কানাডার অন্টারিওতে মার্চ মাসকে বাংলাদেশী হেরিটেজ মাস হিসাবে ঘোষণা দেয়া হচ্ছে

অক্টোবর ২১, ২০১৬

প্রবাসী কণ্ঠ : বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে ২৬ মার্চ, ১৯৭১ সালে। আর কানাডার অন্টারিও প্রভিন্সে এই মাস মার্চ মাসকেই বেছে নেয়া হয়েছে বাংলাদেশী হেরিটেজ মাস হিসাবে ঘোষণা দেয়ার জন্য। এ ব্যাপারে প্রয়োজনী আইনী প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন। আগামী কিছু দিনের মধ্যেই এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসছে।

নকশীঁ কাথায় বাংলার চিরাচরিত ঐতিয্য । ছবি : www.fiodi.com

উল্লেখ্য যে, অন্টারিও প্রভিন্সের লিবারেল পার্টির এমপিপি (স্কারবরো সাউথ-ওয়েস্ট) লরেঞ্জো বেরার্ডিয়ানিটি অন্টারিওতে মার্চ মাসকে বাংলাদেশী হেরিটেজ মাস হিসাবে ঘোষণা দেয়ার জন্য সম্প্রতি একটি প্রাইভেট মেম্বার বিল উত্থাপন করেন ওন্টারিও প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্টে। গত ২০ অক্টোবর এই বিলটির উপর প্রথা অনুযায়ি দীর্ঘ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। বিতর্কে অংশ নেয়া সরকারী ও বিরোধী দলীয় এমপিপি সকলেই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরেন। বাংলাদেশের ভাষার আন্দোলনের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এ সবই উঠে আসে বিতর্ক অনুষ্ঠানে। এছাড়াও অন্টারিওর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এখানে বসবাসরত বাংলাদেশীদের অবদানের কথাও উঠে আসে বিতর্ক পর্বে। অন্টারিও পার্লামেন্টের ওয়েবসাইটে বলা হয়, এই প্রভিন্সে বাংলাদেশীরা একটি অনুনাদশীল বা স্পন্দনশীল কমিউনিটি। তারা অন্টারিওর বিজ্ঞান ক্ষেত্রে, ক্রীড়া ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনেও তাদের অবদান উল্লেখযোগ্য। মার্চ মাসকে অন্টারিওতে বাংলাদেশী হেরিটেজ মাস হিসাবে ঘোষণা করার উদ্যোগ গ্রহণ কারার মধ্য দিয়ে এই প্রভিন্সে বাংলাদেশী কমিউনিটির বিভিন্ন অবদানকেই স্বীকৃতি ও সম্মান দেয়া হলো। বিতর্ক অনুষ্ঠানে লরেঞ্জো বেরার্ডিয়ানিটি ছাড়াও যারা অংশ নেন তাদের মধ্যে ছিলেন এমপিপি গ্লিন মাড়ে (লিবারেল), আর্থার পটস্ (লিবারেল), লরন কো (প্রগ্রেসিভ কনজারভেটিভ), জিলা মার্টো (প্রগ্রেসিভ কনজারভেটিভ), জেনিফার ফ্রান্স (নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি) ও জাগমিত সিং (নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি)।

বিতর্ক অনুষ্ঠানের সময় দর্শক গ্যালারিতে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী কানাডিয়ান উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে একজন হলেন বাংলাদেশ সেন্টারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. মাহবুব রেজা। প্রবাসী কণ্ঠকে তিনি জানান, বিতর্ক অনুষ্ঠান শেষে এমপিপিদের অনেকেই উপস্থিত বাংলাদেশীদেরকে আন্তরিক অভিবাদন জানান এবং প্রবাসে তাদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্বরণ করেন। বিতর্ক শেষে স্পীকার সদস্যদের কাছে জানতে চান প্রস্তাবিত এই বিলে সবার সম্মতি আছে কি না। এই সময় সরকারী ও বিরোধী দলীয় এমপিপি সকলেই একবাক্যে প্রস্তাবটির পক্ষে সম্মতি জ্ঞাপন করেন। উল্লেখ্য যে এমপিপি লরেঞ্জো বেরার্ডিয়ানিটি প্রস্তাবিত এই বিলটি বিল ৪৪ নামে পরিচিত। এটি এখন রানীর সম্মতি (Royal Assent) পেলে ঐ দিন থেকেই আইনে পরিনত হবে এবং অন্টারিওতে প্রতি বছর মার্চ মাসটি বাংলাদেশ হেরিটেজ মাস হিসাবে পালিত হবে।