টরন্টোর সিরিয়াল কিলার ব্রুস ম্যাকআর্থার

মে ৫, ২০১৮

ব্রুস ম্যাকআর্থার

প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : সাম্প্রতিক সময়ে টরন্টোতে সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিদের একজন হলেন ব্রুস ম্যাকআর্থার। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসার কারণ তিনি একজন সিরিয়াল কিলার। এ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ৮ জন মানুষ খুনের অভিযোগ এনেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে ম্যাকআর্থার আরো অনেক খুনের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। হয়তো অচিরেই তার বিরুদ্ধে আরো খুনের ঘটনা প্রকাশ পাবে।

আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিতজনের কাছে ম্যাকআর্থার একজন সঙ্গলিপ্সু ও বন্ধুভাবাপন্ন ব্যক্তি হিসাবেই পরিচিত। কিন্তু পর্দার আড়ালে সেই ব্যক্তিই যে একজন বিকৃত মস্তিষ্কের ভয়াবহ খুনী সে কথা কেউ কল্পনায়ও আনেননি।

পেশায় একজন ল্যান্ডস্কেপার এই ম্যাকআর্থার। লোকজনের বাগানের সৈন্দর্য বৃদ্ধি করাই তার কাজ। মনের গহীনে শিল্পী সত্তা না থাকলে এমন একটি পেশায় নিজেকে দীর্ঘকাল নিয়োজিত রাখা নিশ্চিতভাবেই কঠিন। কিন্তু ম্যাকআর্থারের মনের গভীরে সেই শিল্পী সত্তা কোথায়? সেখানে তো বাস করছে এক রক্তলিপ্সু পিশাচ! তার এই পৈশাচিক মনোবৃত্তি তাকে মূর্ত করে তুলেছে এক অতি বিরল ও ভয়ংকর প্রকৃতির দৈত্য হিসাবে।

৬৬ বছর বয়স্ক ম্যাকআর্থার গ্রেফতার হন গত জানুয়ারী মাসের ১৮ তারিখে। আগে থেকেই তার উপর নজর রাখছিল পুলিশ। ঘটনার দিন এক যুবককে ম্যাকআর্থারের থর্নক্লিপ পার্ক এপার্টমেন্টে প্রবেশ করতে দেখা যায়। পুলিশ ঐ সময় উৎকন্ঠিত হয়ে উঠে ঐ যুকবের নিরাপত্তা বিষয়ে। একপর্যায়ে তারা ম্যাকআর্থারের এপার্টমেন্টে হানা দেয়। এবং দেখতে পায় ঐ যুকটিকে বিছানার সাথে বেধে রাখা হয়েছে। তবে তখনো তার উপর কোন নির্যাতন করা হয়নি। সৌভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান পুলিশ আসাতে। আর ঐ দিন বিকালেই পুলিশ জানায় ম্যাকআর্থারের বিরুদ্ধে দুটি ফার্স্ট ডিগ্রি মার্ডার কেস রয়েছে। এবং তারা ধারণা করছে আরো খুনের ঘটনা প্রকাশ পেতে পারে।

এর পর একে একে প্রকাশ পায় তার আট খুনের কাহিনী। সর্বশেষ তথ্যটি প্রকাশ পায় গত ১৬ এপ্রিল। ভিক্টিমের নাম কিরুশনা কুমার কানাগারাটনাম। সে শ্রীলংকা থেকে কানাডায় এসেছিল ২০১০ সালে। তবে তার কোন বৈধ কাগজপত্র ছিল না কানাডায় অবস্থান করার জন্য। ইতিপূর্বে তার রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থনা প্রত্যাখিত হয় আদালতে।

কানাডিয়ান প্রেস এর এক খবরে বলা হয়, পুলিশের ধারণা এই কিরুশনা কুমার টরন্টোর গে ভিলেজ এর সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল না যেমনটা ছিল ম্যাকআর্থারের অন্যান্য টার্গেটরা। ম্যাকআর্থারের হাতে অন্য যারা খুন হন তাদের মধ্যে আছেন এন্ড্রু কিনসম্যান (৪৯), সেলিম এসেন (৪৪), মাজিদ কেয়হান (৫৯), সুরোস মাহমুদি (৫০), ডেন লিসোউইক (৪৭), স্কন্দরাজ নভরত্মম (৪০) এবং আব্দুল বশির ফাইজি (৪২)।

হত্যার শিকার কয়েকজনের ছবি। – অনলাইন

উল্ল্লেখ্য যে, টরন্টোর গে ভিলেজে অনেকদিন ধরেই একটা চাপা আতংক ও সন্দেহ বিরাজ করছিল এই ভেবে যে, একজন সিরিয়াল কিলার নেপথ্যে সক্রিয় রয়েছে। কারণ প্রায়ই গে কমিউনটি থেকে কেউ না কেউ গায়েব  হয়ে যাচ্ছিলেন।

