টরন্টোতে মুসলিম পাত্র-পাত্রী সন্ধানে নতুন পন্থা
জানুয়ারী ১২, ২০১৬
প্রবাসী কন্ঠ ডেস্ক : কানাডার এই মাল্টি কালচারের সমাজ ব্যবস্থায় বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বিয়ের জন্য পাত্র-পাত্রীর সন্ধান বা খোঁজ করা একটি কঠিন কাজ হয়ে দাড়িয়েছে। লোকসংখ্যা যে সম্প্রদায়ে যত কম সে সম্প্রদায়ের মধ্যে এই পাত্র-পাত্রী খুঁজে বের করা তত বেশী কঠিন। আর কানাডায় মুসলিম সমাজে এই কাজটি আরো কয়েক মাত্রা বেশী কঠিন এই কারণে যে, ছেলে-মেয়েদের ডেটিং বা সামাজিক মেলা-মেশা, এমনকি অনলাইনে বন্ধুত্বস্থাপনকে তাদের অভিভাবকরা পছন্দ করেন না। ধর্মেও নিষেধ করা আছে ডেটিং এর ব্যাপারে।
তাহলে উপায় কি? দেশ থেকে পাত্র বা পাত্রী এনে সমস্যার সমাধান? সেটিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না কারণ, ধর্ম এক হলেও দুই দেশের দুই সংস্কৃতি। বিয়ের পর নানান সমস্যা দেখা দেয়। দ্বিতীয় সমাধান হলো কানাডায়ই সমধর্মের অন্য এথনিক কমিউনিটি থেকে পাত্র বা পাত্রী খুঁজে বের করা। আর সে লক্ষ্যেই সম্প্রতি টরন্টোতে শুরু হয়েছে ব্যতিক্রমধর্মী এক পাত্র-পাত্রী সন্ধানের প্রক্রিয়া। ‘মেট্রো’র এক সংবাদ থেকে জানা যায়, গত ২৭ ডিসেম্বর টরন্টোর মেট্রো কনভেনশন সেন্টারে জবারারহম ঃযব ওংষধসরপ ঝঢ়রৎরঃ নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে দুই দফায় অনুষ্ঠিত হয় পাত্র-পাত্রীর মুখমুখি আলাপ-পরিচয় এবং পছন্দ করার এই নতুন প্রক্রিয়াটি। প্রতি বৈঠকে যোগ দেন ২৩০ জন করে পাত্র-পাত্রী।
আসন সংখ্যার চেয়ে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল অনেক বেশী। হলরূমে মুখমুখি বসেন সবাই। এক দিকে পাত্রদের আসন, অন্যদিকে পাত্রীদের আসন। দুই মিনিট পর পর প্রত্যেকে আসন বদল করেন পরবর্তী পাত্র-পাত্রীর মুখমুখি হওয়ার জন্য। অনেকে একাই গিয়েছিলেন পাত্র বা পাত্রীর খুঁজে। আবার কেউ কেউ সাথে করে নিয়ে গিয়েছিলন বন্ধু বা বান্ধবীকে কিংবা বাবা-মা’কে।
শুরুতে বিয়ে সম্পর্কে ইসলামী আইনে কি বলা আছে সে সম্পর্কে একটি ব্রিফিং দেয়া হয় পাত্র-পাত্রীদেরকে। গ্রুপ বৈঠক শেষে পছন্দ হয়েছে বা হতে পারে এমন পাত্র-পাত্রীদের মধ্যে ভবিষ্যত যোগাযোগের ব্যবস্থা করে দেয় আয়োজকরা কিছু বিধি-নিষেধ ও শর্ত আরোপ করে।
পরবর্তী সেশন কবে হবে তা জানতে আগ্রহীরা http://risconvention.com/ ওয়েবসাইটে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন।