শ্রমিক স্বার্থে অন্টারিওর কর্মস্থলগুলোতে বড় ধরণের পরিবর্তন আসছে

মার্চ ১১, ২০১৭

প্রবাসী কণ্ঠ ডেস্ক : অন্টারিওতে অনেক কর্মস্থলে অনেক কর্মী তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমপ্লয়মেন্ট স্ট্যান্ডার্ডস এক্ট এন্ড দি লেবার রিলেশনস এক্ট এর পর্যালোচনার পর গত বছর জুলাই মাসে একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল এই অভিমত প্রকাশ করেছিলেন। গত শতকের নব্বুই দশকের পর এই প্রথম এই ধরনের একটি পর্যালোচনা করা হয়।

উল্লেখ্য যে, অন্টারিওতে অনেক প্রতিষ্ঠানের মালিক তাদের কর্মীদেরকে উপযুক্ত বেতন দিচ্ছেন না, দিচ্ছেন না ভেকেশন পে এবং অন্যান্য সুযোগসুবিধাও। ফলে এই সব প্রতিষ্ঠানের কর্মীগণ বঞ্চিত হচ্ছেন তাদের পাওনা অধিকার থেকে। বিভিন্ন কর্মস্থলে শ্রম মন্ত্রণালয় পরিচালিত তদন্তে দেখা গেছে অন্টারিও’র শ্রম আইনের লংঘন হচ্ছে শতকরা ৭৫ থেকে ৭৭ ভাগ ক্ষেত্রেই। খবরটি প্রকাশ করে কানাডিয়ান প্রেস।

এমপ্লয়মেন্ট স্ট্যান্ডার্ডস এক্ট এন্ড দি লেবার রিলেশনস এক্ট বিষয়ে গত প্রায় এক বছরে আরো বিস্তারিত গবেষণা ও পর্যালোচনার পর সেই বিশেষজ্ঞ কমিটি এবার তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করতে যাচ্ছেন অল্প কিছুদিনে মধ্যেই। গত ২৭ ফেব্রুয়ারী প্রকাশিত সিবিসি নিউজের মাইক ক্রলির এক রিপোর্ট থেকে জানা যায়, বিশেষজ্ঞ প্যানেল তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট শীঘ্রই দাখিল করতে যাচ্ছেন অন্টারিও সরকারের শ্রম মন্ত্রী কেভিন ফ্লেন এর হাতে। আর সেই খবরে উৎকণ্ঠায় আছেন অন্টারিওর ব্যবসায়ী মহল। অন্যদিকে উদ্দীপিত হয়ে উঠেছেন অন্টারিওর কর্মজীবী মহলসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনগুলো।

বিশেষজ্ঞ প্যানেলে বিশেষ উপদেষ্ট হিসাবে আছেন মাইকেল মিশেল এবং সাবেক বিচারপতি জন মুরে।

উল্লেখ্য যে, গত বছর জুলাই মাসে এই বিশেষজ্ঞ প্যানেলের অন্তর্বর্তীকালিন রিপোর্ট পাওয়ার পর শ্রম মন্ত্রী কেভিন ফ্লেন বলেছিলেন, শ্রম আইনের এই পর্যালোচনা ক্রমবর্ধমান অরক্ষিত শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় ভূমিকা রাখবে। তিনি আরো বলেছিলেন, দ্রুতগতিতে অর্থনৈতিক পরিবর্তন, গ্লোবালাইজেশন, ট্রেড ডিল এবং টেকনলজীর অগ্রগতির কারণে অন্টারিওর সার্ভিস সেক্টরের পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সেই সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে হোয়াইট কালার জব। কিন্তু সেই তুলনায় বৃদ্ধি পায়নি ম্যানুফেকচারিং খাতের জব।

রিপোর্টের বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেছিলেন,  অন্টারিওতে সংখ্যাগরিষ্ঠ চাকুরীদাতা প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের জন্য ‘ডিসেন্সী এট ওয়ার্ক’ পরিবেশের বন্দোবস্ত করে এবং প্রচেষ্টা করছে কর্মস্থলের বৈষম্য দূরীকরনের জন্য আর সেই সাথে এমপ্লয়ীদের অধিকার রক্ষার জন্য। কিন্তু তরুন কর্মী ও নতুন ইমিগ্রেন্টরা চাকরী ক্ষেত্রে বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন। তাদেরকে উপযুক্ত বেতন দেওয়া হয় না, ভেকেশন পে দেওয়া হয় না, দেওয়া হয় না অন্যান্য বেনিফিটসও। এই অনিয়মটি ঘটছে প্রধানত রিটেইল, হসপিটালিটি এবং কনস্ট্রাকশন সাইটে। এক শ্রেণীর অসাধু চাকুরীদাতাদের কারণে এ জাতীয় ঘটনা ঘটছে।

