কানাডায় নতুন ইমিগ্রেন্টদের অর্ধেকই দারিদ্রসীমার নীচে বাস করছে
বাংলাদেশীদের অবস্থাও প্রায় একই রকম : সামাজিক বিশৃংখলাসহ আরো নানারকম বিশৃংখলা দেখা দেওয়ার আশংকা
প্রবাসী কন্ঠ রিপোর্ট , April 06, 2014: কানাডা পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা ধনী দেশগুলোর একটি। বহু সংখ্যক সেরা ধনীরও বসবাস রয়েছে এই কানাডায়। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, প্রথম সারির ১০০ জন ধনী কানাডিয়ানের মোট সম্পত্তির পরিমান ২০০ বিলিয়ন ডলার।
কিন্তু এর উল্টো চিত্রও রয়েছে এই কানাডায়। এখানে প্রতিদিন প্রায় এক মিলিয়ন লোককে ফুড ব্যাংকের স্মরনাপন্ন হতে হয় অভাবের তারনায়। আর এর প্রায় অর্ধেকই শিশু ও নতুন ইমিগ্রেন্ট।
ইউনিভারসিটি অব টরন্টোর সোস্যাল ওয়ার্ক ফেকাল্টির অধ্যাপক লিওনার্ড এডওয়ার্ডের মতে কানাডায় প্রতি তিনজন দরিদ্র লোকের মধ্যে একজন হলেন ইমিগ্রেন্ট যারা এখানে মাইনরিটি গ্র“পের সদস্য হিসেবে বিবেচিতে হয়।
কারো কারো মতে কানাডায় দারিদ্রতাটি একটি বিশেষ গ্র“পের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে যারা টরন্টো, ভ্যাংকুভার ও মন্ট্রিয়লের মতো বড় বড় শহরগুলোত থাকে তারাই এর শিকার হচ্ছে বেশী। বলার অপেক্ষা রাখেনা যে এই বড় বড় শহরগুলোতে ইমিগ্রেন্টদের বসবাসই বেশী এবং তারাই দারিদ্রতার শিকার হচ্ছে সবচেয়ে বেশী।
কানাডিয়ান লেবার মার্কেট এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেখা যায় যে সকল ইমিগ্রেন্ট এখানে এসেছে গত পাঁচ বছর বা তারো কম সময়ে, তাদের মধ্যে শতকরা ৩৬ ভাগই দারিদ্রসীমার নিচে বাস করছে। যাদের বয়স পঞ্চাশ বা তারো বেশী তাদের অবস্থা আরো করুন। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায় এখন থেকে দুই দশক আগে ইমিগ্রেন্টদের মধ্যে শতকরা ২৫ ভাগ ছিল দারিদ্রসীমার নিচে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইমিগ্রেন্টদের বর্তমান দারিদ্রতার বিষয়টি একটি বিস্ফোরম্মুখ অবস্থায় বিরাজ করছে। যে কোন সময় কোন অঘটন ঘটে যাওয়া বিচিত্র কিছু নয়। সামাজিক বিশৃংখলাসহ আরো অনেক ধরণের সমস্যা তৈরী করতে পারে দারিদ্রতার এই হার।
বিশেষজ্ঞদের মতে দরিদ্র এই ইমগ্রেন্টদের মধ্যে অধিকাংশই রয়েছে উচ্চ শিক্ষিত যারা কানাডায় এসেছে স্কিল্ড ক্যাটাগরীর পয়েন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে। স্বভাবতই তাদের ধারণা ছিল কানাডার ইমিগ্রেশনের পয়েন্ট সিস্টেমে যেহেতু তারা যোগ্য বিবেচিত হয়েছে সেহেতু কানাডার জব মার্কেটেও তারা যোগ্য হিসেবেই বিবেচিত হবে। কিন্তু বাস্তব অবস্থাটা হলো তার উল্টো। কানাডায় আসার পর নতুন এই ইমিগ্রেন্টরা দেখলো যে, তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা এখানকার এমপ্লয়ারদের কাছে কোন গুরুত্ব নেই। নিজের দেশ থেকে একজন লোক যখন তার চাকরী ছেড়ে এবং জায়গা জমি বিক্রি করে দিয়ে কানাডায় এসে দেখে নিজ প্রফেশনের কোন জব নেই বা জব মার্কেটে প্রবেশের ক্ষেত্রে নানারকম বাধাবিপত্তি বিরাজ করছে তখন স্বাভাবিক কারণেই সে চরমভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। হতাশা আরো বৃদ্ধি পায় যখন সে দেখে পেশা বদল করেও কোন লাভ হয় না। আর পেশা বদল মানেই হলো অড জব। আর অড জব মানেই কঠোর শারিরীক পরিশ্রম (যেটিতে তারা অভ্যস্ত নয়)। আর এই কঠোর পরিশ্রম করেও অর্থনৈতিক অবস্থার কোন উন্নতি হয় না। দারিদ্রতা পিছনে লেগেই থাকে। কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থায়নে কানাডিয়ান লেবার মার্কেট এর সাম্প্রতিক গবেষণা তথ্যে এই চিত্রই ফুটে উঠেছে।
