মেডিক্যাল টেস্টে অভিবাসন নাকচ করে দেওয়ার নীতি এপ্রিলের মধ্যে বাতিল করবে অটোয়া
মার্চ ১৩, ২০১৮
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক, ফেব্র“য়ারী ১৫ ২০১৮ : অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী আহমেদ হুসেন বলেছেন, তিনি আগামী এপ্রিলের মধ্যে একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন যার আওতায় মেডিক্যাল টেস্টে অভিবাসন প্রত্যাশীদের অযোগ্য ঘোষণার সেকেলে নীতি বাতিল করা হবেÑ কিন্তু এনডিপি এই বৈষম্যমূলক ধারা বাতিলে আরও দ্রুত পদক্ষেপ চায়। খবর সিবিসি নিউজের।
এনডিপির অভিবাসন বিষয়ক মুখপাত্র জেনি কওয়ান আজ এক সংবাদ সম্মেলনে অভিবাসন ও শরণার্থী সুরক্ষা আইনের একটি অনুচ্ছেদ বাতিলের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন যে অনুচ্ছেদের আওতায় স্বাস্থ্যগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে “মাত্রাতিরিক্ত মানদন্ড” আরোপের মাধ্যমে অভিবাসন প্রত্যাশীদের অযোগ্য ঘোষণা করার সুযোগ রয়েছে।
মিজ. জেনি কওয়ান বলেন, এই বিষয়টি ২০১৬ সাল থেকেই সরকারের নজরে রয়েছে, তবু মানসিক পীড়াদায়ক ও কষ্টকর জীবনের দিকে ঠেলে দেওয়া এই ‘বৈষম্যমূলক’ নীতি বহাল রয়ে গেছে। এখনও এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
গত শরৎকালে হাউস অব কমন্স এই বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখেছে এবং সে সময় হুসেন বলেছিলেন যে সরকারের অভিবাসন বিষয়ক কমিটি ৪০ বছরের পুরনো ওই নীতি তুলে দিতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। সে সময় তিনি বলেন, “প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কানাডীয় সমাজে অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়ার যে মূল্যবোধ আমাদের দেশে রয়েছে ওই নীতি তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।”
হুসেন বলেন, সরকার এই বিষয়ে যথাযথ সাড়া দেওয়ার জন্য কাজ করছে এবং ১২ এপ্রিলের মধ্যে তার পরিকল্পনা পেশ করবে।
প্রাদেশিক বাজেট ক্ষতিগ্রস্ত হবে
তিনি বলেন, “আমরা কীভাবে এটা করতে যাচ্ছি সেটা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এতে করে প্রাদেশিক স্বাস্থ্য পরিসেবা ও সামাজিক পরিসেবার বাজেট ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর আমাদেরকে এটা এমনভাবে করতে হবে যেমনটা প্রদেশগুলো চায়।”
মি. হুসেন আজ অভিবাসন কমিটির সামনে উপস্থিত হয়ে এসব মন্তব্য করেন। সেখানে তিনি সরকারের অভিবাসী গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব দেন। কানাডিয়ান এইচআইভি/এইডস লিগাল নেটওয়ার্কের জ্যষ্ঠ নীতি বিশ্লেষক মরিস টমলিনসন সতর্ক করে দিয়ে বলেন, নতুন করে ঢেলে সাজানো নয় বরং সরকারকে অবশ্যই অনুচ্ছেদটি বাতিল করতে হবে।
‘ক্ষতিকর, কালিমা লেপনকারী এবং অপ্রয়োজনীয়’
টমলিনসন বলেন, “এটির কোনও রকম সংস্কারের অর্থ হবে প্রতিবন্ধীদের সঙ্গে বিদ্যমান বৈষম্য নিছক চিরস্থায়ী করা। এইক্ষতিকর, কালিমালেপনকারী এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যবস্থার অবশ্যই অবসান ঘটাতে হবে।”