টরন্টোর ডাউনটাউনের আবাসিক এলাকায় গাড়ীর গতি সীমা হ্রাস করা হচ্ছে
ঘন্টায় ৪০ কিলোমিটারের স্থলে ৩০ কিলোমিটার করা হবে : পর্যায়ক্রমে অন্যান্য এলাকাতেও গতি সীমা হ্রাস করা হতে পারে
১১ জুলাই, ২০১৫
প্রবাসী কন্ঠ ডেস্ক : টরন্টোর ডাউনটাউনের আবাসিক এলাকায় গাড়ির গতি সীমা শীঘ্রই হ্রাস করা হচ্ছে। গত ২২ জুন ইস্ট ইয়র্ক কমিউনিটি কাউন্সিলের সদস্যগণ সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সিটির কর্মকর্তারা এবং শহরতলির কাউন্সিলরগণ অবশ্য আগে থেকেই এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে সতর্কবাণী উচ্চারণ করে আসছিলেন। সিটির কর্মকর্তাদের ভাষ্য হলো- গতি সীমা হ্রাস করা হলে পথিক ও সাইকেল চালকদের নিরাপত্তা হয়তো বৃদ্ধি পাবে কিন্তু এই সিদ্ধান্ত অনেক স্থানীয় সড়কের জন্য উপযোগী নাও হতে পারে। তবে টরন্টোর পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট এবং প্রভিন্সিয়াল করোনার (শব পরীক্ষক) গাড়ির গতি সীমা হ্রাস করার পক্ষেই অভিমত ব্যক্ত করে। খবর টরস্টার নিউজ সার্ভিসের।
টরন্টোর সিটি কর্মকর্তারা বলেন কাউন্সিলদের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার জন্য ট্রাফিক সাইন এবং সিগলান পরিবর্তন করতে হবে যার জন্য খরচ পড়বে ১.১ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু চলতি বাজেটে এই খাতে কোন খরচ রাখা হয়নি।
তবে কাউন্সিলরদের পক্ষ থেকে সিটি কর্মকর্তাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে তারা এই কাজটি করার জন্য পরবর্তী বাজেটের অপেক্ষায় না থাকেন। সিটি কাউন্সিলরগণ নিশ্চিত যে কাজ শুরু করার জন্য ফান্ড যোগার করা যাবে আগামী সেম্পম্বরের মধ্যেই।
কাউন্সিলরদের অনেকেই বলেন, গতি সীমা এবং রস্তার নিরাপত্তাই তাদের সর্বোচ্চ উদ্বেগের বিষয়। স্থানীয় অধিবাসীদের অনেকেই এই সিদ্ধন্তকে স্বাগত জানান। তাদের কেউ কেউ গতি সীমা আরো কমোনোর পক্ষে ছিলেন।
কাউন্সিলদের কেউ কেউ বলেন, অদূর ভবিষ্যতে শহরের অন্যান্য অঞ্চলেও এই সিদ্ধান্ত অনুসরন করা হতে পারে।
সিটির কর্মকর্তারা জানান, কাউন্সিলরদের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে দুই থেকে তিন বছর লেগে যেতে পারে।
মেয়র জন টরি অবশ্য এই গতি সীমা হ্রাসের পক্ষে নন। তবে ইস্ট ইয়র্ক কমিউনিটি কাউন্সিলের সদস্যগণ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। টরন্টোর যে ওয়ার্ডগুলোতে গাড়ির গতি সীমা হ্রাস করা হবে সেগুলো হলো, ওয়ার্ড ১৪ (পার্কডেল-হাই পার্ক), ওয়ার্ড ১৮ (ডেভেনপোর্ট), ওয়ার্ড ১৯ (ট্রিনিটি-স্পাডাইনা), ওয়ার্ড ২০ (ট্রিনিটি-স্পাডাইনা, জো ক্রিসী’র ওয়ার্ড), ওয়ার্ড ২১ (সেন্ট. পলস), ওয়ার্ড ২২ (সেন্ট. পলস, জস ম্যাটল’র ওয়ার্ড), ওয়ার্ড ২৭ (টরন্টো সেন্টার-রোজডেল), ওয়ার্ড ২৮ (টরন্টো সেন্টার-রোজডেল, পাম মেক্কনেল এর ওয়ার্ড), ওয়ার্ড ২৯ (টরন্টো-ড্যানফোর্থ), ওয়ার্ড ৩০ (টরন্টো-ড্যানফোর্থ, পলা ফ্লেচারের ওয়ার্ড), ওয়ার্ড ৩১ (বিচেস-ইস্ট ইয়র্ক, জেনেট ডেভিসের ওয়ার্ড), ওয়ার্ড ৩২ (বিচেস-ইস্ট ইয়র্ক, মেরী মার্গারেটের ওয়ার্ড)।