কানাডায় পেশাজীবীদের কর্মসংস্থানের অভাব : ট্যাক্সি চালাতে বাধ্য হচ্ছেন উচ্চশিক্ষিত অভিবাসীরা

দুইশ’ অভিবাসী ট্যাক্সি চালক হয় পিএইচডি ডিগ্রিধারী অথবা ডাক্তার

বহু সংখ্যক বাংলাদেশী ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার ও কৃষি বিজ্ঞানী ট্যাক্সি চালাচ্ছেন

প্রবাসী কন্ঠ রিপোর্ট, অক্টোবর ৫, ২০১৪ : অনিক চৌধুরী, ছদ্ম নাম। নামের পাশে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের একটি ডিগ্রি আছে। উজ্জ্বল ভবিষ্যত আর উন্নত জীবনের আশায় সস্ত্রীক বাংলাদেশ থেকে পাড়ি জমিয়েছিলেন কানাডায় সেই ২০০০ সালে। কানাডায় পা রাখার পর তার উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ার রঙ্গিন স্বপ্ন ধুসর হতে বেশি সময় লাগেনি। যোগ্যতা অনুযায়ী একটা কাজ পেতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলেছেন। কিন্তু তার বিদ্যেটা কাজে লাগানোর কোন সুযোগ পাননি। বাধ্য হয়ে স্বামী-স্ত্রী দু’জনে মিলে প্রথমে কাজ নেন একটি দোকানে। পাশাপাশি চলতে থাকে চেষ্টা। কিন্তু কোন ফল হয়নি। অবশেষে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের ডিগ্রিটাকে বাক্সবন্দী করে পরিণত হন একজন ট্যাক্সি চালকে। এটা শুধুমাত্র একজন অনিক চৌধুরীর গল্প নয়, কানাডার অভিবাসীদের মধ্যে এরকম অনিকের তেমন একটা অভাব নেই। নিজ দেশের ছাপোষা জীবন থেকে বেরিয়ে মেধা আর যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে উন্নত জীবন গড়তে এরকম অনেকেই কানাডায় এসে পছন্দমতো কাজ না পেয়ে শেষমেষ পরিণত হয়েছেন ট্যাক্সি চালকে।

কানাডায় যারা ট্যাক্সি চালান তাদের অনেকেই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, এমবিএ এমনকি পিএইডি ডিগ্রিধারী। “হু ড্রাইভস ট্যাক্সি ইন কানাডা” এই শিরোনামে ৫০ হাজার ট্যাক্সি ড্রাইভারের ওপর পরিচালিত এক সমীক্ষায় দেখা যায়, তাদের মধ্যে অর্ধেকই অভিবাসী। এদেরমধ্যে ২০ শতাংশ অভিবাসী ট্যাক্সি চালকের উচ্চ মাধ্যমিক অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর ডিগ্রি রয়েছে। যেখানে কানাডায় জন্ম নেয়া মাত্র চার শতাংশ ট্যাক্সি চালকের উচ্চতর ডিগ্রি আছে। দুইশ’ অভিবাসী ট্যাক্সি চালক হয় পিএইচডি ডিগ্রিধারী অথবা ডাক্তার। যেখানে কানাডায় জন্ম নেয়া পিএইচডি ডিগ্রিধারী ট্যাক্সি চালকের সংখ্যা মাত্র ৫৫ জন। চাকরীর স্বল্পতার কারণে ভ্যানকুভারে পিএইচডি ডিগ্রিধারী অন্তত ২০ জন অভিবাসী ট্যাক্সি চালান।

