কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে অভিবাসন এখন অনেক সহজ

মার্চ ১৯, ২০১৫

এন্ড্রু উলোডাইকা – ২৯ জানুয়ারি ২০১৫ : ১ জানুয়ারি থেকে কানাডায় প্রবেশের সম্ভাব্যতা এবং দক্ষ কর্মীদের জন্য স্থায়ী অধিবাসীর মর্যাদা লাভের শর্তের উল্লে­খযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে। একদিকে আবেদনপত্র প্রক্রিয়াকরণের সময় অনেকটা কমিয়ে আনা হতে পারে। অন্যদিকে এই প্রক্রিয়ায় নতুন শর্ত সংযোজন করা হয়েছে এবং যারা ইতিমধ্যে নিজের জন্য কাজ যোগাড় করে নিতে পেরেছেন তাদের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এর আগে দক্ষ কর্মীরা চাকরি যোগাড় করতে পারুন বা না পারুন স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারতেন এই শর্তে যে ব্যবস্থাপনা, কোন পেশা বা ব্যবসায়ের মত কোন যোগ্য পদে তাদের এক বছর কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। সচরাচর অপেক্ষার সময় হতে পারে দু’বছর বা তার বেশি। নতুন প্রক্রিয়ায় মাত্র ছয় মাসের মত সময় লাগতে পারে।

এক্সপ্রেস এন্ট্রির অবস্থা

নতুন “এক্সপ্রেস এন্ট্রি” কর্মসূচি অনুযায়ী তিনটি প্রধান দক্ষ শ্রমিক শ্রেণিতে (স্কিলড ওয়ার্কার্স ক্যাটাগরি, কানাডার অভিজ্ঞ শ্রেণি বা স্কিলড ট্রেড ক্যাটাগরি) সম্ভাব্য প্রার্থীদেরকে তাদের জীবনবৃত্তান্ত কানাডার অভিবাসন বিভাগে জমা দিতে হবে এবং নিজেদেরকে সংশ্লি­ষ্ট মন্ত্রণালয়ের চাকরি ব্যাংকে নাম রেজিস্ট্রি করাতে হবে। সম্ভাব্য নিয়োগদাতারা এই চাকরি ব্যাংক ব্যবহার করে চাহিদামাফিক দক্ষ শ্রমিক নিয়োগ দিতে পারবেন। যেসব বিদেশী শ্রমিক সার্ভিস কানাডা বা প্রাদেশিক মনোনয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে ইতিবাচক শ্রমবাজার প্রভাব মূল্যায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান যোগাড় করতে পেরেছেন তাদেরকে চাকরি ব্যাংকে নাম নিবন্ধন করতে হবে না এবং তারা স্থায়ী অধিবাসী হওয়ার জন্য আবেদন করার অনুরোধ পাবার জন্য অপেক্ষমান থাকবেন। সেইসব দক্ষ শ্রমিক বা পেশাজীবী যারা চাকরি ব্যাংকের মাধ্যমে অথবা শ্রমবাজারের প্রভাব মূল্যায়নের মাধ্যমে বা প্রাদেশিক মনোনয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে কর্মসংস্থান যোগাড় করতে পারবেন তাদেরও স্থায়ী অধিবাসী হওয়ার আবেদনপত্র পূরণ করার জন্য অনুরোধ পাওয়ার ভালো সম্ভাবনা থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকার তার এক্সপ্রেস এন্ট্রি কর্মসূচির সঙ্গে একযোগে কাজ করার জন্য প্রাদেশিক সরকারগুলোকেও নিজস্ব এক্সপ্রেস এন্ট্রি কর্মসূচি প্রণয়নে উৎসাহিত করে যাচ্ছে। যেসব প্রার্থী চাকরি ব্যাংকে নাম নিবন্ধন করেছেন কিন্তু কোনও কাজ পাননি তাদের স্থায়ী অধিবাসী হওয়ার আবেদন জানানোর সম্ভাবনা অনেক কম। একইভাবে কোন কারণে ছাড় পেয়ে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে যেসব বিদেশী শ্রমিক কানাডায় অবস্থান করছেন (যেমন তাদের নিয়োগদাতা ইতিবাচক শ্রমবাজারের প্রভাব মূল্যায়ন সনদ পেয়েছেন) তাদেরকে সম্ভাব্য অভিবাসী হবার সম্ভাবনা বাড়ানোর জন্য নিজের জন্য ইতিবাচক শ্রমবাজারের প্রভাব মূল্যায়ন সনদ নিতে হবে অথবা প্রাদেশিক মনোনয়ন পেতে হবে। কানাডা এভাবে সম্ভাবনাময় অভিবাসীদের মনোনীত করার আশা করছে যাদের মধ্যে ভাষা, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান যোগাড়ের মাধ্যমে কানাডায় বৃহত্তর সাফল্যের সুযোগ রয়েছে।

তরুণ ও ভিসার ক্ষেত্রে অব্যাহতিপ্রাপ্ত দেশগুলোর জন্য অধিকতর সাফল্য

অপেক্ষাকৃত তরুণ এবং যেসব দেশের জন্য ভিসা লাগে না সেসব দেশের বাসিন্দাদের সাফল্যলাভও সহজতর হবে। চাকরিদাতারা বিদেশী শ্রমিকদের বেশি করে নিয়োগ দেবেন বলেই মনে হয় কারণ যেসব দেশের নাগরিকদের কানাডায় আসতে ভিসার প্রয়োজন হয় না তাদের ক্ষেত্রে নিয়োগদানের শর্তাবলীও যৎসামান্য। এছাড়া, অনেক দেশের সঙ্গে কানাডার পারস্পরিক চুক্তি রয়েছে যার আওতায় ওইসব দেশের তরুণরা ভ্রমণ করতে বা কাজ করার জন্য কানাডায় আসতে পারে এবং কানাডীয়রা ওইসব দেশে কাজ করার জন্য যেতে পারে। এসব তরুণরা কর্মদিবসের ছুটিতে কাজ করার মধ্য দিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন

করতে পারে এবং যখন তারা কানাডায় স্থায়ী অধিবাসী হওয়ার জন্য আবেদন করবে সেই সময়ের জন্য ভাল অবস্থান তৈরি করতে পারবে। শেষ কথা হলো, যেসব তরুণ লেখাপড়া করার জন্য কানাডায় আসে তারা পোস্ট-গ্রাজুয়েট পরবর্তী ওয়ার্ক পারমিট কর্মসূচির মাধ্যমে স্থায়ী অধিবাসী হওয়ার জন্য জোরালোভাবে আবেদন করতে পারবে। অভিবাসন বিভাগে জীবনবৃত্তান্ত জমা দেবার জন্য কোন অর্থ দিতে হবে না এবং প্রতিটি জীবনবৃত্তান্ত এক বছর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। এই সময়ের পর দক্ষ শ্রমিকরা তাদের জীবনবৃত্তান্ত নতুন করে দিতে পারে। সম্ভাব্য দক্ষ শ্রমিকদের কাছে এর অর্থ কী? শ্রমবাজারের প্রভাব মূল্যায়ন (খগওঅ) বা প্রাদেশিক মনোনয়নের মাধ্যমে কাজ যোগাড় করার জন্য যারা প্রার্থী হতে পারবে তারা অনেক বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে সেইসব শ্রমিকদের চেয়ে যারা চাকরি যোগাড় করেনি। – সৌজন্যে : কানাডিয়ানইমিগ্রেশন.সিএ