পুলিশের একটি সূত্র টরন্টো স্টারকে জানায়, ২০১৬ সালে টরন্টোর গে কমিউনিটির এক ব্যক্তি ম্যাকআর্থারের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে নালিশ করেছিলেন। ঐ নালিশে তিনি বলেন, উভয়ের সম্মতিক্রমে তারা যখন যৌন ক্রিয়ায় লিপ্ত হয়েছিলেন তখন ম্যাকআর্থার তার শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করেন।

ম্যাকআর্থার অবশ্য ঐ একই ঘটনায় নিজেই পুলিশের কাছে যায়। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু গ্রেফতার না করে তাকে ছেড়ে দেয়। টরন্টোর গে কমিউনিটি থেকে কয়েকজন গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে পুলিশ ২০১২ সালের নভেম্বর মাসেও ম্যাকআর্থারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। কিন্তু গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার কোন প্রমাণ মেলেনি তখন।

যারা খুন হয়েছেন তাদের মধ্যে স্কন্দরাজ নভরত্মম এর সঙ্গে ম্যাকআর্থারের রোমান্টিক সম্পর্ক ছিল ২০০০ সালের শুরু থেকে। নভরত্মম নিখোঁজ হন ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে। এর সপ্তাহ দুই আগে বিয়ে হয় ম্যাকআর্থারের মেয়ের। ম্যাকআর্থারের ফেসবুক বন্ধুও ছিলেন নভরত্মম।

যারা খুন হয়েছেন তাদের ৭ জনের মরদেহ পুলিশ আবিস্কার করে লিসাইড এর একটি বাড়িতে যেখানে ম্যাকআর্থার ইতিপূর্বে কাজ করেছেন। ম্যাকআর্থারের মিশুকে স্বভাব, সদালাপী ও অমায়িক ব্যবহার সম্ভবত তাকে সন্দেহের উর্ধে রেখেছিল এতদিন। আর এর সুযোগ নিয়ে তিনি তার সকল অপকর্মের প্রমাণ এতদিন কার্যকরভাবে গোপন রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন।

ম্যাকআর্থারের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ছিল এমন এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, টরন্টোর Gay Bar Black Eagle এ তার যাতায়ত ছিল নিয়মিত। ম্যাকআর্থারের যারা শিকার হয়েছেন তাদের কাউকে কাউকে এই বার এ দেখা গেছে তার সাথে সময় কাটাতে। এদের একজন হলেন এন্ড্রু কিনসম্যান। এন্ড্রু একসময় এই বার এ বারটেন্ডার হিসাবে কাজ করতেন।

পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে, এই এন্ড্রুর সাথে ম্যাকআর্থারের যৌন সম্পর্ক ছিল। তবে বাকি যারা তার হাতে হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন তাদের সঙ্গে তার কি ধরনের সম্পর্ক ছিল তা পুলিশ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না।

ম্যাকআর্থার বিভিন্ন গে ওয়েবসাইটের নিয়মিত ভিজিটর ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময় ‘ looking for men ’ এর বিজ্ঞাপনও দিতেন ওয়েবসাইটে। তার যৌন আচরণ ছিল খুব উগ্র প্রকৃতির। তিনি এক ব্যক্তিকে কিছু প্রশ্ন করেছিলেন অনলাইনে সম্পর্ক গড়ে তোলার আগে। প্রশ্নগুলো ছিল খুবই উগ্রপ্রকৃতির। যেমন – ‘যৌনক্রিয়ার সময় তুমি কি কখনো শিকলে বন্দি হয়েছিলে? চপেটাঘাতের শিকার হয়েছিলে অথবা কণ্ঠরোধের? এই জাতীয় প্রশ্ন শুনে উক্ত ব্যক্তি তাৎক্ষনিকভাবেই ম্যাকআর্থারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তিনি বলেন, সেইদিন যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়াতে আমি বেঁচে গেছি। নয়তো আমিও হত্যাকান্ডের শিকার হতাম।

শৈশবে ম্যাকআর্থার বাস করতেন একটি মফস্বল শহরে। অশোয়া থেকে ৬০ কিলোমিটার উত্তরে। সেখানে একটি ফ্যামিলি ফার্মে তার বেড়ে উঠা। সে নিজেও পরিবারের কৃষি কর্মে সহযোগিতা করতো। তার শৈশবের এক বন্ধু ছিল ম্যাকএচার্ন। তিনি জানান, আর্থার ক্লাসে ভালই করতো। কোনরকম দুষ্টুমি বা অন্যকোন কারণে কখনো ক্লাসে শাস্তি পায়নি। গানের গলাও ছিল তার সুন্দর। ভাল গাইত। তার এক বোন আছে যার নাম স্যান্ড্রা। তবে তাদের বাবা মা প্রায়ই বাড়িতে ছেলে মেয়ে দত্তক নিতেন। কখনো কখনো ৬ থেকে ১০ জনও নিতেন। ফলে তাদের বাড়িটি সরগম থাকতো। ম্যাকএচান বলেন, শৈশবে তার মধ্যে কোনরকম অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায় নি।