কানাডায় পেশা হিসেবে ট্যাক্সি চালনা সি লেভেলের একটি পেশা। এরজন্য সাধারণত নিম্ন মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট অথবা ড্রাইভিং সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ থাকলেই চলে। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে পড়ে আজ বহু সংখ্যক উচ্চ শিক্ষিত অভিবাসী কানাডার বিভিন্ন শহরে ট্যাক্সি চালাচ্ছেন যাদের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশী ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, কৃষি বিজ্ঞানী ও সাংবাদিকসহ আরো নানান পেশার লোক।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে কানাডায় বাংলাদেশী প্রায় সকল ট্যাক্সি চালকই নিজেদের পরিচয় দিতে কুন্ঠাবোধ করেন। এই প্রতিবেদনটি তৈরী করার জন্য প্রবাসী কন্ঠ ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে একাধিক উচ্চ শিক্ষিত বাংলাদেশী কানাডিয়ানের সাক্ষাৎকার নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল যারা ট্যাক্সি চালান। কিন্তু কেউই স্বনামে সাক্ষাৎকার দিতে রাজী হননি। দেশ থেকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে এবং নিজ নিজ পেশায় দক্ষতা অর্জন করে তারা কানাডায় এসেছেন সুন্দর এক ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে। কিন্তু নানান কারণে পেশাভিত্তিক চাকরী না পেয়ে আজ ট্যাক্সি চালাতে বাধ্য হচ্ছেন, এই পরিচয় দিতে কুন্ঠাবোধ করারই কথা। জানালেন একজন বাংলাদেশী ডাক্তার যিনি এখানে ট্যাক্সি চালাচ্ছে আজ প্রায় ১০ বছর ধরে। পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এই ডাক্তার আরো বললেন, কানাডায় এসে আমি ট্যাক্সি চালাচ্ছি এ কথা আমার আত্মীয়-বন্ধুরা শুনলে সকলেই ছি ছি করবেন। কিন্তু উপায় কি? এই প্রবাসে বেঁচে থাকার জন্য একটা কিছু তো করতেই হবে। তাই বেছে নিয়েছি এই পেশাকেই। আমি বলছি না কানাডায় এটি একটি খারাপ পেশা বা এটি একটি অসম্মানজনক পেশা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আমাদের দেশে এটাকে ভাল চোখে দেখা হয়না। এমনকি এই  প্রবাসেও অনেক বাঙ্গালীকে দেখেছি যারা এই ট্যাক্সি চালকদের প্রতি একধরণের তাচ্ছিল্যের ভাব প্রদর্শন করেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, যিনি ট্যাক্সি চালকদের প্রতি  এই তাচ্ছিল্যের ভাব প্রদর্শন করছেন তিনি নিজেও হয়তো কোন না কোন ‘অড জব’ করছেন। এসব মিলিয়েই পরিচয় প্রকাশে বিরত থাকতে হয়। তবে অন্যান্য ‘অড জব’ থেকে এই ট্যাক্সি চালনাটা অনেকটা বেটার এই কারণে যে এতে আয় একেবারে খারাপ নয়। আর নিজের মতো করে কাজ করা যায়। বর্তমানে একজন ট্যাক্সি চালক  মাসে গড়ে ২/৩ হাজার ডলার আয় করে থাকেন। কে ২ হাজার আর কে ৩ হাজার আয় করছেন তা নির্ভর করছে কে কতটা বেশী সময় দিচ্ছেন এবং কে কতটা সিরিয়াসলী কাজ করছেন।

ট্যাক্সি চালনায় অন্যান্য ‘অড জব’ থেকে আয় কিছুটা বেশী হলেও এতে বিপদের ঝুঁকি অনেক বেশী। জানালেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক বাংলাদেশী যিনি প্রায় একযুগ ধরে টরন্টোতে ট্যাক্সি চালাচ্ছেন। বাংলাদেশে পেশায় তিনি একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। বুয়েট থেকে ১৯৮০ সালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পাশ করা এই ভদ্রলোক ১৯৯৫ সালে কানাডায় আসেন। প্রথমে উঠেছিলেন মন্ট্রিয়লে। সেখান থেকে পরে চলে আসেন টরন্টোতে। অনেক চেষ্টা করেছেন নিজ পেশায় চাকরী পাওয়ার জন্য। কিন্তু সব চেষ্টাই যখন বিফলে গিয়েছে তখন বাধ্য হয়ে এক ফ্যাক্টরী জবে ঢুকে পড়েন। পরে রেস্টুরেন্ট জবও করেছেন । আয় কম বলে এক পর্যায়ে ট্যাক্সি চালনায় ঢুকে পড়েন। কিন্তু ট্যাক্সি চালনায় ঢুকেই বুঝতে পারলেন এটি আসলে একটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। প্রথম ঝুঁকি হলো গতি। ইন্সুরেন্সের ভাষায় – আপনি যতক্ষণ চলন্ত গাড়িতে থাকবেন ততক্ষণই আপনি হাই রিক্সে আছেন। এছাড়াও আছে স্বাস্থ্যগত সমস্যা, নিরাপত্তার সমস্যা, মৌখিক গালাগালির শিকার হওয়া  ও শারীকিকভাবে নির্যাতিত হওয়ার সমস্যা। ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের সমস্যাতো আছেই। আমি নিজেই একাধিকবার ছিনতাইয়ের মুখোমুখি হয়েছি।