স্ট্যাটিসটিক্স কানাডার এক হিসেবে দেখা যায় এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সির মাধ্যমে টরন্টোতে মধ্য পর্যায়ের আয় করেন এমন একজন অস্থায়ী কর্মীর বেতন ঘন্টায় ১৫ ডলারের মত। অন্যদিকে সমান অভিজ্ঞতা বা যোগ্যতা নিয়ে একজন স্থায়ী কর্মী বেতন পাচ্ছেন ঘন্টায় ২২.৫০ ডলার। এই হিসেবে স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মীর মধ্যে বেতন বৈষম্য দাড়ায় ৩৩%। নন-ইউনিজানইজড কর্মপরিবেশে বেতনের এই বৈষম্য আরো বেশী।

অস্থায়ী কর্মীরা যে শুধু জব এজেন্সি বা এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সির মাধ্যমেই কোন প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্ত হন তা কিন্তু নয়। সরাসরি কোম্পানীর মালিকেরাও অস্থায়ী কর্মীদেরকে নিয়োগ দিয়ে থাকেন। তবে শর্ত ঐ একই থাকে। অর্থাৎ কোন বেনিফিট, পেনশন বা স্থায়ী কর্মীদের সমান বেতন ইত্যাদি কোনটাই দেওয়া হবে না।

এভাবেই “অন্টারিও’র দীর্ঘ দিনের পুরানো গুণে ধরা এমপ্লয়মেন্ট স্ট্যান্ডার্ড এ্যাক্ট এর ফাঁকফোকর গলিয়ে একশ্রেণীর অসাধু মালিকেরা শ্রমজীবী মানুষকে ঠকিয়ে যাচ্ছেন অনেক বছর ধরেই। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে অন্টারিওতে যেখানে শ্রমিকদের ইউনিয়ন করার অধিকারও কেড়ে নেয়া হয়। ফলে ঐ শ্রমিকরা যে বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করবেন বা প্রতিবাদ করবেন তারও কোন উপায় নেই।

গত প্রায় এক দশকে টরন্টোতে অস্থায়ী কর্মীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৩%। স্ট্যাটিসটিক্স কানাডার হিসেবে দেখা যায় ২০০৪ সালে টরন্টোতে অস্থায়ী কর্মী ছিল ২৫৬,০০০ জন। ২০১৪ সালে এই সংখ্যা এসে দাড়ায় ৩৪০,০০০ জনে। ম্যানুফেকচারিং, ট্রান্সপোর্টেশন ও হেলথ সেক্টরে অস্থায়ী কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে সবচেয়ে বেশী। অন্যদিকে স্থায়ী কর্মীর সংখ্যা টরন্টোতে বৃদ্ধি পেয়েছে মাত্র ১২%।

এদিকে সিবিসি নিউজের সঙ্গে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অন্টারিও ফেডারেশন অব লেবার এর প্রেসিডেন্ট ক্রিস বাকলি বলেন, অন্টারিওর এমপ্লয়মেন্ট স্ট্যান্ডার্ডস এ্যক্ট এন্ড দি লেবার রিলেশনস এ্যক্ট এর পর্যালোচনার পর যে চূড়ান্ত সুপারিশ আমরা পেতে যাচিছ তা এক জেনারেশনে একবারই আসে।

উল্লেখ্য যে, অন্টারিওর কোন কোন প্রতিষ্ঠানে কোন শ্রমিক কর্মকালিন কোন দুর্ঘটনার শিকার হলে তাকে ইন্সুরেন্স কোম্পানীর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের অর্থ আদায় করতে দেওয়া হয় না নানান অজুহাত দেখিয়ে। নানারকম বাধার সৃষ্টি করা হয় কিংবা চাকরি থেকে বাদ দেয়ার হুমকীও দেওয়া হয় অনেক ক্ষেত্রেই যাতে করে সেই আহত শ্রমিক ক্লেইম করা থেকে পিছিয়ে আসেন। কারণ ইন্সুরেন্স কোম্পানীর কাছে

