আগামী বছরের প্রভিন্সিয়াল নির্বাচন দানা বেঁধে উঠতে শুরু করেছে
তবে কোন নেতা শেষ পর্যন্ত হাল ধরবেন তা স্পষ্ট নয়
নভেম্বর ৩, ২০১৭
রবার্ট বেনজি : কুইন্স পার্ক ব্যুরো চিফ, ১৪ অক্টোবর ২০১৭ : অন্টারিওতে আগামী বছরের প্রভিন্সিয়াল নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমে উঠতে শুরু করেছে এবং এতে খুবই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কার ভাগ্যে শিকে ছিড়বে তা বলা খুবই শক্ত। নতুন এক জরিপে এমনটাই আভাস পাওয়া গেছে।
ক্যাম্পেইন রিসার্চ-এর সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, প্রগ্রেসিভ কনজারভেটিভ নেতা প্যাট্রিক ব্রাউনের দীর্ঘ সময় ধরে পেয়ে আসা সুবিধা সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। লিবারেল দলের প্রিমিয়ার ক্যাথলিন ওয়েন তার দলের ওপর যথেষ্ট প্রভাব রাখেন। আর এন্ড্রিয়া হরওয়া তৃতীয় অবস্থানে থাকা তার প্রতিদ্বন্দ্বী নিউ ডেমোক্র্যাটদের তুলনায় ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার দিক থেকে যথেষ্ট এগিয়ে রয়েছেন।
ক্যাম্পেইন রিসার্চের সিইও এলি ইউফেস্ট গত শুক্রবার বলেন, “সত্যিকার অর্থে এতে যে কেউ জিততে পারেন, এটা এমনই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে।”
টোরি দল ৩৬ শতাংশ, লিবারেল দল ৩২ শতাংশ, এনডিপি ২৫ শতাংশ এবং মাইক স্ক্রেইনারের নেতৃত্বাধীন গ্রিন পার্টি ৭ শতাংশ জনসমর্থন ধরে রেখেছে।
অন্টারিওর ১,৩৪৭ জন ভোটারের একটি অনলাইন প্যানেল ব্যবহার করে ক্যাম্পেইন রিসার্চ রবিবার থেকে বুধবারের মধ্যে ওই জরিপ চালায়। এই সংখ্যক ভোটারকে নিয়ে পরিচালিত জরিপে মোট ২০ বারের মধ্যে ১৯ বারে মাত্র ২.৭ শতাংশ পয়েন্ট ভুল হবার সম্ভাবনা থাকে।
গত মাসের ট্র্যাকিং জরিপে দেখা যায়, টোরি দলের জনসমর্থন ছিলো ৩৮ শতাংশ, লিবারেল দলের ৩৩ শতাংশ, এনডিপির ২৩ শতাংশ এবং গ্রিন পার্টির ছয় শতাংশ।
ইউফেস্ট বলেন, “(মাসের ব্যাবধানে) এটি খুব উল্লেখযোগ্য পার্থক্য নয়, তবে এটি অবশ্যই নিশ্চিতভাবে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে উঠছে।” তিনি আরও বলেন, জরিপের ফল থেকে ধারণা করা যায় যে, অন্টারিও সম্ভবত একটি সংখ্যালঘু সরকারের দিকে যাচ্ছে।
তবে এটা স্পষ্ট নয় যে, কোন নেতা শেষ পর্যন্ত সরকার গঠন করবেন।
তিনি বলেন, “আমি যদি ক্যাথলিন ওয়েন এর পরামর্শদাতা হতাম তাহলে আমি তাকে বলতাম, ‘(নিজের সম্পর্কে) বেশি বলবেন না। খুব বেশি অনুষ্ঠানে নিজেকে তুলে ধরবেন না। শুধু আপনার দলকে বিজয় সুচিহ্নিত করতে দিন।”
গুরুত্বপূর্ণ তিন নেতার মধ্যে ওয়েন এর জনসমর্থন হলো সর্বনি¤েœ। ভোটদাতাদের মধ্যে মাত্র ১৯ শতাংশ ওয়েনকে সমর্থন করেন, ৬৪ শতাংশ তাকে সমর্থন করেন না এবং ১৭ শতাংশ অনিশ্চিত।
অথচ গতমাসেই ওয়েনের পক্ষে জনসমর্থন ছিলো ১৯ শতাংশ, ৬৭ শতাংশ বিপক্ষে এবং ১৪ শতাংশ ছিলো অনিশ্চিত।
অন্যদিকে ব্রাউনের ছিলো ২৫ শতাংশ সমর্থন, ২৫ শতাংশ বিপক্ষে এবং ৫০ শতাংশ ছিলো অনিশ্চিত।
সেপ্টেম্বরে তাকে সমর্থনকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ শতাংশ, বিপক্ষে ২২ শতাংশ এবং ৫০ শতাংশ অনিশ্চিত।
এন্ড্রিয়া হরওয়ার জনসমর্থন ছিলো ৩৫ শতাংশ পক্ষে, ১৭ শতাংশ বিপক্ষে এবং ৪৮ শতাংশ ছিলো অনিশ্চিত।
এক মাস আগে ওয়েন এর পক্ষে জনসমর্থন ছিলো ৩৭ শতাংশ, ১৯ শতাংশ বিপক্ষে এবং ৪৩ শতাংশ ছিলো অনিশ্চিত।
ইউফেস্ট বলেন, “এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যাচ্ছে, প্যাট্রিক ব্রাউন ভোটারদের মনে কোনও সাড়া জাগাতে অব্যাহতভাবেই ব্যর্থ হচ্ছেন। এটি আমাদের জানচ্ছে যে, লিবারেল পার্টি ওয়েনের চেয়ে অনেক বেশি ভালো করছে। আর এতে এটাও বোঝা যাচ্ছে যে, এন্ড্রিয়া হরওয়ার ব্যক্তিগত অর্জন তার দল এনডিপিকে পেছনে ফেলে দিচ্ছে।”
তিনি বলেন, লিবারেলরা সরকারের কিছু উদ্যোগ থেকে সুফল পাচ্ছে, যেমন, সর্বনি¤œ মজুরি ঘণ্টায় ১১.৬০ ডলার থেকে আগামী বছরে ১৪ ডলার এবং ২০১৯ সালে ১৫ ডলারে উন্নীত করা এবং আগামী জানুয়ারি থেকে ২৫ বছরের কম বয়সী সবার জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা চালু করা। এগুলো ভোটারদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়েছে বলে ধারনা করা যায়।
“এটি মোটেও বিস্ময়ের কিছু নয়, যেহেতু এসব নীতি বাস্তবায়নের পর্যায়ে রয়েছে সেজন্যই আমরা ভোটের সংখ্যার দিক থেকে তাদের উল্লম্ফন দেখতি পাচ্ছি”, বলেন ইউফেস্ট। – টরন্টো স্টার