উল্লেখ্য যে, স্ট্যাটিসটিক্স কানাডায় এক হিসাবে দেখা যায় পুলিশের চাকরীর চেয়ে ট্যাক্সি চালকদের পেশা প্রায় দ্বিগুণ বেশী ঝুঁকিপূর্ন। পুলিশের তো আত্মরক্ষার ট্রেনিং থাকে, থাকে অস্ত্র। কিন্তু এই ট্যাক্সি চালকদের কিছুই থাকে না। তারা যখন কাজ করেন তখন একেবারেই অরক্ষিত এবং একা থাকেন। যাদেরকে সার্ভিস দিচেছন তারা সবাই তাদের কাছে অজানা। কোন প্যাসেঞ্জার কি রকম, কে কতটা বিপজ্জ্বনক তার কিছুই জানা থাকে না তাদের। অনেক সময় গভীর রাতে সিটির সর্বাধিক কুখ্যাত অপরাধীদের এলাকা থেকে কল আসে যেখানে পুলিশও যেতে চায় না সহজে। রাত বিরাতে সিটির নির্জন এলাকায় বা ক্রামইম জোন এলাকাগুলোতে ট্যাক্সি চালানো যে কোন বিবেচনায়ই অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আর সিটির নিয়ম হলো, ট্যাক্সি চালকদেরকে অবশ্যই সেবাপ্রদান করতে হবে সব প্যাসেঞ্জারকে। এ ক্ষেত্রে ট্যাক্সি চালকদের ইচ্ছা অনিচ্ছার সুযোগ খুবই সীমিত।

আক্রমনের শিকার হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকিও রয়েছে ট্যাক্সি চালকদের। এক হিসাবে দেখা যায় ১৯১৭ সাল থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে কানাডায় ১৭০ জন ট্যাক্সি চালক ডিউটিতে থাকা অবস্থায় প্রাণ হারিয়েছেন আক্রমনের শিকার হয়ে। অর্থাৎ উল্লেখিত সময়ে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ২ জন ট্যাক্সি চালকের মৃত্যু ঘটেছে ডিউটিরত অবস্থায়।

সিবিসি টেলিভিশনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে মন্ট্রিয়লবাসী এক ট্যাক্সি চালক আব্রাহাম মেসফান জানান, ‘আমরা রাস্তায় কাজ করি, কেউ আমাদের সম্মান দেখায় না। পদে পদে আমাদেরকে  বিপদে পড়তে হয়। আব্রাহাম জানান, ২০০৯ সালের ডাকাতরা তার  সব কেড়ে নেয় গাড়ি  থেকে এবং তাকে এমনভাবে মারধর করে যে সে প্রায় মরতেই বসেছিল। কপালগুনে সে যাত্রায় আব্রাহাম বেঁচে যায়।

২০০৯ সালে মন্ট্রিয়ল পুলিশ কর্তৃক পরিচালত এক জরীপে দেখা যায়, শতকরা ২৫ ভাগ ট্যাক্সি চালক ছিনতায়ের শিকার হয়েছেন এবং প্রায় ৯৮ ভাগ ট্যাক্সি চালকের কোন না কোন সময়ে এমন অভিজ্ঞাতা হয়েছে যে, প্যাসেঞ্জার ভাড়া না দিয়েই চম্পট মেরেছে।

টরন্টোর আইট্যাক্সি ওয়ার্কারস এসোসিয়েশন পরিচালিত এক জরীপে দেখা যায় শতকরা ৭০ ভাগ ট্যাক্সি চালক ভীতির মধ্যে কাজ করেন, ৮৫ ভাগ জানিয়েছেন তারা মৌখিক অবমাননার শিকার হয়েছেন এবং প্রায় ৫০ ভাগই জানিয়েছন তারা কোন না কোন সময়ে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।

ট্যাক্সি চালকদের সমস্যা আরো রয়েছে। যারা দিনে ৮ থেকে ১০ বা ১২ ঘন্টা ট্যাক্সি চালান তাদের নানারকম শারীরিক সমস্যাও দেখা দেয়। অনেকে মুটিয়ে যান খাদ্যাভাস পরিবর্তনের ফলে ও শরীর চর্চা না থাকায়। ট্যাক্সি চালকেরা তাদের ডিউটির প্রায় পুরো সময়টাই সিটে বসে  থাকেন। শারীরিক কোন মুভমেন্ট হয় না। আর দীর্ঘসময় বাইরে  কাজ করতে হয় বলে বাসা থেকে খাবার নিয়ে আসা হয় না। ফলে নির্ভর করতে হয় ফাস্ট ফুডের চর্বি ও  চিনিযুক্ত খাবারের উপর। এর সাথে চিনিযুক্ত ড্রিংকস। অনেকে আবার পানি কম পান করেন যাতে বার  বার টয়লেটে যেতে না হয়। কারন ডিউটিরত অবস্থায় বার  বার টয়লেটে  যাওয়া এক সমস্যা। কিন্তু এই সমস্যা এড়াতে গিয়ে তারা অন্যান্য শারীরিক সমস্যাকে উসকে দেন। ট্যাক্সি চালকদের অনেকে আবার পরিপাকতন্ত্রের রোগেও (যাকে সাধারনভাবে আমরা গ্যাস্ট্রিক বলে থাকি) ভোগেন নানান অনিয়মের ফলে।  এভাবে নানান সমস্যার মধ্য দিয়েই দিন যাপন করতে হয় কানাডার ট্যাক্সি চালকদেরকে।