গবেষনা তথ্যে আশংকা যে বিষয়টি উঠে এসেছে তা হলো, এখানকার “মূলধারার” কানাডিয়ানদের মধ্যেও একধরনের ভয় কাজ করছে। ভয়টি হলো এই যে, এই ইমিগ্রেন্টদের কারণে তারা তাদের চাকরী হারাতে পারে। কারণ, এমপ্লয়াররা কম বেতনে ইমিগ্রেন্টদের হায়ার করতে পারে। সে ক্ষেত্রে শ্বেতাঙ্গ কানাডিয়ানরা বেশী বেতনের চাকরী হারাতে পারে। এতে করে শ্বেতাঙ্গ কানাডিয়ানদের মধ্যে ইমিগ্রেন্ট বিরোধী একটি মনোভাব গড়ে উঠতে পারে। কিংবা বলা যায়, এ ধরণের মনোভাব ইতিমধ্যে গড়েও উঠেছে অনেক শ্বেতাঙ্গ কানাডিয়ানদের মনে। অর্থাৎ একদিকে দারিদ্রতা অন্যদিকে দরিদ্র হওয়ার ভয় এই দুইয়ে মিলে অবস্থাটা গোলমেলে হয়ে উঠছে দিন দিন।
তবে লেবার মার্কেটের গবেষনা তথ্যে এও বলা হয়েছে যে, কানাডার অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইমিগ্রেন্টদের ভূমিকা রয়েছে যথেষ্ট। অন্যদিকে ব্যাংক অব মন্ট্রিয়লের অতি সাম্প্রতিক এক রিপোর্টেও বলা হয়েছে কানাডার শতকরা ৪৮ ভাগ মিলিওনার হলো ইমিগ্রেন্ট যাদের জন্ম কানাডার বাইরে অথবা তাদের বাবা কিংবা মা’র জন্ম কানাডার বাইরে। তবে এই মিলিওনাররা কেউই সাম্প্রতিক কালের আসা ইমিগ্রেন্ট নয়। অর্থাৎ তারা নতুন ইমিগ্রেন্ট নয়।
স্ট্যাটিসটিকস কানাডার এক হিসাবে দেখা যায় কানাডায় জন্ম নেয়া পুরুষদের ক্ষেত্রে দারিদ্রতার হার যেখানে শতকরা ৬.৪ ভাগ, সেখানে নতুন আসা ইমিগ্রেন্টদের ক্ষেত্রে এই হিসাবটি শতকরা ৩৩.২ ভাগ। অন্যদিকে মহিলা কানাডিয়ানদের ক্ষেত্রে এই হার যেখানে শতকরা ৭.৪ ভাগ, ইমিগ্রেন্ট মহিলাদের ক্ষেত্রে সেই হার শতকরা ৩২.১ ভাগ।
ম্যাক মাস্টার ইউনিভারসিটির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আর্থার সুইটম্যান সম্প্রতি হ্যালিফেক্সে এক ভাষনে বলেন, অতীতে ইমিগ্রেন্টরা কানাডায় আসার ৫ বছরের মাথায়ই কানাডিয়ানদের সমপরিমান আয় করতে পারতেন। কিন্তু বর্তমানে সেই পরিস্থিতি বদলে গেছে। তিনি জানান, ১৯৮০ সালের দিকে কানাডায় দরিদ্র লোকের সংখ্যা ছিল কানাডিয়ান এবং ইমিগ্রেন্টদের মধ্যে প্রায় সমান সমান। কিন্তু বর্তমানে ইমিগ্রেন্টদের অর্ধেকই দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করছে।
সুইটম্যান আরো জানান, বিষয়টি এমন নয় যে, দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী এই সকল ইমিগ্রেন্টারা শিক্ষায় দক্ষতায় বা অভিজ্ঞতায় কানাডিয়ানদের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। বরং অনেক ক্ষেত্রে দরিদ্র এই ইমিগ্রেন্টরা তাদের কানাডিয়ান কাউন্টারপার্টদের চেয়ে অনেক বেশী উচ্চ শিক্ষিত। কিন্তু তাদের সেই শিক্ষার মান অনুপাতে তারা প্রয়োজনীয় মজুরী পাচ্ছে না। তিনি এর কারণ হিসেব যে বিষগুলোতে দায়ী করেছেন তার মধ্যে আছে বৈষম্যতা, ভাষা ও সংস্কৃতি। তিনি বলেন, ইংরেজী ও ফ্রেন্স ভাষার উপর ইমিগ্রেন্টদের দখল থাকে কম।
