কানাডার প্রায় অর্ধেক মিলিয়নিয়ার অভিবাসী
ডিসেম্বর ১৮, ২০১৩
প্রবাসী কন্ঠ ডেস্ক : নতুন এক পরিসংখ্যানে অনুযায়ী কানাডার প্রায় অর্ধেক মিলিয়নিয়ার হয় অভিবাসী নাহয় কানাডায় প্রথম প্রজন্ম। এরা সবাই বিপুল অর্থ-বিত্তের মালিক হয়েছেন কানাডায় আসার পর।
জড়িপে অংশ নেয়া মাত্র ২০ শতাংশ জানিয়েছে তাদের সম্পদের অন্তত একটি অংশ উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া।
বিএমও হ্যারিস প্রাইভেট ব্যাংকিং জরিপে দেখা যায়, এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা তার বেশি নগদ অর্থের মালিক ৪৮% কানাডিয়ান হয় অভিবাসী(২৪%) অথবা কানাডায় প্রথম প্রজন্ম (২৪%)। অর্থাৎ তাদের বাবা-মা’র মধ্যে অন্তত একজনের জন্ম কানাডার বাইরে। বৃটিশ কলাম্বিয়ার ৬৮% মিলিয়নিয়ার জানিয়েছেন তারা কানাডার নতুন নাগরিক।
কানাডায় আসার পর মিলিয়নিয়ার হয়েছেন এমন একজন হচ্ছেন বিক্রম ভিজ। কানাডায় অভিবাসী হিসেবে আসার পাঁচ বছর পর তিনি ভ্যানকুভারে একটি ভারতীয় খাবারের রেস্টুরেন্ট খোলেন।
সিটিভি’র রিপোর্টারকে ভিজ বলেন, “আমি যখন এই দেশে আসি তখন আমি বুঝতে পারি এটি হচ্ছে তারুণ্যদ্বীপ্ত একটি দেশ”।“বুঝতে পেরেছিলাম যদি আমি কঠোর পরিশ্রম করি, এই দেশ আমাকে উন্নতি করার সুযোগ দেবে। ভারতে থাকাকালীন সময়ে এটাই আমি চেয়েছিলাম”।
ভিজ জানান, যখন তিনি তার প্রথম রেস্টুরেন্টের জন্য বাড়ি লিজ নেন তখন বাড়িওয়ালা ভবনে তরকারির গন্ধের জন্য অভিযোগ দিয়েছিলেন।
“আমি সত্যিকার অর্থেই ধীর গতিতে আগাচ্ছিলাম এবং বিল পরিশোধে আমাকে অনেক কাঠখোর পোহাতে হত। কাজেই বাড়িওয়ালাকে খুশি করতে ঘরে তরকারি রান্না করে রেস্টুরেন্টে পাঠাতে আমি আমার বাবা-মাকে অনুরোধ করলাম”।
এখন ভিজ বৃটিশ কলাম্বিয়াতে দু’টি রেস্টুরেন্ট চালান, দু’টি রান্না বিষয়ক বইও বেরিয়েছে তার। সমৃদ্ধির এ ধারা আমৃত্যু বজায় রাখতে চান তিনি।
পরিসংখ্যানে আরো দেখা যায়, ভিজের মতো কানাডার দুই-তৃতীয়াংশ মিলিয়নিয়ার কারো সাহায্য ছাড়াই নিজে নিজে তার মূলধন গড়ে তুলেছেন।
বিএমও-এর অ্যালেনৈ ডেজনোয়ার্স বলেন,“ তাদের সম্পদ উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া নয়। এরা সবাই নিজের সম্পদ নিজের চেষ্টায় গড়ে তুলেছেন”।
পরিসংখ্যানে আরো দেখা যায়, কানাডার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ নারীদের অবদান, যা তিন বছর আগের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। ৪০ শতাংশ নারী তাদের সম্পদ নিজেরাই গড়ে তুলেছেন।
সম্পদ গড়ার ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হতে পারে: কানাডার প্রতি ১০ জন মিলিয়নিয়ারের মধ্যে আট জনের বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপক্ষে একটি ডিগ্রি রয়েছে, এরমধ্যে ৪৬ শতাংশ গ্রাজুয়েট ব অথবা তাদের অন্যকোন প্রফেশনাল ডিগ্রি রয়েছে।
মাত্র ১০ শতাংশের কারিগরি, বাণিজ্য বা শিক্ষানবিশি ডিগ্রি এবং ৯ শতাংশের শুধুমাত্র হাইস্কুল ডিপ্লোমা অথবা এরচেয়ে কম শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে। ২৮ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল ২০১৩ এই সময়ের মধ্যে অনলাইন জরিপটি পরিচালনা করে পুলারো।এক মিলিয়ন বা তার অধিক অর্থবিত্তের অধিকারীদের উপর এই জরিপ চালানো হয়।