সমীক্ষায় দেখা যায়, দেশেভেদে অভিবাসী ট্যাক্সি চালকের সংখ্যায় তারতম্য রয়েছে। সব দেশের অভিবাসীরা সমানহারে ট্যাক্সি চালকের কাজ করেন না। ২০০৬ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী প্রতি চারজন অভিবাসী ট্যাক্সি চালকের মধ্যে একজনই ভারতের। শীর্ষ দশ অভিবাসী ট্যাক্সি চালকের মধ্যে সবার উপরে রয়েছে ভারত। এরপরের অবস্থানে আছে পাকিস্তান। সবমিলিয়ে ১১.৮ শতাংশ ট্যাক্সি চালক পাকিস্তানী। রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, লেবানন, হাইতি, ইরান, এরপরে আছে যথাক্রমে বৃটেন, সোমালিয়া, ইথোপিয়া, বাংলাদেশ ও গ্রিস। এছাড়া, অভিবাসী চালকদের মধ্যে ১.০% চীনা। কানাডায় মাত্র ছয় শতাংশ ট্যাক্সি চালক আছেন যাদের পড়াশুনার বিষয়বস্তু ছিল ড্রাইভিং সংক্রান্ত।

কানাডায় চকরীর ক্ষেত্রে দেশভেদে বেশ খানিকটা বৈষম্য রয়েছে। চীন, ভারত অথবা ফিলিপিন থেকে পড়াশুনা করে আসা অভিবাসীরা যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পেতে অনেক বেশি সমস্যায় পড়েন। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স অথবা বৃটেনের অভিবাসীরা সেই তুলনায় বেশ সুবিধা পান।এসব দেশের অভিবাসীদের মধ্যে বেকারত্বের হার কম।

শিক্ষা ও পেশার এই গরমিল অন্যান্য ক্ষেত্রেও আছে। আর এ বিষয়টা নতুন অভিবাসীদের জন্য বেশ আতংকের।

ভ্যানকুভার ভিত্তিক অভিবাসন বিষয়ক আইনজীবী রিচার্ড কুরল্যান্ড বলেন, বেকারত্ব এবং কর্মসংস্থানের অভাবে অভিবাসীদের মধ্যে হতাশা ক্রমেই বাড়ছে। এছাড়া বেকারত্বের সমস্যার কারণে উচ্চরক্তচাপসহ বিভিন্ন ধরণের রোগেও আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। নতুনদের শিক্ষা ও যোগ্যতাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে তা কানাডার অর্থনৈতিক উন্নয়নে অনেক বেশি ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।

একাধিক ডিগ্রি থাকা সত্ত্বেও অভিবাসীরা উপযুক্ত কাজ না পেয়ে তার যোগ্যতার তুলনায় ট্যাক্সি চালনাসহ অন্যান্য ছোট ছোট কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিভিন্ন  বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর ডিগ্রিধারীরা টিকে থাকার দায়ে কেরানি, অফিস সহকারী অথবা ট্যাক্সির হুইল ধরছেন। চাকরীর খোঁজে প্রতি বছর যারা কানাডয় আসছেন, তাদের মধ্যে বিষয়টা নিয়ে উদ্বেগের জন্ম দিচ্ছে। দেখা যাচ্ছে যে, নতুন অভিবাসীদের চাকরী বাজারে সমস্যায় পড়ার কারণ তাদের যোগ্যতার অভাব নয়, বরং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, বৈষম্য এবং ভাষাগত সমস্যাই মূল কারণ। যোগ্য ও মেধাবী অভিবাসীদের ট্যাক্সির হুইল থেকে সরিয়ে উপযুক্ত কাজ দিলে উপকৃত হবেন সবাই।

(প্রচ্ছদে ট্যাক্সি চালক হিসেবে যার ছবি ব্যবহৃত হয়েছে তিনি টরন্টোর বাঙ্গালী কমিউনিটিতে একজন বিশিষ্ট অভিনেতা হিসেবে সুপরিচিত। তাঁর নাম অনুপ সেনগুপ্ত। তিনি ট্যাক্সি চালনার পেশার সঙ্গে সম্পৃক্ত  নন। – সম্পাদক)