এখন থেকে অনলাইনে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করা যাবে

ডিসেম্বর ২৭, ২০১৩

প্রবাসী কন্ঠ ডেস্ক : এখন থেকে অন্টারিওর  কোন গাড়ি চালককে আর তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। কাজটা এখন ঘরে বসে অনলাইনেই সেরে ফেলতে পারবেন তারা।

অন্টারিওর নাগরিক সেবার ক্ষেত্রে এটা সবশেষ সংযোজন। অন্টারিওর প্রশাসন তাদের সব কাজ অনলাইনের মাধ্যমে করার চেষ্টা করছে। এরইমধ্যে শিশুর জন্মনিবন্ধ থেকে শুরু করে তাদের এক তৃতীয়াংশ কাজ অনলাইনে সম্পাদন করা শুরু করে দিয়েছে তারা।

সরকারি পরিসেবা বিষয়ক মন্ত্রী জন মিলয় গত ২৪ সেপ্টেম্বর এই পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়ে বলেন, “অন্টারিওর  বাসিন্দারা খুবই ব্যস্ত, তাদের কোন ফুসরৎ নেই…তাদের ব্যস্ততার সাথে আমরা সবকিছু সমন্বয় করার চেষ্টা করছি। নতুন এই পদক্ষেপের ফলে পাঁচ বছরে সরকারের সাত লাখ ডলার সাশ্রয় হবে”।

মিলয় আরো বলেন, জীবনকে আরো একটু সহজ করতে এবং সার্ভিস অন্টারিওর সেন্টারে দীর্ঘ লাইন কমাতেই এই পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। যদিও প্রথমে মাত্র পাঁচ শতাংশ চালক এই সুবিধা নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রতি বছর অন্টারিওর  অন্তত ১৬ লাখ ড্রাইভার তাদের লাইসেন্স নবায়ন করে। যা প্রতি পাঁচ বছর অন্তর নবায়ন করা বাধ্যতামূলক।

বেশিরভাগ মানুষই অনলাইন সুবিধা নিতে পারবে। তবে কিছু শর্ত আছে-সেগুলো হলো: বয়স ৭৯ বছরের নিচে হতে হবে, সবশেষ ৯০ দিন ঠিকানা অপরিবর্তিত থাকতে হবে, ড্রাইভিং লাইসেন্স-এ দেয়া ছবি সাম্প্রতিক হতে হবে এবং চোখের দৃষ্টিশক্তির পরীক্ষা দেয়া বাধ্যতামূলক নয়।

অনলাইন বা সশরীরে গিয়ে যেভাবেই লাইসেন্স নবায়ন করা হোক না কেন ৮০ ডলার ফি দিতে হবে।

একজন গাড়ি চালককে নতুন ছবি তুলতে সার্ভিস অন্টারিও সেন্টারে যেতে হবে কিনা এ বিষয়ে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে মেইলে নোটিশ পাঠানো হবে। এটা অবশ্যই ব্যক্তিগতভাবে করতে হবে।

লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার ২৮ দিন অথবা এক বছরের বেশি সময় পর যদি নবায়নের কাজ শেষ হয়, তাহলে চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে নতুন লাইসেন্স তাদের মেইলে আসার আগ পর্যন্ত তারা সাময়িক অনুমোদন পত্র ডাউনলোড করে নিতে পারবে।

অন্টারিওর  বাসিন্দাদের যদি সার্ভিস অন্টারিওর  কাছ থেকে কোন সেবা নেয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে প্রথমে অনলাইনে খোঁজ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মিলয়। তিনি বলেন, অনলাইনে যদি কাজ হয়ে যায় তাহলে আর কষ্ট করে লাইনে দাঁড়াতে হয় না।

কর্মকর্তারা জানান, সার্ভিস অন্টারিওর  অনলাইন ব্যবহারে ব্যাপক তারতম্য রয়েছে। উদাহরণস্বরুপ, ৯০ শতাংশ বাবা-মা তাদের সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করায় অনলাইনে কিন্তু মাত্র ১০ শতাংশ গাড়ি চালক তাদের লাইসেন্স স্টিকার নবায়ন করে কম্পিউটারের মাধমে।

মিলয় বলেন, স্বাস্থ্য সেবা কার্ডের নবায়নসহ নানা ধরণের সেবা অনলাইনে দেয়ার কাজ চলছে। এটা হচ্ছে তাই যা আমরা খুঁজছি।

স্বাস্থ্য সেবা খাতে দুর্নীতি/জালিয়াতি কমাতে পুরনো লাল সাদা স্বাস্থ্য কার্ড যাতে ছবি অথবা মেয়াদ উত্তির্নের তারিখ নেই তা বাতিল করতে সরকার পাঁচ বছর মেয়াদী কর্মসূচী হাতে নিয়েছে।

অন্টারিওর  অন্তত ৩১ লাখ বাসিন্দা এখনো পুরনো স্বাস্থ্য কার্ড ব্যবহার করছে এবং নতুন ও আরো অধিক নিরাপদ ছবি সম্বলিত স্বাস্থ্য কার্ড নিতে তাদেরকে মেইল করা হবে।