কানাডায় মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে

উদ্বিগ্নতায় ভোগার সংখ্যা ৫০ শতাংশ, বিষণœতায় ভোগার সংখ্যা ৪৭ শতাংশ এবং মাদকাসক্তের সংখ্যা ৮৬ শতাংশ বেড়েছে

ডিসেম্বর ১, ২০১৭

প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : ১৮ বছর বয়সেই কিম্বারলি বেঁচে থাকার সব আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।

টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্রী তার বাবা-মার গ্যারেজের দরজা বন্ধ করে দেয়, ঘরের মাঝখানে একটা টুলের ওপর উঠে দাঁড়ায় এবং ইলেক্ট্রিক তারের ফাঁস বানিয়ে গলায় পেচায়।

নিজের নামের শেষাংশ উল্ল্লেখ না করার অনুরোধ জানিয়ে কিম্বারলি ঘটনার দুই বছর পর স্মরণ করে, “এটা এমন একটা বিষয় যা আমি ব্যাখ্যা করতে পারবো না। আমি বুঝতে পারিনি আমার মাথায় কী ঘটছিলো… যেন তুমি নিজেকে শেষ করে দিতে যাচ্ছিলে।”

কয়েক সেকেন্ডের মাথায় সে গ্যারেজের দরজায় আঁচর কাটার শব্দ শুনতে পায়। এটি ছিলো তার বেড়াল।

কিম্বারলি বলে, “বেড়ালটা জানতো, খারাপ কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে।” “আমি গলায় পেচানো তারটা সরিয়ে ফেলি এবং বাড়ির ভেতরে চলে আসি।”

ওই ঘটনার দুই বছর পর, বর্তমানে রায়ারসন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী কিম্বারলি উদ্বিগ্নতা ও বিষণœতায় ভুগছে বলে ধরা পড়েছে।

সে হচ্ছে এমন এক সমস্যার অংশ যাকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি ক্রমবর্ধমান লক্ষণ।

টরন্টো স্টার এবং রিয়ারসন স্কুল অব জার্নালিজম-এর এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বর্তমান সময়ে তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনীয়তা নজীরবিহীনভাবে বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং তা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনার রূপান্তর ঘটাচ্ছে।

ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ক্যাথরিন মান বলেন, “আমাদের দরোজার বাইরে এবং ঘরের ভেতরে দীর্ঘ লাইন পড়ছে। আমরা বেশি সংখ্যক পরামর্শক নিয়োগ দেওয়ার পরও কুলিয়ে উঠতে পারছি না।”

অনুসন্ধানকারী দলের পক্ষ থেকে সারাদেশের তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ করে দেখা গেছে, মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা তরুণের সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে এবং সেইসঙ্গে এই চাহিদা পূরণের ব্যয়ও বেড়ে গেছে। 

অন্টারিওতে ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে উদ্বিগ্নতায় ভোগার সংখ্যা ৫০ শতাংশ, বিষণœতায় ভোগার সংখ্যা ৪৭ শতাংশ এবং মাদকাসক্তের সংখ্যা ৮৬ শতাংশ বেড়েছে। ছবি : সিবিসি নিউজ

অনুসন্ধানে যা বেরিয়ে এসেছে

কানাডাজুড়ে ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে পরিচালিত স্টার/রিয়ারসন-এর সমীক্ষায় দেখা গেছে, মাত্র একটি ছাড়া বাকী সবগুলো প্রতিষ্ঠানই গত পাঁচ বছরে মানসিক স্বাস্থ্যখাতে তাদের বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়েছে। এই বৃদ্ধির পরিমাণ গড়ে ৩৫ শতাংশ।

এই কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে Academic accommodations (অর্থাৎ মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা রয়েছে এমন শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করার জন্য বাড়তি সময় দেওয়া) বাড়ছে – উদাহরণস্বরূপ বলা যায় টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা যেখানে ২০০৯ সাল থেকে এধরণের ব্যবস্থাপনার হার বেড়েছে ১৪৩ শতাংশ।

মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক হেল্প লাইন কানেক্সঅন্টারিওতে (ConnexOntario – শুল্কমুক্ত মানসিক স্বাস্থ্যসেবার তথ্যদান কার্যক্রম) ২৫ বছর বা তার চেয়ে কমবয়সীদের কল করার সংখ্যা ২০১০ সাল থেকে ৩৪৪ শতাংশ বেড়েছে।

অন্টারিওর বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ২৫ হাজার ১৬৪ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে আমেরিকান কলেজ হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালিত একটি বড় ধরণের জরিপে দেখা গেছে যে, ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে উদ্বিগ্নতায় ভোগার সংখ্যা ৫০ শতাংশ, বিষণœতায় ভোগার সংখ্যা ৪৭ শতাংশ এবং মাদকাসক্তের সংখ্যা ৮৬ শতাংশ বেড়েছে।

ক্যালগেরি মেডিকেল স্কুল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনস্তত্ত্বের অধ্যাপক ও ডিন ড. গ্লেন্ডা ম্যাককুইন বলেন, “কেউই ঠিক মতো জানে না প্রকৃতপক্ষে কী ঘটছে। বর্তমানের তারুণ্য আগের যে কানও সময়ের তুলনায় বেশি চাপের মধ্যে রয়েছে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমস্যাটি প্রবলভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।

অপেক্ষাকৃত তরুণ কানাডীয়দের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যসেবার অভাব অনেক বছর ধরে গুরুতর একটি সমস্যাকে অচিহ্নিত রেখে দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষাঙ্গনে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে কাউন্সেলিং এবং মনস্তাত্ত্বিক সেবা লাভ করছে যা আগে হাইস্কুলগুলোতে ছিলো না।

মান বলেন, “আমরা ৪০ বছর ধরে শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়ে সার্বিক এবং ক্রমাগতভাবে স্বল্প অর্থ বিনিয়োগ করে এসেছি।”

ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও কল্যাণ সম্পর্কিত পরিচালক জান ইয়াং বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সংস্কার কমে আসা এবং শিক্ষাঙ্গনে প্রাপ্য সেবা সম্পর্কে সচেতনা বাড়ার কারণে  ”যেসব মানুষ আর লজ্জিত বোধ করে না তারা এখন  চৌকাঠ পেরিয়ে এগিয়ে আসছে।”

তিনি বলেন, আবাসিক পরামর্শক থেকে শুরু করে অধ্যাপক এবং মনস্তত্ত্ববিদ পর্যন্ত যারাই শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করেন তারা সবাই মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ উল্লেখ্যযোগ্য পরিমাণে বাড়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।

ইয়াং বলেন, এর পেছনে কোনও একটি কারণ আপনি চিহ্নিত করতে পারবেন না।

তবে সারা দেশের শীর্ষস্থানীয় বেশ কিছু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে কয়েকটি বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে।

প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারের অর্থ হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ডিগ্রি আর ক্যারিয়ারের নিশ্চয়তা দিতে পারে না, একারণে ক্রমবর্ধমান হারে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়া শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে আলাদা করে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টায় দ্বিতীয় বা তৃতীয় কোনও ডিগ্রি অর্জনের চেষ্টা করছে।

শিশুর প্রতি বাবা-মার কর্তব্য পালনে ভিন্নতা এসেছে, যেখানে আগের প্রজন্মের

চেয়ে এখনকার বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানের জন্য আরও বেশি কিছু করতে চান। এর ফলে তরুণরা তাদের নিজেদের মতো করে ঠিক করে নেয়া বিশ্বে এগিয়ে যেতে পুরোপুরি প্রস্তুত নয় বলে ধারণা করে এবং নিজেদের ছোটখাট ভুলগুলোও সহজভাবে মেনে নিতে তাদের সক্ষমতাও কম থাকে।