সেকেন্ডারী স্কুলে এসেও ম্যাকআর্থার ছিল স্বাভাবিক প্রকৃতির একজন। তার স্বপ্ন ছিল সে বড় হয়ে একজন সাকসেসফুল ম্যান হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে।

ম্যাকআর্থারের বাবা মা মারা যান সে যখন তুলনামূলকভাবে কম বয়সী তখন। তার মায়ের মৃত্যু ঘটে ৪৯ বছর বয়সে। বাবা মারা যান ৫৭ বছর বয়সে।

আর্থারের কর্মজীবন শুরু হয় ট্রাভেলিং সেলসম্যান হিসাবে। তিনি ছিলেন একেবারেই একজন সাধারণ মানুষ। বিয়েও করেছিলেন। তার এক সহকর্মী বলেন, আমি মাঝখানে লন্ডনে মুভ হয়েছিলাম। তখন ম্যাকআর্থার তার স্ত্রীসহ আমার ওখানে বেড়াতেও এসেছিলেন। তিনি মোটেও বদমেজাজী ছিলেন না। বরং সবসময়ই তার মুখে হাসি লেগে থাকতো। এমন কোন লক্ষণই ছিল না তার মধ্যে যা থেকে মনে হতে পারে যে সে ভবিষ্যতে এরকম একজন ভয়াবহ ব্যক্তি হয়ে উঠতে পারেন তিনি। তাদের দুটি সন্তানও রয়েছে।

ম্যাকআর্থার গ্রেফতার হওয়ার পর তার বোন বলেন, তিনি ছিলেন একজন চমৎকার ভাই, বাবা, দাদা এবং বন্ধু। আর তার স্বভাব এমন ছিল না যে তিনি একরম একজন হয়ে উঠতে পারেন। তিনি যে কারোর  জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে পিছ পা হতেন না। তিনি কাউকে খুন করবেন তা কল্পনারও অতীত ছিলো।

ম্যাকআর্থারের ছেলে টড এর সমস্যা ছিল কিছু। সে একবার জেলও খেটেছে এক মহিলাকে উত্যাক্ত করার জন্য। তারপরও সে নানানভাবে মহিলাদের জ্বালাতন করতো ফোনে।

ধারণা করা হয় ম্যাকআর্থার গত শতকের নব্বুই দশকের দিকে সমকামীতার দিকে ঝুঁকে পড়েন এবং স্ত্রীর কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে টরন্টোতে বসবাস শুরু করেন। একটি ৩ বেডরূমের কন্ডোতে থাকতেন তিনি। তার ছেলে টড ও একটি রূম শেয়ার করতেন। একবার টড এর এক বন্ধু সেই কন্ডোতে গিয়েছিলেন টড এর সঙ্গে দেখা করতে। ঐ সময় তিনি আকস্মিকভাবে ম্যাকআর্থারের রূম সংলগ্ন ওয়াশরূমে কিছু ছবি আবিস্কার করেন যেগুলোতে ছিল কিছু নগ্ন ইস্ট ইন্ডিয়ান পুরুষ। বিষয়টি টডও জানতেন। ম্যাকআর্থারও বিষয়টি গোপন করার চেষ্টা করেননি কখনো।

টরন্টোতে আসার পর ২০০১ সালে ম্যাকআর্থার এক সেক্স ওয়ার্কারকে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছিলেন। ঘটনার পর অবশ্য তিনি নিজেই পুলিশের কাছে যান এবং বলেন কি কারণে তিনি ঐ সেক্স ওয়ার্কারকে মারধর করেছেন তা তিনি বুঝতে পারছেন না। পরে তিনি আদালতে দোষ স্বীকার করেন।

২০০৩ সালে আদালত থেকে ম্যাকআর্থারকে বলা হয়েছিল মানসিক রোগের জন্য কাউন্সিলিং এর সাহায্য নিতে। বিশেষ করে রাগ নিয়ন্ত্রণের জন্য

তাকে এই আদেশ দেয়া হয়েছিল।

ম্যাকআর্থার এক রহস্যই বটে। এ পর্যন্ত আট খুনের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। তদন্ত এখনো চলছে। হয়তো দেখা যাবে আরো নতুন নতুন অভিযোগ আসছে তার বিরুদ্ধে।

