কানাডিয়ানরা গর্বিত তাদের ইতিহাস ঐতিয্য নিয়ে

প্রবাসী কন্ঠ ডেস্ক, জুলাই ২৮, ২০১৪: পহেলা জুলাই কানাডার জন্মদিন। আগামী ২০১৭ সালে পালিত হবে দেশটির একশ পঞ্চাশতম জন্মবার্ষিকী। কানাডিয়ানরা তদের দেশ ও দেশের ইতিহাস নিয়ে গর্বিত। কিন্তু দেশটির জন্মের ইতিহাস অনেকেই ভাল করে জানেনা। সম্প্রতি পরিচালিত এক জরীপে এই তথ্যই বেরিয়ে এসেছ। তাদের  দেখা গেছে কেউ কেউ জানেন না কবে কানাডার জন্মদিন। আবার কানাডার জাতীয় সঙ্গীতের প্রথম লাইনটি কি তাও অনেকে সঠিকভাবে বলতে পারেননি। তবে তাতে কি? দেশপ্রেমে তো আর ঘাটতি থাকতে পারে না এ জন্য। কানাডিয়ানরা তাদের  দেশ ও তাদের দেশের ইতিহাস নিয়ে বরাবরই ভীষন গর্বিত।
হিস্টোরিকা কানাডার পক্ষে জুন মাসের মাঝামাঝি ওঢ়ংড়ং জবরফ পরিচালিত এক জরীপে দেখা গেছে কানাডা সম্পর্কে দেশটির নাগরিকদের পজিটিভ সেন্টিমেন্ট বিদ্যমান অতি উচ্চমাত্রায়। শতকরা ৮০ ভাগ নাগরিক মনে করেন কানাডিয়ানদের দেশপ্রেম থাকা অবশ্যই জরুরী। অন্যদিকে শতকরা ৯৩ ভাগ নাগরিক মনে করেন কানাডায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে এবং শুধু তাই নয়, তারা এও মনে করেন যে কানাডা সকল সংস্কৃতির প্রতি সহনশীল ও স্বাগতম মনোভাবাপন্ন।
জরীপে আরো যে তথ্য উঠে এসেছে তা হলো, শতরা ৯২ ভাগ কানাডিয়ান মনে করেন দেশটির নাগরিকরা শিষ্টাচারী। ৮৬ ভাগ গর্ব অনুভব করেন দেশটির পপুলেশন ডাইভারসিটি নিয়ে।
নাগরিকদের শতকরা ৮৯ ভাগই দেশটির ইতিহাস ও  ঐহিয্য নিয়ে গর্বিত। এবং এটি কানাডা একটি বিশেষ বৈশিষ্ট। কিন্তু দেখা গেছে দেশটির মৌলিক কিছু ইতিহাস নিয়ে লোকজনের মধ্যে জ্ঞানের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। তবে ইতিহাসবিদরা বলছেন, দেশের নির্দিষ্ট কিছু তারিখ মনে রাখা না রাখার অর্থ এই নয় যে, কানাডিয়ানরা তাদের অতীত ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে অনাগ্রহী। হিস্টোরিকা কানাডার প্রেসিডেন্ট এন্থণী উইলসন স্মিথ কিছুটা আহত হয়েছেন এই কারণে যে ১৮৬৭ সালটি (ফধঃব ড়ভ ঈড়হভবফবৎধঃরড়হ) অনেকের স্মৃতিতে তেমনভাবে গ্রথিত হয়ে নেই। তবে এই পরিস্থিতিটি নিশ্চিতভাবেই আশংকাজনক পর্যায়ে নয়। তিনি বলেন, জাতীয় মনোভাব, ঐতিয্য ও চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ইত্যাদির প্রতি কানাডিয়ানদের শক্তিশালী যে অনুভুতি রয়েছে তা থেকেই বুঝা যায় কানাডিয়ানরা ছোটখাট বিষয় তেমন মনোযোগ না দিলেও বৃহত্তম বিষয়গুলো নিয়ে খুবই সচেতন। তিনি বলেন, বিষয়টি এমন নয় যে, কানাডিয়ানরা বলেছেন- আমরা আমাদের দেশ নিয়ে কেয়ার করিনা।  বরং তারা একথা জোর দিয়েই বলছেন যে, কানাডায় জন্মে বা থেকে আমরা গর্ব অনুভব করছি।