ক্লেইম করতে গেলেই কর্মস্থলে কোম্পানীর অব্যবস্থাপনা প্রকাশ পেয়ে যাবে। শ্রমিকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটিগুলো প্রকাশ পাবে। এভাবেও শ্রমিকদেরকে বঞ্চিত করা হয় তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে। শুধু তাই নয়, কোন কোন মালিক শ্রমিককে বাধ্য করেন আহত অবস্থায়ই কাজ করার জন্য।

২০১৩ সালে টরন্টোর ‘ইনস্টিটিউট ফর ওয়ার্ক এন্ড হেলথ’ এক জরীপ চালায় স্বল্প বেতনের স্থানীয় অস্থায়ী কর্মীদের উপর যারা বিভিন্ন এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। জরীপের ফলাফলে যে বিষয়টি উঠে এসেছে তা হলো, অস্থায়ী কর্মীদের ব্যাপারে অসাবধানতার কারণে কর্মস্থলে অস্থায়ী কর্মীদের নিরাপত্তা স্থায়ী কর্মীদের তুলনায় বিঘিœত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশী। অস্থায়ী কর্মীদের অনেকেই জানান, তারা তাদের কর্মস্থলের মন্দ কর্ম পরিবেশ সম্পর্কে অভিযোগ তুলতেও ভয় পান। কারণ, কর্মস্থলে তাদের অবস্থান অস্থায়ী বিধায় সবসময়ে তা নড়বড়ে। কোনা বিষয়ে অভিযোগ তুললে তারা চাকরী হারাতে পারেন যে কোন মুহূর্তে।

তবে অন্টারিও চেম্বার অব কমার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট কার্ল বালদাউফ বলেন, বিশেষজ্ঞ প্যানেল কর্তৃক যে চূড়ান্ত রিপোর্ট আমরা পেতে যাচ্ছি তা হয়তো এই প্রভিন্সে সকল এম্প্লয়ার ও এম্প্লয়ীদের রিলেশনশীপে মৌলিক পরিবর্তন আনতে পারে। এরকম ব্যাপক সংস্কার কতটা প্রয়োজনীয় সে বিষয়ে আমাদের বক্তব্য রয়েছে।

অন্টারিওর শ্রম মন্ত্রী কেভিন ফ্লেন অবশ্য বলেছেন, আমাদেরকে দেখতে হবে যে, এই প্রভিন্সে যারা অনিশ্চিয়তা ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে চাকরী করছেন তরা যাতে সুরক্ষা পায় তা নিশ্চিত করা। অপরদিকে এটাও দেখতে হবে যাতে করে প্রভিন্সের অর্থনীতি প্রতিযোগিতামূলক হয়।

অন্টারিওর এমপ্লয়মেন্ট স্ট্যান্ডার্ডস এ্যক্ট এন্ড দি লেবার রিলেশনস এ্যক্ট এর পর্যালোচনায় দুই সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্যানেল যে বিষয়গুলোর উপর বিশেষ জোর দিচ্ছেন তা নিম্মরূপ :

সিক পে, ওভারটাইম, ভেকেশন পে, মিনিমাম ওয়েজ

–  সিক ডে’র পে বাধ্যতামূলক করা।

–  পেইড ভেকেশন বর্তমানে দুই সপ্তাহের জন্য দেয়া হয়। এটিকে তিন সপ্তাহে উন্নীত করা।

–  বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী একজন এম্পøয়ীকে ওভারটাইম পে করা হয় সপ্তাহে ৪৪ ঘন্টা কাজ করার পর। ৪৪ ঘন্টার এই সীমা কমিয়ে ৪০ ঘন্টায় করা হবে।

–  ১৮ বছরের কম বয়সী স্টুডেন্ট এবং যারা এ্যালকোহল সার্ভ করেন তাদেরকে মিনিমাম ওয়েজ পে করার যে নিয়ম রয়েছে তা বাতিল করা।

–  ফুলটাইম ওয়ার্কারদেরকে যে নিয়ম মেনে বেতন দেয়া হয় পার্টটাইম ওয়ার্কারদেরও সেভাবেই বেতন দিতে হবে।

ক্যাজুয়াল এবং কনট্্রাক্ট ওয়ার্কার্স

–  শিফটিং এম্পøয়ীদের কাজের সময়সূচী কয়েকদিন আগেই জানানোর জন্য এম্পøয়ার্সদের বাধ্য করা।