সার্বক্ষণিক ইন্টারনেটের মাধ্যমে Ñ মানুষের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগের পদ্ধতির সামাজিক পরিবর্তনও Ñ নতুন চাপ সৃষ্টি করতে পারে যেটা আমাদের আগের প্রজন্মের মানুষ মোকাবিলা করেনি, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

টরন্টো ক্যাথলিক ডিস্ট্রিক্ট স্কুল বোর্ডের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক নেতা প্যাট্রিসিয়া মারা-স্ট্যাপ্লেটন বলেন, “বর্তমান প্রজন্মের শিশু ও তরুণরা দুটি ভিন্ন বিশ্বে বসবাস করে।” “একটি হলো বাস্তব জগৎ। তারা ডিজিটাল সামাজিক জগতেও বাস করে। আমরা যেটা উঠে আসতে দেখছি সেটা হলো, এমনকি আট বছরের বাচ্চাও সামাজিক মাধ্যম ও ডিজিটাল সংযোগের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভশীল হয়ে পড়ছে।”

সেন্টার ফর এডিকশন অ্যান্ড মেন্টাল হেলথ-এর ক্লিনিক্যাল সইকোলজিস্ট ডা. ক্যাটি ক্যামকার বলেন,  সামাজিক যোগাযোগ এবং সংলাপের সূচনার দিক থেকে সামাজিক মাধ্যমের একটি ইতিবাচক ভূমিকা থাকলেও মনস্তাত্ত্বিক দিক থেকে এর ক্ষতিকর প্রভাবও রয়েছে।

তিনি বলেন, “ অনলাইনে গালিগালাজ, কমপিউটারে অনেক বেশি সময় ব্যয় করা এবং ব্যক্তিগতভাবে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম যে সত্যিকারের সামাজিক সহায়তা পাওয়া যেতে পারে সেই সম্ভাবনা সীমিত করে ফেলার মত বিষয়গুলো নিয়ে উদ্বেগ থেকে যায়। ”

কারণ যাই হোক না কেন, এর প্রভাব নাটকীয় বলেই প্রমাণিত হচ্ছে।

বাজেটের ধকল

রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বেসরকারী, সরকারী এবং শিক্ষা খাতে ব্যয়ের পরিমাণ নাটকীয়ভাবে বেড়ে গেছে।

সবচেয়ে উল্ল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এসেছে  আলগোমা ইউনিভার্সিটির ক্ষেত্রে, তাদের ব্যয়ের পরিমাণ গত তিন বছরে লাফিয়ে ১৩৩ শতাংশ বেড়ে গেছে। শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং খাতে এই ইউনিভার্সিটির ব্যয় ২০১৩-২০১৪ সালে ছিলো ২২,৭৭৬ ডলার যা ২০১৫-২০১৬ সালে শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যা ২৩০ জন কম হবার পরও বেড়ে দাঁড়ায় ৫৩,১১৩ ডলারে।

ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট সার্ভিসের পরিচালক টম মরো বলেন, “শিক্ষার্থীদের মধ্যে অধিকতর উদ্বেগ, অধিক চাপ কাজ করে এবং প্রায়শ তাদের পরিস্থিতি মোকাবিলার দক্ষতার অথবা সহপাঠীদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তার অভাব থাকে।”

ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে এই ব্যয় বেড়েছে ৮৬ শতাংশ। যেটা ২০১০ সালে ছিলো ১০ লাখ ডলারের সামান্য বেশি সেটা গত বছর ১৯ লাখ ডলারে উন্নীত হয়েছে।

এই ইউনিভার্সিটির কাউন্সেলিং সার্ভিসের পরিচালক চেরিল ওয়াশবার্ন বলেন, “আমাদের ছাত্রসংখ্যা এবং তাদের সমস্যার তুলনায় আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ছিলো একেবারেই পর্যাপ্ত, আর সেটা সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন করা আমাদের জন্য জরুরী ছিলো।