কানাডায় বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ইমিগ্রেন্টদের মধ্যেও আবার রয়েছে আয়ের ভিন্নতা। স্ট্যাটিসটিকস কানাডার এক হিসাবে দেখা যায় পূর্ব এশিয়া থেকে আগত ইমিগ্রেন্টদের আয় সবচেয়ে কম। ফলে ঐ অঞ্চল থেকে আসা ইমিগ্রেন্টদের মধ্যে দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকরীর সংখ্যাও বেশী। প্রায় ৫০ ভাগ পূর্ব এশিয়ান ইমিগ্রেন্টই দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করছে কানাডায়। এর পরের অবস্থানে রয়েছে পশ্চিম মধ্য এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে আগত ইমিগ্রেন্টদের অবস্থান। এদের প্রায় ৪০ ভাগ লোক দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করছে। তৃতীয় স্থানে আছে উত্তর আফ্রিকা ও চীন থেকে আগত ইমিগ্রেন্টরা। এদের মধ্যে শতকরা প্রায় ৩৫ ভাগই দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করছে। তবে ভারত থেকে আসা ইমিগ্রেন্টদের অবস্থা এশিয়ার অন্যান্য দেশ থেকে আসা ইমিগ্রেন্টদের তুলনায় ভাল। শতকরা প্রায় ১৮ ভাগ ভারতীয় ইমিগ্রেন্ট বসবাস করছে দারিদ্রসীমার নিচে। অন্যদিকে ইউরোপ থেকে আসা ইমিগ্রেন্টদের মধ্যে যারা দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করছে তাদের সংখ্যা শতকরা প্রায় ১৫ ভাগ বা তারো নিচে।
উপরের হিবেসে সাউথ এশিয়ানদেরকে আলাদাভাবে দেখানো হয়নি। আবার চীনকে পূর্ব এশিয়ার মধ্যে ধরা হয়নি। ভৌগলিক হিসেবে বাংলাদেশ সাউথ এশিয়ায় পড়েছে। কানাডায় সাউথ এশিয়ান ইমিগ্রেন্টদের অবস্থা পূর্ব এশিয়ানদের তুলনায় খুব ভাল হওয়ার কথা নয়। যদিও ভারতের অবস্থাটা দেখা যাচ্ছে একটু ভাল। এর কারণ হতে পারে এই যে, ভারতীয়রা দেশ ছেড়েছে অনেক আগে, বলতে গেলে প্রায় শত বছর আগে থেকেই তারা এ দেশে আসতে থাকে। ফলে তাদের অবস্থান অনেকটা সুদৃঢ় এদেশে। তাদের সংখ্যাও প্রচুর। ফলে নতুন আসা ভারতীয়রা কোন না কোনভাবে পুরাতনদের সহযোগিতা পেয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে লোকজনদের আসা শুরু হয় মাত্র দুই বা আড়াই দশক আগে থেকে। ফলে তারা ভারতীয়দের মতো গুছিয়ে উঠতে পারেনি এখনো। তাছাড়া সংখ্যায়ও বাংলাদেশীরা অনেক পিছিয়ে রয়েছে এখনো। গত এক দশকের মধ্যে যারা কানাডায় এসেছে তাদের বেশীর ভাগই পেশাজীবী। ইন্ডিপেন্ডেন্ট ক্যাটাগরীতে পয়েন্ট সিস্টেমে উত্তীর্ণ হয়ে এদেশে এসেছে তারা। তাদের চোখে মুখে স্বপন ছিল অনেক কিছুর। কিন্তু সে স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন হতে বেশী সময় লাগেনি কানাডায় পা রাখার পর। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে বাংলাদেশী এই পেশাজীবীদের সিংহভাগই নিজ নিজ পেশায় কাজ পায়নি। সারভাইভালের জন্য বাধ্য হয়ে তাদেরকে অন্য পেশায় আত্মনিয়োগ করতে হয়েছে। সেই অন্য পেশাটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অড জব। আর অড জব মানেই অড মানি। এই অড মানি দিয়ে কোনরকম বেচে থাকা যায়। যার আরেক অর্থ হলো তারা দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করছে। এই দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করার ফলে নানা রকম সমস্যার মধ্য দিয়ে চলতে হচ্ছে তাদেরকে। স্বাস্থ্য সমস্যা ছাড়াও পারিবারিক সহিংসতা, মানসিক সমস্যা, ঋণ সমস্যাসহ আরো অনেক সমস্যার মধ্য দিয়ে কানাডার মতো একটি ধনী দেশে দিন অতিবাহিত করতে হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে আসা নতুন ইমিগ্রেন্টদেরকে। এদের সংখ্যা শতকরা ৫০ ভাগ বা তারো বেশী হতে পারে।