–  শেষ সময়ে কাজের সময়সূচী পরিবর্তন করা হলে এম্পøয়ীদেরকে ক্ষতিপূরণ দেয়া।

–  জব এজেন্সীর মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া কর্মীর সংখ্যা বা অনুপাত কমিয়ে আনা।

ইউনিয়ন করার অধিকার

–  ধর্মঘট চলাকালে রিপ্লেসমেন্ট ওয়ার্কার নিয়োগ বন্ধ করা বা সীমিত করা।

–  যে সকল ফ্রেঞ্চাইজ স্টোর বা রেস্টুরেন্টে ইউনিয়ন নেই সেখানে এম্পøয়ীদেরকে ইউনিয়ন করার অধিকার সহজ করে দেয়া।

–  প্রাইভেট বাড়ি-ঘরে যারা কাজ করেন তাদেরকে ইউনিয়ন গড়ার অধিকার প্রদান করা।

এমপ্লয়ারদের হুমকী

অন্টারিওর এমপ্লয়মেন্ট স্ট্যান্ডার্ডস এ্যক্ট এন্ড দি লেবার রিলেশনস এ্যক্ট এর পর্যালোচনার পর দুই সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল যে ফাইনাল রিপোর্ট পেশ করতে যাচ্ছেন তার বিরুদ্ধে অন্টারিওর এমপ্লয়ারদের সংগঠন অন্টারিও চেম্বার অব কমার্স ইতিমধ্যেই হুমকী দেয়া শুরু করেছে। এই সংগঠনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কার্ল বালদাউফ সিবিসি নিউজের কাছে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আন্টারিও এমপ্লয়মেন্ট স্ট্যান্ডার্ডস এ্যাক্ট এ ব্যাপক পরিবর্তন আনার বিষয়ে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে যে, অন্টারিওতে দুঃসহ আইন তৈরী করে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়কে এমন একটা অবস্থানে নিক্ষেপ করা যাবে না যে অবস্থানে গিয়ে তারা কম সংখ্যক কর্মী নিয়োগে উৎসাহী হবেন এবং ব্যবসা সম্প্রসারনের ব্যাপারে নিরুৎসাহিত হবেন।

উল্লেখ্য যে, অন্টারিও চেম্বার অব কমার্সের ষাট হাজার মেম্বার রয়েছে। এবং এই ষাট হাজার মেম্বারের অধিনে প্রায় ২০ লক্ষ শ্রমিক রয়েছে।

এদিকে অন্টারিও ফেডারেশন অব লেবার এর প্রেসিডেন্ট ক্রিস বাকলি বলেন, আমরা আশাবাদী যে অন্টারিও সরকার শ্রমিক স্বার্থ রক্ষার্থে ঐকান্তিক ভাবে চেষ্টা করবে।

গত বছর অন্তবর্তিকালীন রিপোর্টটি প্রকাশিত হওয়ার পর প্রাইভেট সেক্টরে কানাডার বৃহত্তম শ্রমিক ইউনিয়ন ‘ইউনিফর’ পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, “প্যানেল রিপোর্টটি প্রকাশিত হওয়ায় এটি প্রমানিত হয়েছে যে, অন্টারিও প্রভিন্সে চাকুরীদাতাগণ সুযোগ বুঝে চাকরী প্রার্থীদেরকে নিরাপত্তাহীন ও অনিশ্চিত চাকরী দিচ্ছে, বেতন দিচেছ কম এবং পার্ট টাইম জব অথবা কনট্রাক্ট জব অফার করছে যাতে বেনিফিট দিতে না হয়। এতে করে সৃষ্টি হচ্ছে আয়ের ক্ষেত্রে অসমতা।”

অন্টারিওর শ্রম আইন মূলত মালিকবান্ধব হিসাবেই বিবেচিত হয়ে আসছে দীর্ঘকাল ধরে। সে কারণেই টরন্টোর ওয়ার্কার্স একশন সেন্টারের প্রধান ডিনা লেডকে বলতে শুনা যায় “অন্টারিওর অস্থায়ী কর্মীদের ভাল-মন্দ দেখার কেউ নেই। অস্থায়ী কর্মীদের জন্য এখানে রয়েছে একটি ‘নিখুঁত’ কর্মপরিবেশ যেখানে তারা তাদের স্বাস্থ্যহানি ঘটাবে, নিরাপত্তাহীনাতায় ভুগবে এবং কম বেতন পাবে।”