও লিবারেল অন্টারিওতে যে বিশৃংখলা তৈরী করেছে সেটা সুগঠিত ও পরিচ্ছন্ন করতে চাই। আমি একটি বিকল্প প্রস্তাব করছি। আমি কঠোর পরিশ্রমী পুরুষ ও নারীর পক্ষ হয়ে এমন একটি কমিউনিটি গড়ে তুলতে চাই যেখানে আমরা সবাই অনুভব করবো যে এই কমিউনিটি আমাদেরই। আমি আমাদের পরবর্তী জেনারেশনকে ক্ষমতাশীল করতে চাই যাতে করে তারা আমাদের পিতা-মাতার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে পারে। তাদের কর্মকান্ডের মাধ্যমে আমাদের পিতা-মাতারা যে সেক্রিফাইস করে গেছেন সেটার সুফল যেন উঠে আসে।
আমি জানি এটি বাস্তবায়িত করা কঠিন কাজ। তবে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর ও সুখী কমিউনিটি গড়ে তুলতে পারি। আর এই লক্ষ্যে আমি কুইন্সপার্কে নিরলসভাবে কাজ করে যাব।
(ছবি: ডলি বেগমের নির্বাচনী ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)