উল্লেখ্য যে, টরন্টোতে টেক্স প্রদানের পর একজন কর্মজীবী মানুষের বাৎসরিক আয় ১৮,৫০০ ডলারের কম হলে তাকে দরিদ্র বলা হয়। আর স্বামী-স্ত্রীসহ চার সদস্যের একটি পরিবারের বাৎসরিক আয় ২৭,৫০০ ডলারের নিচে হলে সেই পরিবারকে দরিদ্র পরিবার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
নতুন ইমিগ্রেন্টদের এই দারিদ্রতার বিষয়টি কানাডার নীতিনির্ধারকদের অনেকে হয়তো বিশেষ গুরুত্বসহকারে নাও নিতে পারে। কারণ এ অবস্থার কারণে তারা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না। অথবা এটি তাদের সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির কারণেও হতে পারে। কিন্তু এই দারিদ্রতার সুদূরপ্রসারী প্রভাব কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা নিচের তথ্য থেকে কিছুটা আঁচ করা যেতে পারে।
কানাডিয়ান টিচার্স ফেডারেশনের এক জরীপ তথ্য থেকে দেখা যায় দরিদ্র পিতা-মাতার সন্তানদের মধ্যে লেখাপড়ার প্রতি ঝোক কম দেখা যায়। তাদের মধ্যে দেরীতে বোধদয় ঘটে। ক্লাসে তাদের এচিভমেন্টের মাত্রা কম, এক্সট্রা কারিকুলামে তাদের যোগদানের মাত্রা কম থাকে, ক্যারিয়ার সম্পর্কে আগ্রহ কম থাকে, স্কুলে উপস্থিতির হার কম থাকে, ইউনিভারসিটিতেও উপস্থিতির হার কম তাদের, নিরক্ষতার হার তাদের মধ্যে বেশী এবং সর্বোপরি স্কুল ড্রপআউটের সংখ্যাও বেশী এই দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের মধ্যে।
সমস্যার এখানেই শেষ নয়। দেখা গেছে যারা দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে তাদের বাসস্থান হয় অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। তারপরও আয়ের শতরা ৫০ ভাগের বেশী চলে যায় বাড়ী ভাড়া দিতে গিয়ে। কারো কারো ক্ষেত্রে আয়ের শতকরা ৭৫ ভাগ চলে যায় বাড়ী ভাড়া দিতে গয়ে। ফলে বেসামাল এই অবস্থা সামাল দিতে গিয়ে একাধিক পরিবার বাস করে এক এপার্টমেন্টে। সেটিও আবার করতে হয় গোপনে। কারণ, বিষয়টি গোপন না রাখলে বাড়ি ভাড়া পাওয়া দুষ্কর হয়ে উঠে। এরকম ঘনবসতি অবস্থায় বসবাস করতে গিয়ে অনেকের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। শিশুদের সুস্থ্য-স্বাভাবিক বিকাশও বাধাগ্রস্থ হয় এই ঘনবসতিপূর্ণ ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে। ক্ষেত্রবিশেষ মানসিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে কারো কারো বেলায়।
বিশেষজ্ঞদের অভিমত হলো, নতুন আসা এই ইমিগ্রেন্টদের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে তাদের অবস্থার উন্নতির জন্য কানাডার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও অন্যান্য নীতিনির্ধারকরা যদি এখনি কোন কার্যকর ভূমিকা রা রাখে তবে অদূর ভবিষ্যতে সামাজিক বিশৃংখলা সৃষ্টিসহ আরো নানারকম বিশৃংখলা দেখা দিতে পারে এই দেশটিতে। অনেকর আশংকা, যে কোন সময়ে যে কোন অঘটনও ঘটে যেতে পারে।