রিয়ারসন ইউনিভার্সিটি গত তিন বছরে তাদের বাজেট ২৩ শতাংশ বাড়িয়েছে। ২০১৪-২০১৫ সালে ১৪ লাখ থেকে ২০১৬-২০১৭ সালে তাদের বাজেট বেড়ে ১৭ লাখে দাঁড়িয়েছে।

কাউন্সেলিং-এর জন্য জনবল নিয়োগের সংখ্যা গড়ে ৩৫ শতাংশ বেড়েছে।

সবচেয়ে বেশি বেড়েছে গ্রিয়ারসন কলেজে: ২০১৩-২০১৪ সালের ১,২৬০ জন থেকে বেড়ে ২০১৬-২০১৭ সালে দাঁড়িয়েছে ৩,৯২৮ জনে।

শেরিডান কলেজের হেলথ অ্যান্ড কাউন্সেলিং বিষয়ক সিনিয়র ম্যানেজার মারিসা অ্যামোরোসো বলেন, “যখন আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক রোগ নির্ণয় কার্যক্রমের কিছুটা প্রকাশ পায় তখন প্রায়ই পোস্ট-সেকেন্ডারির বিষয়টি বারবার সামনে আসে। এটা যখন সীমা ছাড়িয়ে যায় তখন তারা জানে না কী করতে হবে বা কীভাবে আমাদের সহায়তা পাওয়া যাবে।”

চলতি মাসে এই প্রদেশের সরকার অন্টারিওর কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানসিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমে সহায়তার জন্য বার্ষিক অর্থ বরাদ্দ অতিরিক্ত ৬০ লাখ ডলার বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে গত তিন বছরে এই খাতে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ  সাড়ে চার কোটি ডলারে পৌঁছলো।

কিন্তু ৪৪টি পোস্ট-সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউট তাদের হিস্যার জন্য  জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক বিশেষজ্ঞই বলছেন, সরকারের ব্যয় যথেষ্ট নয়।

অন্টারিও ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড কলেজ হেলথ অ্যাসোসিয়েশনের এক জরিপে বলা হয়েছে, সমস্যা মোকাবিলায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য এককালীন যে তহবিল দেওয়া হয় সেটা দীর্ঘ-মেয়াদের জন্য নির্দিষ্ট নয়।

অন্টারিও আন্ডারগ্রাজুয়েট স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্সের গবেষণা ও নীতি বিশ্লেষক ডেনিয়েলি পিয়েরে বলেন, “আত্মহত্যাই যদি আমাদের তরুণ ও টিনএজারদের প্রধানতম ঘাতক হয় তাহলে আমরা এর বিরুদ্ধে নিজেদেরকে সুসজ্জিত করবো না কেন? আমার মনে হয়, মানসিক অসুস্থতার প্রভাবের ভয়াবহতার প্রতি এটি গুরুতর উপেক্ষা।”

তরুণদের মানসিক সমস্যা নিয়ে কাজ করার দায়িত্ব অন্টারিওর তিনটি মন্ত্রণালয়ের ওপর ন্যাস্তÑ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়; শিশু ও তরুণ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং অ্যাডভান্সড এজুকেশন অ্যান্ড স্কিলস ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জ্যানাইন রব বলেন, “আমরা আর কেবল গুদামে বসে কাজ করতে পারি না। সাধারণ ধারণা রয়েছে যে, এই বয়সের ছেলেমেয়েরা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। কিন্তু তারা তা নয়। আমাদেরকে তাদের জীবনের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তাদের সাহায্য করতে হবে।”

মান বলেন, প্রথমত বড় ধরণের পরিবর্তন দরকার। “কারণ পুরো ব্যবস্থাটা স্কচ টেপ দিয়ে একসঙ্গে আটকানো রয়েছে।”