কানাডায় সিরিয়াল কিলারদের ইতিহাস :

১. জেরাল্ড থমাস আর্চার : লন্ডন অন্টারিওতে তিনজন হোটেল পরিচারিকাকে হত্যা করেছিলেন এই ব্যক্তি। ১৯৯৫ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

২. পল বার্নাডো : কানাডায় আলোচিত এক ব্যক্তি এই পল বার্নাডো। তার আরেক পরিচিতি হলো ‘স্কারবরো রেপিস্ট’। এই ব্যক্তি তার নিজ শালী সহ আরো দুই অল্পবয়সী মেয়েকে হত্যা করেন। তার ঐ কাজে সহায়তা করেছিরেন তার স্ত্রী কার্লা হোমোকা। পল বার্নাডো এখনো কারাবন্দি। তবে তার সাবেক স্ত্রী সাজা ভোগের পর এখন স্বাধীন জীবনযাপন করছেন।

৩. ওয়েন বডেন : ভ্যাম্পেয়ার রেপিস্ট হিসাবে তার পরিচিতি। ১৯৬৮-১৯৭১ সালের মধ্যে তিনি ৪ জন মহিলাকে খুন করেছিলেন। কারাবন্দি অবস্থায় তার মৃত্যু হয় ২০০৬ সালে।

৪. জন মার্টিন ক্রফোর্ড : ১৯৯৬ সালে সাজাপ্রাপ্ত হন ৩ মহিলাকে খুন করার অভিযোগে।

৫. লিপল্ড ডিয়ন : তার পরিচিত হয়ে উঠেছিল ‘মনস্টার অব পন্ট-রুজ’। ৪ জন বালককে বলাৎকার করেন এবং হত্যা করেন। ১৯৬০ সালের ঘটনা এটি। ১৯৭২ সালে জেলে থাকা অবস্থায় তিনি নিজেই হত্যাকান্ডের শিকার হন অন্য এক কারাবন্দির হাতে।

৬. উইলিয়াম প্যাট্রিক : ৫ জন মহিলাকে খুন করার অভিযোগ দোষী সাব্যস্ত হন এই ব্যক্তি।

৭. গিলবার্ট পল জর্ডান : ভেঙ্কুভারে এই ব্যক্তি ৮ থেকে ১০ জন মহিলাকে হত্যা করেন এ্যালকোহলে বিষ মিশিয়ে। তিনি মারা যান ২০০৬ সালে।

৮. কডি লেজবুকঅফ: এই ব্যক্তি ব্রিটিশ কলম্বিয়াতে তিনজন মহিলা ও একজন অল্পবয়স্ক মেয়েকে খুন করেন। সময় কাল ২০০৯-২০১০।

৯. এ্যালেন লিগেরি : ৫ খুনের আসামী।

১০. এম ওয়েন ম্যাকগ্রে : ৭ খুনের আসামী যার মধ্যে একজন মহিলা ও এক শিশুও ছিল। জেলখানায় বসেও এক সেলমেটকে খুন করেন এই ব্যক্তি। দাবী করেন আরো ১১টি খুন করেছেন তিনি।

১১. ক্লিফোর্ড অলসন : ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় এই ব্যক্তি ১১ জন শিশুকে খুন করেন। ২০১১ সালে কারাবন্দি অবস্থায় মরা যান।

১২. রবার্ট পিকটন : বিটিশ কলম্বিয়াতে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২৬ জন মহিলাকে খুন করার অভিযোগ আনা হয়। তিনি অবশ্য বলেন খুনের সংখ্যা ৪৯টি। ২০০৭ সালে তার বিরুদ্ধে আদাল রায় ঘোষণা করে।

১৩. ইভ ট্রুডো : ‘ম্যাড বাম্পার’ হিসাবে পরিচিত পান এই ব্যক্তি। নিষিদ্ধ ঘোষিত একটি মোটরসাইকেল গ্র“পের সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭৩ সাল থেকে ১৯৮৫ সালের মধ্যে এই ব্যক্তি খুন করেন ৪৩ জনকে। ২০০৮ সালে মারা যান বোনম্যারো ক্যান্সারে ভুগে।

১৪. পিটার ওডকোক : ১৯৫৬-৫৭ সালের মধ্যে ৩ জন শিশুকে হত্যা করেন এই ব্যক্তি। ১৯৯১ সালে খুন করেন এক মানসিক রোগীকে। কারারুদ্ধ অবস্থায় তিনি মারা যান ২০১০ সালে।

১৫. এলিজাবেথ ওয়েটলাফার : অন্টারিওতে বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় এই মহিলা নার্স ৮ জন সিনিয়র সিটিজেনকে অতিরিক্ত ইনসুলিন পুশ করে খুন করেন। -তথ্য সূত্র : উইকিপিডিয়া