নৈতিকতা সম্পর্কিত বিতর্ক সত্ত্বেও ট্রুডো এবং লিবারেল দল কানাডীয়দের কাছে এখনও জনপ্রিয়
ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৮
প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক ; নৈতিকতা সম্পর্কিত বিতর্কের খবর প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রী দৃশ্যত বড় ধাক্কা সামলে নিতে পেরেছেন। ৩ জানুয়ারি প্রকাশিত ন্যানো রিসার্চ-এর এক সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে জাস্টিন ট্রুডো এখনও প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কানাডীয়দের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন (৪৬.৯ শতাংশ), তার পর যথাক্রমে রয়েছেন রক্ষণশীল দলের নেতা এন্ড্রু শিয়ার (২১.৫ শতাংশ), এনডিপি নেতা জগমিৎ সিং (৯.১ শতাংশ) এবং গ্রিন পার্টির এলিজাবেথ মে (৩.৯ শতাংশ)। সমীক্ষায় বলা হয়, ১৮ শতাংশ মানুষ বলেছেন, তারা কাকে সমর্থন করবেন সে বিষয়ে নিশ্চিত নন। খবর ইয়াহু কানাডা নিউজ এর।
গত বছর ২০ ডিসেম্বর প্রকাশিত নৈতিকতা সম্পর্কিত পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠানের রায়ের পর লিবারেল দলের নেতা ট্রুডোর পক্ষে এই জনসমর্থন বিস্ময়কর। কমিশনার ম্যারি ডাউসন ওই রায়ে বলেছেন ২০১৬ সালে পরিবারের সঙ্গে বাহামায় ছুটি কাটানোর সময় আগা খানের কাছ থেকে উপহার গ্রহণ করায় ট্রুডো স্বার্থের দ্বন্দ্ব সম্পর্কিত আইন লংঘন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী অবশ্য দাবি করেছেন যে, আগা খান তার পারিবারিক বন্ধু। কিন্তু নৈতিকতা বিষয়ক কমিশনার সে দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। ডাউসন বলে দিয়েছেন যে, কানাডার আগা খান ফাউন্ডেশন নিবন্ধিত হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে দেন-দরবার করার প্রতিষ্ঠান হিসাবে। ২০ ডিসেম্বর প্রকাশিত বিবৃতিতে মিজ. ডাউসন লিখেছেন, “সুতরাং, মি. ট্রুডো বা তার পরিবার যে উপহার গ্রহণ করেছেন সেটি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাকে প্রভাবিত করার জন্যই দেওয়া হয়েছে।”
নৈতিকতা বিষয়ক কমিশনারের রায়ের পর ট্রুডো ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এবং এ বিষয়ে পুরো দায়িত্ব গ্রহণ করে বলেছেন, ভবিষ্যতে যে কোনও পারিবারিক ছুটি কাটানোর সময় তিনি সবধরণের সতর্কতা অবলম্বন করবেন।
নৈতিকতা বিষয়ক কমিশনের রায় প্রকাশের পর নিজের মত প্রকাশ করতে গিয়ে টরন্টো স্টার পত্রিকার ন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক লেখক টিম হারপার মন্তব্য করেন, “যদ্দূর মনে হয়, এই সরকারকে কোনওকিছুই ঘায়েল করতে পারবে না।” তিনি অভিমত দেন যে, “বুদ্বুদের মত মিলিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে এই ঘটনায় বড় ধরণের বিস্ফোরণ ঘটা উচিৎ ছিলো।”
কিন্তু এসব জরিপের ফলাফল যদি কোন ইঙ্গিত বহন করে তাহলে সেটা হলো, নৈতিকতা লংঘনের এই ঘটনায় ট্রুডোর সুনামের কোনও ক্ষতি হয়নি।